শীত ঋতুটা শেষ হইয়া যাইতেছে প্রায়। উত্তরের হিমেল হাওয়া বহিতেছে অবিরাম।আমি তোমাকে একটিবার দেখিবার অপেক্ষায়।ব্যর্থ হইয়া অপেক্ষায়ই থাকা হইলো,কিন্তু তোমার দেখা মিলিল না।ইচ্ছা ছিল চাদর খানা মুড়ি দিয়া বাসার ছাদে দাড়াইয়া তোমার কোমল হাতে হাত খানা রাখিয়া উত্তরের হিমেল হাওয়া উপভোগ করিব।তা আর পারিলাম কোথা? তুমি ইত এখনও আমাকে বুঝিয়া উঠিতে পার নাই।একটি বার ভাবিয়া দেখনা উত্তরের হিমেল হাওয়াটা কতটা মিস করিয়া ফেলিলাম। 'আসিতেছে বসন্ত! ফুটিবে অগনিত সুভাষে পরিপূর্ণ নানা রকমের ফুল। নতুন করিয়া ইচ্ছা গুলো মনের ঘরে খুবই যত্ন করিয়া সাজাইব আমি। শনশন শব্দে দক্ষিণা বাতাস হৃদয়ে দোলা দিয়া যাইবে।তখন তুমি আর আমি দুজনে মিলিয়া বারান্দায় দাড়াইয়া হাতে হাত রাখিয়া দক্ষিণা বাতাস গায়ে লাগাইবো।আর তখনই তুমি আকাশের দিকে তাকাইয়া একটু হাসিয়া মিষ্টি সুরেলা গলায় গাহিয়া উঠিবে--- "আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যাথা বাজে দিগন্তের আখি আখির জলে যায় ভাসি ভালবাসি ভালবাসি"। আর মাঝে মাঝে আমার দিকে একটু খানি তাকাইয়া মুচকি একটা হাসি দিয়া চোখ ফিরাইয়া লইবে।আমি তখন গাহিয়া উঠিব ----- "ওভাবে কেন দেখ আমাকে ওভাবে কেন ডাকো আমাকে" ঋতুরাজ বসন্ত বিদায় লইয়া গ্রীষ্ম পার হইয়া আসিল বর্ষা।আমি আর তুমি দুজনে মিলিয়া গ্রহণ করিলাম বর্ষাকে।বর্ষার আগমনে সব যেন নতুন সাজে সাজিয়া নিল।কোন এক পড়ন্ত বিকেলে আমি আর তুমি দুজনে বর্ষাকে মুগ্ধ হইয়া উপভোগ করিতে লাগিলাম।সেই কাটানো মুহূর্তটা একদমই অন্যরকম কাটিল।তুমি জানালা দিয়া একটা হাত বাহির করিয়া বৃষ্টিকে স্পর্শ করিতে লাগিলা। মাঝে মাঝে আমাকে একটু দুষ্টুমি করিয়া ভিজাইয়া দিলা।আমি ঠিক তখনই আমার প্রিয় গানটার এক লাইন গাহিয়া উঠিলাম----- "আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ বৃষ্টি তোমাকে দিলাম" হঠাৎ করিয়া বালিশের পাসে রাখা মুঠোফোন খানা বাজিয়া উঠিলো যান্ত্রিক এ্যালার্মে। আমি এ্যালার্মটা বন্ধ করিয়া আম্মুকে সজোরে একখানা ডাক দিলাম-আম্মু চা দাও। চা পান করিতে করিতে ভাবিতে লাগিলাম এতক্ষণের ভাবনাটা আসলেই স্বপ্ন ছিল। মন খারাপ করিয়া লাভ নেই। আমি জানি তুমিই আমার হবে, যাইহোক কবি হেলাল হাফিজের কথা মনে পড়ে গেল- "আমার স্বপ্ন গুলো কিনতে পারে এমন আমির কই? আমার জল ছবিতে রং মেশাবে এমন আবির কই?