Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

স্বপ্নপূরণের একটি অধ্যায়

  বান্দরবান টু নীলগিরি:
৪৭*২ কিমি পাহাড়ি পথ, ৭ ঘণ্টার ভ্রমণ ভ্রমণ খরচ ২০০০ টাকা
সকালে হোটেল থেকে বের হয়ে নাস্তা করলাম। তারপর  ৮ টায় বান্দরবান শহর থেকে আগে থেকে ভাড়া করা সি এন জি তে উঠলাম। তারপর পাহাড়ি পথে চলল আমাদের সামনে চলা। আমি আরাফাত শহিদুল তানিম আকিব এই পাঁচ জন। চারদিকে উঁচু উঁচু পাহাড়। সকালে গাছের ফাঁক দিয়ে আলো ছায়ার খেলা সত্যি অসাধারণ । সি এন জি  ছুটে চলেছে আপন গতিতে। রাস্তা গুলো এঁকে বেঁকে উঠে গেছে পাহাড়ের পথে। হটাত সাইনবোর্ডে দেখলাম নীলগিরি ৪৫ কিমি। মনে মনে বললাম আর মাত্র ৪৫ কিমি পর পৌঁছে যাচ্ছি নীলগিরি। একটু পর দেখলাম রাস্তার পাশের মাইলস্টোনে দেখলাম   চিম্বুক পাহাড় ২১ কিমি তার মানে আমরা চিম্বুকেও যাচ্ছি!!! হাঁ সেই চিম্বুক যেটা ডিটেকটিভ গল্প গুলোতে অনেক বার পড়েছি। আবারও ছুটে চলা। পাহাড়ের উপর থেকে ঠিকরে পড়ছে আলোক রশ্মি । একটু পর দেখলাম উপজাতিদের পাড়া লাইমিপাড়া।তাদের বাড়ি গুলো দেখলাম।পাহাড়ের উপরে কাঠের বাড়ি। আবারও সামনে চলা।পথে তাদের কয়েকজনকে দেখলাম ঝুড়ি পিঠে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে বের হতে।অনেক আগে পড়েছিলাম অধিকাংশ উপজাতিরা নারীপ্রধান, মহিলারা অধিকাংশ কাজ করে।  নিজ চোখে সেটা দেখলাম মহিলারা কর্ম ক্ষেত্রে যাচ্ছে।কোথাও একপাশে পাশে পাহাড় এক পাশে খাদ আবার কোথাও দুই পাশে খাদ।  খাদগুলো  ৩০০-৪০০ মিটারের কম না।আবার দেখলাম চিম্বুক ১৩ কিমি দূরে।পাহাড়ের পাশে সারি সারি কলাগাছ দেখলাম।আরও আনারস  গাছ দেখলাম।অন্যান্য অনেক গাছ তো আছেই। কিছুক্ষণ পর আমরা চিম্বুক এ পৌঁছে গেলাম।পাহাড়ে উঠে গেলাম। উঠে পাশের পাহাড় গুলো দেখতে লাগলাম। পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে সাদা মেঘও দেখলাম। সবাই নিজের ও সবাই মিলে ছবি তুললাম।তারপর দেখলাম আমরা কি রকম রাস্তা দিয়ে নীলগিরি যাব। উঁচু নিচু পাহাড় আর আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে সোজা উঠে যাব সোজা উপরের দিকে। ঐখানে ২৫ মিনিট কাটানোর পর আমরা আবারও রওনা হলাম কাঙ্ক্ষিত লক্ষে। কিছু উপজাতি দের দেখলাম তাদের নিজস্ব পোশাকে । সত্যি কথা বলতে এই রাস্তার পাশ দিয়ে অনেক গুলো উপজাতি জনবসতি গড়ে উঠেছে। আবারও সামনের দিকে চলছি। একটু পর আমরা থামলাম একটা আর্মি চেকপোস্টের সামনে । নাম এন্ট্রি করতে হবে।আরাফাত গেলো নাম এন্ট্রি করতে। সাথে আমরা সবাই গেলাম জিজ্ঞাসা করল কোথা থেকে আসছি?  বললাম চুয়েট থেকে । বলল চুয়েট আবার কি? এটা কোথায়? একটু অবাক হলাম।একটু পর আরও বেশি অবাক হলাম তার পাশে সাধারন জ্ঞানের বই   দেখে।এই বইতে কি চুয়েট রে খুজে পাওয়া যাইনি ?? যাই হোক ঐখান থেকে বের হয়ে আর্মি ক্যানটিন থেকে নাস্তা নিয়ে আবারও রওনা হলাম। একটু পর আমি হটাত শব্দ শুনলাম। মনে মনে বললাম কিসের শব্দ?? বাইরে তাকিয়ে দেখি কিছু উপজাতি মেয়েরা আমাকে টাটা দিচ্ছে।কারণ আমি পিছনে বসেছিলাম। বাধ্য হয়ে আমিও টাটা দিলাম।কারন তাদের হাতে যে দা ছিল সেই ভয়ে :P । অবশেষে ৩ ঘণ্টা পর নীলগিরি পোঁছালাম। স্বপ্নের নীলগিরি । চারদিকে ঘুরলাম। উপর থেকে সাঙ্গু নদী দেখলাম সাপের মত এঁকেবেঁকে চলে গেছে।  চারদিকে অল্প অল্প মেঘ। আশেপাশের পাহাড় গুলো এটার চেয়ে ছোট থাকায় প্রকৃতি অনেক সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছিলো। প্রকৃতি যেন তার নিজ হাতে সেজেছে অপরুপ ভাবে । সকালে না যাওয়ায় মেঘ ধরতে পারিনি তবে প্রকৃতি দেখেছি মুগ্ধ হয়ে। অনেক ঘুরে আবার ১:৩০ এ রওনা হলাম ফেরার পথে। সিএনজিতে নাস্তা করে নিলাম। প্রায় চলে আসছি বান্দরবান এ।  চলে আসার একটু আগে একটা শৈলপ্রপাত এ নামলাম। যদিও প্রায়  শুকনো ছিল তবে বোঝা যাচ্ছিল বৃষ্টির সময় এটার অবস্থা কেমন হয়।সেখান থেকে ঘুরে আবার রওনা হয়ে অবশেষে ৩:৩০টায়  বান্দরবান এ এসে পৌছালাম। আমাদের নীলগিরি ভ্রমণের ইতি ঘটলো। তারপর ৪:৪৫ এর বাস এ বান্দরবান ত্যাগ করলাম।

০ Likes ১৫ Comments ০ Share ৬৪৯ Views

Comments (15)

  • - সকাল রয়

     

    ঈশ্বর  কারো কারো  উপরে বড়ই নির্দয়!

     

    - ইকবাল মাহমুদ ইকু