Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সাহিত্যপত্র তীরন্দাজ এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ

 


লিটল ম্যাগাজিনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণটি আমার হাতের কাছেই আছে। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা। একা হাতে কি অসাধারণ ভাবেই না দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পত্রিকাটি তিনি সম্পাদনা করে গিয়েছিলেন। আর আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছিল বুদ্ধদেবের ত্রৈমাসিক “কবিতা” এটি বলার অপেক্ষা রাখেনা। এমনকি প্রুফ রিডিংগত দিক থেকেও এমন নিখুঁত সাহিত্যপত্র এপার বাংলা কি ওপার বাংলা আর দেখেনি।
আর এরপর আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় যে নামটি আসে, সেটি হল সিকান্দার আবু জাফরের “সমকাল”। সে সময়ের সাহিত্য আন্দোলনের পুরোধা হয়ে উঠেছিল পত্রিকাটি।

উপরের কোন ব্যপারেরই আমি প্রত্যক্ষদর্শী নই। আমার সময় একবিংশ শতাব্দীতে। আজ দু একটা না, চারপাশে অজস্র লিটল ম্যাগ আর সাহিত্যপত্রের ভিড়। মজার ব্যপার, এত কিছু থেকেও যেন ঠিক অনুভব করা যায়না যে কিছু একটা অন্তত আছে। এই যে একটা করে লিটল ম্যাগ বা সাহিত্যপত্র আসে, আর হারিয়ে যায় এর কারণ কি?
পত্রিকা সংশ্লিষ্টদের অর্থজনিত সমস্যা? আন্তরিকতার অভাব? নাকি পরিশ্রম বিমুখতা? হিসেব করে দেখেছি, ওই তিনটি বাধার পাহাড়ের সমন্বয়েই আজকের সাহিত্যপত্র জগৎটি যাচ্ছে একটি দুরাবস্থার ভিতর দিয়ে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটি, আমার মনে হয় সেটা কর্মস্পৃহার অভাব।

একদল তরুণ খুব উৎসাহ নিয়ে, গাঁটের টাকা খরচ করে একটা পত্রিকা বের করে ফেলল। দেখা গেল পত্রিকাটি আসলে তেমন একটা কাটতি পায়নি। তো থেমে গেল ওটার হৃদস্পন্দন। আবার দেখা গেল, কাটতি ভাল-মন্দ ব্যপার না। একটা সংখ্যা প্রকাশের জন্যে যে ঝক্কি সামলাতে হয়, সেটির ভয়ে কর্মীবাহিনি পত্রিকাটি থেকে দূরে সরে যায়। ওখানেই সম্ভাবনার মৃত্যু!

তবে সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয়টি নিয়ে বলার আছে। আমাদের দেশের লিটলম্যাগ চর্চা ঠিক এই কারণেই মূলত থমকে আছে। দশ-বারোজন মিলে নিয়মিতই একটি পত্রিকা বের করা হয়। দেখা যায়, সেটি পরিচিতজনাদের গন্ডি ছাড়াতে পারেনা। নইলে ঘুরে ফিরে গত এক বছরে এ দেশে প্রকাশিত হওয়া লিটল ম্যাগগুলো যাচাই করে আমাকে হতাশ কেন হতে হবে? কিছু মুষ্ঠিবদ্ধ লেখকেরাই ঘুরে ফিরে সকল লিটল ম্যাগ গুলিতে আছেন। তৈরী হয়ে গেছে লিটল ম্যাগের লেখক টাইপ একটা ধারা। এমন হওয়াটা মনে হয়না কাম্য! তাহলে কি এটা দাঁড়াচ্ছে না যে, আসলে আমাদের দেশে নতুন লেখক তৈরী হচ্ছেনা? ব্যপার মোটেই সেরকম না। লেখক তৈরী হচ্ছে। অনলাইন প্লাটফর্মগুলিতে খুজলেও অনেক ভালমানের লেখক ও লেখার সন্ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু তারা হারিয়ে যাচ্ছেন কেন? লিটল ম্যাগগুলির কি দ্বায়িত্ব না, স্বজনপ্রীতি বাদ দিয়ে সৃষ্টিশীলতাকে প্রাধান্য দেওয়া?

লিটল ম্যাগাজিনের উদ্দেশ্যই আসলে ছিল প্রথাবিরোধি হওয়া, তারকাদের বদলে অখ্যাত অথচ উজ্জ্বলদের সামনে তুলে ধরা। সে উদ্দেশ্য পূরণে আমাদের সাহিত্পত্র জগৎ কতটা অগ্রসর হয়েছে ভেবে দেখার বিপুল অবকাশ আছে! তবে এসবের ভিড়েও কিছু লিটলম্যাগ আর সাহিত্যপত্রের নাম নেওয়াওই যায়, যারা নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সাধ্যের সবটা প্রয়াস নিয়ে।

এখন মূল প্রসঙ্গে আসি। তীরন্দাজ নামে একটি সাহিত্যপত্রের কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। জানা নেই, সেটি একটি লিটলম্যাগাজিনের মূল উদ্দেশ্য কতটা পুরণ করতে পারবে। তবে স্বপ্ন দেখতে কখনও ভয় লাগেনা, পিছপা হয়ে যাওয়াটাও ধাতে নেই। এটাই যা ভরসা। আমরা সৃষ্টিশীলতা নিয়েই কাজ করতে আগ্রহী। নবিন-প্রবীন কোন রকমের ভেদটা এখানে থাকবেনা। কারণ একটি লেখা যখন সাহিত্যের বুকে স্থান করে নেয়, বলার কোন অবকাশ থাকেনা সেটি কোন তরুণ লেখকের লেখা নাকি প্রবীনের।

তীরন্দাজকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই একে অপরের হাত ধরাধরি করে। সবাইকে সাথে নিয়েই আমরা পথ চলতে চাই। সে কারণেই সকলের এগিয়ে আসাটা জরুরি। একটি পত্রিকার জন্মলগ্নে লোকবলের প্রয়োজন, অর্থযোযনার প্রয়োজন, প্রয়োজন পর্যাপ্ত মেধা আর জীবনিশক্তির। আর দরকার সকলের ভালবাসা এবং শুভকামনার। আন্তরিক পরিচর্যার।

তাই এগিয়ে আসুন তীরন্দাজকে এগিয়ে নেবার জন্য। আমরা বলছিনা, তীরন্দাজ সবকিছুকে বদলে দিতে আসছে। বলছিনা- ভেঙ্গে দিতে আসছে যত পুরানোকে। আমরা বলছি, তীরন্দাজ নতুনের। সে যাই করুক না কেন, ভাল কিবা মন্দ, সেটি হবে আনকোরা, নতুন, এটিই প্রত্যাশা, এটিই আমাদের লক্ষ্য।

নিজের সেরা লেখাটি আগামী কালের মধ্যে পাঠিয়ে দিন আমাদের ঠিকানাতে। লেখা ছাপা হবার একটাই মানদন্ড আমাদের কাছে। সেটি হল মানসম্পন্নতা।
সকলের সুবিধার্থে তীরন্দাজের ইমেইল এড্রেস দেওয়া গেল এখানে। লেখা পাঠান এই ঠিকানাতেই- tirondaz13@gmail.com

এর মাঝেই অবশ্য আরা বেশ কিছু লেখা পেয়ে গেছি আমরা। পরিতাপের বিষয়, অনেক লেখাই সরাসরি মেইলে পেস্ট করা। এটা সম্পাদনা পরিষদের জন্য বিরক্তিকর এবং কষ্টকর। অবশ্যই লেখা পাঠাবেন ওয়ার্ড ফাইলে। সুতন্নি এমজে ফন্টে।

যোগ দিতে পারেন তীরন্দাজের ফেসবুক ফ্যান পেইজেও- https://www.facebook.com/pages/তীরন্দাজ/145908845618234?ref=hl

২ Likes ৭ Comments ০ Share ৬০৪ Views

Comments (7)

  • - নীল সাধু

    shuveccha apnar jonno.. ei mhurte amar pc teo bangla nei bole banglish e montbbo korchi.. valo lagche apnar iocche agroh dekhe.. asha kori je somossha ache ta ochirei kete jabe.. apni banglao likhte parben.. apni copy kore ene dekhen hoy kina..

     

    amader karoi kintu bangla likhte koshto hoyni... 

     

    valo thakun.. shuveccha roilo 

    • - শোয়েব হাসান রাজীব

      onek dhonnobad. hm, the idea of copy past. shall try it.

    - লুব্ধক রয়

    আশা করি আপনার সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে