কোন ক্লাসে পড়ি মনে নাই। শুধু এই টুকু মনে আছে আমার সেই সময়টা আমার সোনালী যুগের। হ্যামিলনের বাশিওয়ালা নামক এক চরিত্রের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। লম্বা আল্লাখেল্লা পড়া, কাধে ইয়া বড় ঝুলন্ত ব্যাগ। বাশি বাজানোর সেই জাদুকর লোকটাকে এখনো দেখতে পেলাম না। শুধু তার কথা ভেবেই যাচ্ছি।
হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার (Rattenfänger von Hameln)গল্পটি পৃথিবী বিখ্যাত।আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছরের বেশি আগে জার্মানির ছোট্ট শহর হ্যামিলিনে ঘটেছিল বিখ্যাত এ ঘটনাটি।
অনেক অনেক বছর আগে হলেও আমাদের দেশে এই চরিত্রটি অদৃশ্যভাবে এখনো বর্তমান। আমাদের দেশীয় এই বাশিওয়ালা খুব সহজেই আমাদেরকে তার বাশির সুরে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারছে এবং আগামীতেও পারবে। তার মায়াবী বাশির সুরে হোক না তা তার স্বার্থন্বেষী তবু আমরা তার পিছে পিছে হাটছি, তার দেখানো পথে আমাদের সরব উপস্থিতি থাকছে। তার তাই তো আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছি গণ জাগরণ,আলপনার বৈশাখ, একই কন্ঠে সোনার বাংলা, তেতুল হুজুর, কিংবা কি যেন বলে ফ্ল্যাশমব, ভ্যালেটাইনস ডে আরো কত কি। সে যেটা দেখাতে চাচ্ছে তাই আমরা দেখছি, তাই জানছি।আমাদের নিজস্ব কোন অনুভুতি নেই, আমার বাশির সুরে মন্ত্রমুগ্ধ। তার মুখের অয়বয় ভাবলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে পার্শ্ববর্তী দেশের মানচিত্র, ভেসে উঠে নামকরা দৈনিক, আমাদের দুদলের নেতা নেত্রী কিংবা বানিজ্যিক কোন কোম্পানীর অফিসিয়াল লোগো। সে কি কখনো শান্তির জন্য দেশীয় স্বার্থে বাশি বাজাবে, আর আমরা কি তার পিছে ছটবো।
বি:দ্র: রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্যে নয়, সর্ম্পণটাই আমার কল্পনার চরিত্র।বাস্তবের সাথে মিললে লেখক দায়ী নহে।