।।১।।
জয়নাল সাহেব কানে কম শোনেন। হেয়ারিং এইড কিনতে তিনি গেলেন দোকানে।
জয়নাঃ ভাই, হেয়ারিং এইডের দাম কত?
দোকানদারঃপাঁচ টাকা দামের আছে, পাঁচ হাজার টাকা দামেরও আছে।
জয়নালঃ আমাকে পাঁচ টাকারটাই দেখান।
দোকানদার জয়নালের কানে একটা প্লাস্টিকের খেলনা হেয়ারিং এইড গুঁজে দিলেন। জয়নাল আশ্চর্য হয়ে বললেন, এটার ভেতর তো কোনো যন্ত্রপাতিই নেই। এটা কাজ করে কীভাবে?
দোকানদারঃ সত্যি বলতে, এটা কোনো কাজ করে না। তবে আপনার কানে এই জিনিস দেখলে লোকজন এমনিতেই আপনার সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে উঁচু গলায় কথা বলবে!
।।২।।
হাঁস শিকারে গেছেন তিন চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বললেন, হুম্, দেখতে হাঁসের মতোই লাগছে, হাঁসের মতোই ডাকে, হাঁসের মতো ওড়ে। ওটা একটা হাঁসই হবে। তিনি গুলি ছুড়লেন, ততক্ষণে পাখিটা চলে গেছে অনেক দূর। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ তাঁর বইটা বের করলেন, হাঁসের ছবি দেখলেন। হাঁসের বৈশিষ্ট্যগুলোতে একবার চোখ বুলালেন। বললেন, হুম্। ওটা একটা হাঁস। গুলি ছুড়লেন। কিন্তু এবারও পাখি ততক্ষণে নাগালের বাইরে চলে গেছে। শল্যচিকিৎসক গুলি ছুড়লেন। ধপ করে নিচে পড়ল পাখিটা। চিকিৎসক বললেন, ‘কাছে গিয়ে দেখো তো, ওটা একটা হাঁস কি না!’
।।৩।।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে শফিক দেখল, চেম্বারের দরজায় বড় করে লেখা আছে, ‘প্রথমবার ৫০০ টাকা, এরপর ৩০০ টাকা।’ ২০০ টাকা বাঁচাতে সে মনে মনে একটা বুদ্ধি আঁটল। ডাক্তারের রুমে ঢুকেই বলল, ‘ডাক্তার সাহেব, আবার এলাম। আমার অসুখ তো ভালো হলো না।’ ডাক্তার ভ্রু কুঁচকে তাকালেন। মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন। তারপর বললেন, ‘আগে যে ওষুধগুলো দিয়েছিলাম, সেগুলোই চলবে। এবার ঝটপট ৩০০ টাকা দিন।’
Comments (12)
ধন্যবাদ ছবি দেখে অনেক ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল।