Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মাহমুদ আশিক

৯ বছর আগে লিখেছেন

___মিসিং ফ্ল্যাশ___

সেবার এক বড় ভাইয়ের অফিসে গেছি। এমন ঝকঝকে অফিস যেন পরিষ্কার টাইলস করা মেঝেতে নিজের দর্শন পাওয়া যায়। যাবার পর কথা বলতে বলতেই আসলো সাদা ধোঁয়া উঠা এক মগ কফি। কফি খেতে খেতেই কেমন জানি পেট মোচড় দিলো। তো টয়লেটের শরণাপন্ন হলাম। 
বাব্বা টয়লেটাও সেই। আলিশান ইংলিশ কমোড।
কার্য সম্পাদন শেষে ফ্লাশে হাত দিতেই-----মাথায় হাত। পানি নেই কিংবা ফ্ল্যাশ নষ্ট। 
প্রায় দশ মিনিট বিভিন্ন কায়দা করে পার পেলাম। মান সম্মানের ব্যাপার।
এই ঘটনাটার ফলে একটা শিক্ষা পেয়েছি, কিছু কিছু হঠ্যাৎ আগমনকারী অনাকাংক্ষিত চরিত্রগুলো যারা কিনা, ফ্ল্যাশতুল্য তাদেরকে একটু সময় করে ম্যানুয়ালি ফ্ল্যাশ করুন। একটু কষ্ট হলেও অন্তত মানসম্মান বাঁচবে। জানেন তো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।
( দ্রষ্টব্য: অনেকে নাক ছিটকাবেন। এরকম পরিস্থিতিতে কম বেশি সবাই পড়েছি। আমিই লিখলেই নাক ছিটকানো। )
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - হাসান বিন নজরুল

    সচেতনতা মুলকপোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ 

    • - ব্লগার ভাই

      আপনাকেও ধন্যবাদ।

মাহমুদ আশিক

৯ বছর আগে লিখেছেন

__তুমি থাকবে, মাহমুদ আশিকে__

তুমি থাকবেই তার সৃষ্টিতে বিস্ময়ে
গলির মাথার এই টং এর দোকানে, ঝোলানো ত্রিপলে
চামচের প্রতি টুংটাং এক কাপ দুধ চায়ে তুমি থাকবে, 
থাকবে দুপুরের গরম সিংগাড়ায়, ফিল্টারের পানিতে
আইসক্রিমের ঠান্ডা আবেশে তোমার অনুভূতি থাকবে, 
অনুভূতি থাকবে তিনবেলা আহারে। 
তোমাকে ভেবেই ঘুম ভাঙ্গবে, আঁধারে চোখ বন্ধ হবে।
শেষ থেকে শুরুতে, শুরু থেকে শেষে তুমি থাকবে
তুমি থাকবে বেলী ফুলের সুবাতাসে, 
থাকবে যেকোন সুগন্ধির উপস্থিতিতে
থাকবে চিংড়িতে, থাকবে ইলিশে, ধানে আর পাটে।
তুমি থাকবে প্রতিটি উন্মাদনায়, নয়ন ভেজা জলে
তুমি থাকবে আমার মস্তিষ্কে, আমার সারা দেহ জুড়ে
তুমি থাকবে ঘড়ির কাটার প্রতিটি সেকেন্ডে,বছরান্তে 
থাকবে রোদ মাখা শহরে, জোৎস্মাময় রাতে
তুমি থাকবেই থাকবে আমারই হৃদয় জুড়ে
মেয়ে তুমি থাকবে না কোথায় সেটাই বুঝতে পারছি না।
X
continue reading
Likes Comments
০ Shares

মাহমুদ আশিক

৯ বছর আগে লিখেছেন

হ্যামিলনের বাশিওয়ালা (দেশীয় ভার্সন)

কোন ক্লাসে পড়ি মনে নাই। শুধু এই টুকু মনে আছে আমার সেই সময়টা আমার সোনালী যুগের। হ্যামিলনের বাশিওয়ালা নামক এক চরিত্রের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। লম্বা আল্লাখেল্লা পড়া, কাধে ইয়া বড় ঝুলন্ত ব্যাগ। বাশি বাজানোর সেই জাদুকর লোকটাকে এখনো দেখতে পেলাম না। শুধু তার কথা ভেবেই যাচ্ছি।
হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার (Rattenfänger von Hameln)গল্পটি পৃথিবী বিখ্যাত।আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছরের বেশি আগে জার্মানির ছোট্ট শহর হ্যামিলিনে ঘটেছিল বিখ্যাত এ ঘটনাটি। 
অনেক অনেক বছর আগে হলেও আমাদের দেশে এই চরিত্রটি অদৃশ্যভাবে এখনো বর্তমান। আমাদের দেশীয় এই বাশিওয়ালা খুব সহজেই আমাদেরকে তার বাশির সুরে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারছে এবং আগামীতেও পারবে। তার মায়াবী বাশির সুরে হোক না তা তার স্বার্থন্বেষী তবু আমরা তার পিছে পিছে হাটছি, তার দেখানো পথে আমাদের সরব উপস্থিতি থাকছে। তার তাই তো আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছি গণ জাগরণ,আলপনার বৈশাখ, একই কন্ঠে সোনার বাংলা, তেতুল হুজুর, কিংবা কি যেন বলে ফ্ল্যাশমব, ভ্যালেটাইনস ডে আরো কত কি। সে যেটা দেখাতে চাচ্ছে তাই আমরা দেখছি, তাই জানছি।আমাদের নিজস্ব কোন অনুভুতি নেই, আমার বাশির সুরে মন্ত্রমুগ্ধ। তার মুখের অয়বয় ভাবলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে পার্শ্ববর্তী দেশের মানচিত্র, ভেসে উঠে নামকরা দৈনিক, আমাদের দুদলের নেতা নেত্রী কিংবা বানিজ্যিক কোন কোম্পানীর অফিসিয়াল লোগো। সে কি কখনো শান্তির জন্য দেশীয় স্বার্থে বাশি বাজাবে, আর আমরা কি তার পিছে ছটবো। 
বি:দ্র: রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্যে নয়, সর্ম্পণটাই আমার কল্পনার চরিত্র।বাস্তবের সাথে মিললে লেখক দায়ী নহে।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

মাহমুদ আশিক

৯ বছর আগে লিখেছেন

পছন্দ সাদৃশ্য হতে পারে কন্যা; কিন্তু অনুভব ভিন্ন, পুরোপুরি নিজস্ব।

খুব পছন্দ করে কেনা নতুন লাল টিশার্ট টা পরে বেরিয়েছি। হাটছি পিচঢালা পথে। ব্যস্ত নগরীতে সবাই ছুটছে। চায়ের দোকানে গিয়ে বসেই এক কাপ দুধ চায়ের অর্ডার। হাল্কা লিকার, বেশি দুধ চিনি। চায়ের কাপে চুমুক দিতেই অপর পাশ থেকে একটি রিকশায় করে একটি ছেলে নামলো তার পকেটে থাকা বেনসন সিগারেট ধরাতে। ছেলেটি বেশ স্মার্ট । কিন্তু তাকে দেখে আমি কেমন যেন লজ্জায় পড়লাম। একটু আড়ালে লুকাতে চাইলাম নিজেকে। ছেলেটি চলে গেল। ছেলেটির গায়ে ঠিক আমার টিশার্টের আরেকটা পিস। বলি হাজারো টিশার্টের মাঝে তোর কিসের জন্য এই টিশার্টটাই কিনতে হবে?
এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে কেন জানি জার্সির ফিলিং না এসে আসে একটু বিব্রত অনুভব। কেন জানি। ঐ ছেলেটার সাথে কি আমার পছন্দের অনেক মিল? ঐ ছেলেটাও কি হাল্কা লিকারে অতিরিক্ত দুধ চিনি পছন্দ করে? ঐ ছেলেটিও কি আমি যেই মেয়েটিকে পছন্দ করি তাকে দেখলে সেও পছন্দ করতো?
আমার সেই অনন্য চোখের অধিকারী ভালবাসার (একপক্ষ) মানুষটির সাথে যে জড়িয়ে নিয়েছে নিজেদের জীবন সেই ছেলেটিও হয়তো দোকানে আমার এই লাল শার্টটি চোখে পড়লে কিনতো। হয়তো কিনতো, কিন্তু আমি যে প্যান্টের সাথে পড়েছি তা পড়তো না, সেক্ষেত্রে অব্যশই তার আলাদা পছন্দ। আর এটার নামই হয়তো স্বকীয়তা।
পছন্দ সাদৃশ্য হতে পারে কন্যা, কিন্তু অনুভব ভিন্ন, পুরোপুরি নিজস্ব। মনে রেখ।।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - কেতন শেখ

    খুব সুন্দর কবিতা প্রলয়। শুভেচ্ছা রইলো।

    • - প্রলয় সাহা

      ধন্যবাদ দাদাভাই

    - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    অসাধারণ লেখনী

    • - প্রলয় সাহা

      অনেক ধন্যবাদ দাদা

    - ব্লগার ভাই
    • - প্রলয় সাহা

      ধন্যবাদ দাদা ।