Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

স্বপ্নবৃত্ত


জীবন কত বিচিত্র।
এর এক একটা স্তরে মানুষ কত অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে। নতুন নতুন অনুভূতি আর প্রলয়ের উচ্ছাসে প্রতিটি স্তরেই নিত্য নতুন উদ্ভাবনী চিন্তায় নিজেকে একটা নিয়মতান্ত্রিক 'গোল' অর্জনে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।

রাশেদ একজন কর্মজীবি প্রায় আপাদমস্তক 'ভদ্রলোক'। জীবনের মাঝবয়সে এসে বিগত ধাপগুলোতে অর্জিত 'অভিজ্ঞতা'র আলোকে জীবনকে দেখার এক আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তার। নিজের তিনজনের পরিবার তার জীবন-জগত আর বিচরণের অন্যতম একটি প্রধান প্ল্যাটফর্ম। এরকম অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তার। নিজের চোখে তিনি বাকী দুইজন  একেবারে কাছের মানুষকেও বিচার করতে চান। নিয়ন্ত্রন করতে চান। তিনিও তার জীবনে এরকম নিয়মের ভিতর ধাপগুলো পার করে এসেছিলেন।
তিনি নিজের ঐ ধাপে সেই সময়ে তার সুপিরিয়রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে চাইতেন কি?
এখানে' সুপিরিয়র' শব্দটি না বলে 'পূর্বসূরি' বললে আরামদায়ক হবে। অনুভূতিতে।

ইষিতা রাশেদ সাহেবের মেয়ে। একমাত্র সন্তান। সদ্য কৈশোর ধাপটায় পা রেখেছে। পাপাকে এখন অন্যরকম লাগছে। অনুভূতিতে-যুক্তিতে। অবশ্য ওর নিজের কিছু নির্বাচিত যুক্তি সেগুলো। পাপাকে কেন্দ্র করে পাপার শরীর ঘেসে ঘেসে কাছে-দূরে অনুভূতি লাভ করে করে আজ সেই পাপার থেকেই কেমন দূরে থাকতে ইচ্ছে করে।
কেন এমন হয়?
বড় হয়ে গেছে সে এখন।
এই কথাটি  বেশী শুনতে পাচ্ছে এখন। ভালো লাগে না ওর। যে পাপার শরীরের কাছে টানা ঘ্রাণ ওকে পাগলের মত কাছে থাকার এক তীব্র স্রোতে টেনে নিত। আজ ভ্রু কোঁচকানো এক কেবলি দূরে সরে যাওয়া অনুভূতিতে কিছুটা হলেও পাগল কেন করে দেয়?

লতা আর রাশেদ গত মাসে তাদের একসাথে থাকার ষোলটি বছর পার করে দিলো। আজও লতার কাছে রাশেদ এক 'গবেষণালব্ধ' চরিত্র। একে রহস্যময় বলা যায় কিনা মাঝে মাঝে লতার চিন্তায় ঝড়ো বাতাসকে সাথে নিয়ে নিজের একান্ত থাকার সময়টুকুতে সে ভাবে।
ভাবে না অনুভব করে?
এইটাই সমস্যা। আসলে লতার  নিজেকেও কি সে আদৌ চিনতে পেরেছে?  তবে তার নিজেকে চিনবার আর দরকার নেই। নিজের সত্ত্বাকে বিসর্জন দিয়ে সে আজও রাশেদকে চিনতে চাইছে। ওর ১০০ ভাগ শুধু 'ওর' হতে চাইছে। একটা চমৎকার রোদ মাখানো  বিকেলে বিশাল ঘাসের মাঠটিতে বসে 'শুধুই'  লতা একা রাশেদের  চিন্তা-চেতনায় থাকবে... এরকম কিছু ভাবনাকে সাথে নিয়ে সংসারের একজন সদস্য হিসেবে নিজের অভিনয় করে চলে লতা।।

# অণুগল্প
৬ Likes ১৭ Comments ০ Share ৩৫২ Views