অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। একটি পরিণত ক্রিকেট দলের মতন প্রফেশনাল উইন! জাস্ট লাভড ইট!! সিরিজে বাংলাদেশে এগিয়ে গেলো! ১-০!!
রুবেল হোসেনের দারুণ হ্যাট্রিক! খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে ঐ বিশেষ ওভার। বৃষ্টির পর রিভাইস টার্গেট নিয়ে খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ৪-৬ এ বাংলাদেশ যখন দিশাহারা ঠিক তখনই স্ফুলিঙ্গের মতন বোলিং স্পেল। এক ওভারে ৩ উইকেট। হ্যাট্রিক! মাথা নষ্ট! ব্রাভো রুবেল! ৫.৫ ওভারে ৬ উইকেট। ফাইন এনাফ :D
আলাদা করে ক্যাপ্টেন মুশফিকের কথা বলতেই হয়। বাংলাদেশের নাজুক শুরুটাকে সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করে পালটা আক্রমণ করে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানকে সু-সংহত করেছেন এবং জয়ের ভিত রচনা করেছেন। নাইম ইসলামের সঙ্গে তার ১৫৪ রানের জুটিটি বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে এনেছে।
মাহমুদউল্লাহ বিরাট বাচা বেঁচে গেছে!! যারা খেলা দেখেছেন তারা জানেন :P বল যদি এদিক সেদিক লাগতো আজকে কি কুলক্ষণে কাণ্ডটাই যে হত!! আল্লাহ বাঁচানে-ওয়ালা। বেঁচে গেছে সে :P
মাশরাফি মুর্তজাকে জাতীয় দলে দেখে ভালো লেগেছে। যদি উইকেট পেতো আরও ভালো লাগতো। তবু আজ তার বোলিং শুরুটা চমৎকার ছিল পাশাপাশি সে দুটি ক্যাচ ধরেছে।
এনামুল বিজয়কে আর সুযোগ দেয়ার কোন মানে হয়না। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে আছে ঘরোয়া লীগে পারফর্ম করা শামসুর রহমান শুভ। তাকে সুযোগ দেয়া যেতে পারে। আমি মনে করি মমিনুলের রান আউটেও এনামুল বিজয় দোষী।
মুশফিকের ক্যাপট্যান্সি ভালো হয়েছে আজকে। বোলিং চেঞ্জে সে সফল। ফিল্ডার পজিশন সেটিং এবং দলের প্রয়োজন অনুযায়ী আক্রমণে গিয়েছে যে আজ দ্রুত। নাইস!
টিম সাউদি ভয়ংকর বোলিং করেছে দুপুরে। পাশাপাশি ইলিয়ট, কোরি এন্ডারসন ভালো ব্যাটিং করেছে। যদিও রস টেইলর, ব্রান্ডন ম্যাককালাম তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। কেইন উইলিয়ামসন এর কপাল খারাপ। বেচারা নাইম ইসলামের একটি বল ধরতে গিয়ে আঙ্গুল ভেঙ্গে আজ আর ব্যাটিং এ নামতে পারেনি! সরি!! :P
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়ান ডে সিরিজ।
অক্টোবর ২৯, ২০১৩
ঢাকা।