Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সুখ কি গাছে ধরে

কি যেন বলতে চেয়েছিলাম তখন, ও মনে পড়ছে। জীবন নিয়ে কিছু বলতে চেয়েছিলাম। আচ্ছা ছোট্ট একটা গল্প দেই এই উর্বব মস্তিষ্ক থেকে।
একটা যুবক নাম আহাদ। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। ভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। অন্য আর সবার মত সাধারণ জীবন যাবন। খেলাধুলা নাই কিন্তু সিনেমা/নাটক দেখা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারা, সুযোগ পেলে ঘুরতে যাওয়া আর পড়াশোনা এই জীবন। তিনবেলা পেটপুড়ে খাচ্ছে,আনন্দ ফুর্তি করছে আর কি চাই।
সুখ এত সহজ না। এবার প্রয়োজন পড়ল একটা প্রেমিকার। জীবন আর ভাল লাগে না একা একা। সুখে থাকলে ভুতে কিলায় আর কি। কয়েকদিনের মধ্যে প্রেম হয়ে গেল। মেয়ে এক কথায় অসাধারণ। বেশ প্রেম চলতে থাকল। প্রথম প্রথম একটু খরচ কম হলেও পরে খরচ গেল বেড়ে। টাকা কোথা থেকে আসবে। বাবার পকেট ঝাড়তে হবে। শুরু হল এই অজুহাত,ঐ অজুহাত আর টাকা চাওয়া। ( পাঠক আমি নিজে দেখেছি কি ভাবে ছেলেমেয়েরা তাদের বাবার পকেট থেকে টাকা খসায়। টি স্কয়ার,সেট স্কয়ার এর ব্যাটারি লাগে আমার জন্মে ত শুনিনি আমার বাপের জন্মেও শুনেছে কিনা আমি জানিনা। আর এই ব্যাটারির কথা বলে বাবার কাছ থেকে নেওয়া হয় দশ হাজার। বুঝুন এবার ঠ্যালা কারে কয়??? বাবার অবস্থা হাসফাস, প্রেসার না থাকলেও হতে বেশি দেরি নেই।)। বাবা আর কি করবে আদরের ছেলের চাহিদা পূরণ করার জন্য দাবী মিটায়। আহাদ সাহেব মহা খুশি। স্বপ্ন দেখা শুরু করে ভবিষ্যত জীবনের। এই করবে সেই করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছুদিন পর প্রেমিকা আর নাই। ছোট্ট একটা ঝগড়ার কারণে সম্পক্য শেষ। সমস্যা কোথায়, দেশে কি মেয়ের অবাব। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার শুরু হয়ে যায় অন্য আরেকটা। আমি আর আমার টাকায় প্রেম করছি না যা ক্ষতি হওয়ার তা ত বটগাছের হচ্ছে। কিছুদিন পর এইটাও শেষ। এবার আর না। অনেক হয়েছে। আহাদ সাহেব মনে খুব কষ্ট পেয়েছে। এই কয়দিনে পড়াশোনা সব গোল্লায় উঠেছিল এবার তার মেরামত করতে হবে। শুরু হল মেরামত। পড়াশোনা শেষ করে চাকুরী খুজছে পথে পথে। একটা সময় পর চাকুরীও পেয়ে গেল। বেশ নিজের ইনকামে খুব সুন্দর চলেছে জীবন। এবার বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু বাদ সাধল আবার প্রেম। সারাদিন অফিস আর রাতে প্রেমিকার সাথে গল্প। আরে আমি ত বিল গ্রেটস হয়ে যাচ্ছি, নতুন ব্যবসা করব ভাবছি। ব্যাবসাটা করতে পারলেই কোটিপতি। কিছুদিন পর সেটা আর থাকল না। প্রেমিকা বিদায়। ছ্যাকা খেয়ে ব্যাকা হয়ে গেছে আহাদ মশায়। এখন রাস্তায় রাস্তায় দেবদাশ হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
কয়টা শব্দ লিখেছি গুনে গুনে বলে দিতে পারব। গল্প কিন্তু এখানেই শেষ। কিন্তু জীবন সে কিন্তু আরো অনেক বাকী। এখানে জীবনের খুবই নগন্য অংশ তুলে ধরা হয়েছে। গল্পগুলো কিন্তু এই রকমই হয়। অনেক কিছু বুঝানো সম্ভব না গেলেও কিছু ত বুঝাতে পারছি। যদি না বুঝে থাকেন তবে ত আমার আর কিছু করার নাই।
১ Likes ০ Comments ০ Share ৮১৪ Views

Comments (0)

  • - রব্বানী চৌধুরী

    স্বাধীনতা দিবসের উপর গুরুত্ব পূর্ণ লেখা, শুভেচ্ছা জানবেন। 

    • - অর্বাচীন পথিক

      রব্বানী ভাই.........

      খুব ভাল লাগছে আপনাকে এখানে পেয়ে।

       

      অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

    - রূম্পা রহমান

    মোতালেব আলী নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করলেন তাহলে কি এই দেশ দেখার জন্য আমরা নয় মাস প্রাণটা হাতের মুঠোয় নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম। ঘুষ, দুর্নীতি আর স্বাধীনতা বিরোধী মানুষকে সম্মানিত করার জন্য।

    এত কষ্ট করে শত্রুমুক্ত করার পর এই পেল আমার প্রিয় মাতৃভূমি!!

    হ্যা, এই ই  পেয়েছে emoticons

    • - অর্বাচীন পথিক

      অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রূম্পা রহমান।

      প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে ,আমি কি ভুল কিছু লিখেছি আমার গল্পে ???

    • Load more relies...
    - সুমন সাহা

    মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখিত খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি লেখা এটি।

    প্রতিটি চরি্ত্রের বুনন অনেক ভালো লাগলো।

    শুভেচ্ছা রইলো অনেক অনেক।

    ভালো থাকবেন। সবসময়।

    • - অর্বাচীন পথিক

      খুব ভাল লাগছে আপনার মন্তব্য পেয়ে। চেষ্টা করেছি কিছু সৃষ্টি করার আর বাকীটা আপনাদের ভাল লাগার উপর। যদি একটুকু ও ভাল লেগে থাকে তাহলেই আমি সার্থক

       

      অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুমন সাহা

    Load more comments...