Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মোঃ জিয়াউল হক

১০ বছর আগে

সালিশিনামা (ধারাবাহিক গল্প)

(এক)

জেনে শুনেও জব্বার মিয়া ওবেলাটা চুপচাপ ছিল। কারণ, ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে যদি ব্যাপারটা ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনান্তরে যদি কুলিয়ে উঠতে না পারে; তবে মেয়ের ঘর-সংসার করাটা আর হবে না। যেহেতু মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ছ’মাসই অতিবাহিত হয়নি। অভাবি সংসারের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে, ধার-দেনা করে বিয়েটা সে কোন রকমে পার করেছিল। ছোট-খাটো জিনিস-পত্র যা দেওয়ার কথা ছিল, তার কত কী এখনো বাকিই রয়েছে। এমতাবস্থায় মেয়েকে দ্বিতীয়বার বিয়ে দেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, তবে তার পক্ষে আর কোন ভাবেই সেটা সম্ভব হবে না। অতএব যা ঘটেছে তাকে অদৃষ্টের লেখা বলে মেনে নিয়ে ব্যাপারটাকে সে ধামাচাপা দিতে চায়।
নিরক্ষর দিনমজুর হলেও জব্বার মিয়ার এই হঠাৎ বুদ্ধিটা তার অসচ্ছল জীবনের পক্ষে মন্দ ছিল না।
কিন্তু বিধি বাম ! যা ঘটেছে তা সত্য। আর সত্য তো চাপা থাকার জিনিস না। কোন না কোন ফাঁক দিয়ে সে, যেকোন রুপেই হোক বেরিয়ে পড়বে। তাতে কার লাভ হবে আর কার লোকসান হবে সেদিকে সে তাকাবে না। তাই জব্বার মিয়ার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাটা বৃথা গেলো। দুপুর গড়িয়ে যেতে না যেতেই তার বেহাই দু’জন লোক সঙ্গে করে নিয়ে হঠাৎ এসে উপস্থিত। অস্ত্রধারী শত্রুর হাতে আচমকা ধরা পরে যাবার মতো প্রথমে সে হতবুদ্ধি হয়ে গেলো। এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার দু-তিন ঘন্টা পরেই দু’জন অনাত্মীয় প্রতিবেশি লোক নিয়ে বেহাইয়ের উপস্থিতি দেখে বুঝতে আর বাকি রইলো না যে, ব্যাপারটা তাকে উপর্যুপরি জানানো হয়েছে। যদিও বেহাইয়ের বাড়ী খুব বেশি দূরে না, তবুওতো মাঝখানে দু-তিনটা গ্রামের ব্যবধান। এতো তাড়াতাড়ি খবরটা তার জানার কথা না। অতএব নিশ্চয়ই কোন প্রতিবেশি শত্রু এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।
তথাপিও জব্বার মিয়া সাবধান হলো। উপযাচক হয়ে নিজের দুর্বলতা আগেভাগে প্রকাশ করার কোন মানেই হয় না। এমনও হতে পারে ব্যাপারটা তারা এখনো জানেনি বা শোনেনি। তারা হয়তো অন্য কোন কাজে এসেছে। জব্বার মিয়া নিজেকে সামলে নেয়। শাকের আস্তরন ভেদ করে মাছটা বেরিয়ে পড়বার ভয় এবং সন্দেহ দুটোই ছিল মনে। তবু সেটাকে আড়াল করার চেষ্টা নিয়ে বেহাইয়ের সঙ্গে কুশল বিনিময় করার জন্য হাসিমুখে এগিয়ে যায়, তারপর হাত বাড়িয়ে মোলাকাত করে, এবং স্ত্রী কমলা বেগমকে হুকুম দেয় এক্ষুনি রান্না-বান্না শুরু করার জন্য। বলতে বলতে জব্বার মিয়া নিজেই ঘর থেকে চেয়ার বের করে আনতে গেলে বেহাই বাধা দিলেন। তবু সে বাধাকে উপেক্ষা করে জব্বার মিয়া চেয়ার এনে আঙ্গিনায় বসতে দিলেন। কিন্তু কি দিয়ে খাবার আয়োজন করবে তা ঘরে নেই, কমলা বেগমের এমন একটা ইঙ্গিত পেয়ে তড়িঘড়ি পাঞ্জাবিটা গায়ে দিতে দিতে নিকটস্থ মুদিদোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জব্বার মিয়া উদ্যত হয়। কিন্তু ঘোরতর আপত্তি জানিয়ে বেহাই তাকে থামিয়ে দিলেন, এবং বলে বসলেন-‘আপনি যদি খাবার আয়োজন করেন তাহলে আমরা এক্ষুনি চলে যাবো।’
হঠাৎ থতমত খেয়ে জব্বার মিয়া থেমে যায়। বেহাইয়ের মুখের দিকে সে তাকিয়ে দেখে, ক’দিন আগের বেহাই আর আজকের বেহাইয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য। কী বলতে গিয়ে যেন সাহস হারিয়ে ফেলে। ভিতরে তার কী একটা দুর্বলতা যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে তুলছে।
বেহাই আবার বললেন- ‘আমরা এক্ষুনি চলে যাবো। এসেছি একটা কথা শোনার জন্য, শুনেই চলে যাবো।’
জব্বার মিয়া নিজের ভেতরে উৎকণ্ঠিত হয়ে ওঠে। কী শুনবে আর কী তার উত্তর দেবে কিছুই বুঝতে পারে না। কতক্ষণ সে ‘থ’ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তার মুখের দিকে তাকিয়ে খানিকক্ষণ ইতস্ততঃ করে বেহাই বলে- ‘যা শুনলাম তা কি সত্য ?’
কথা শুনে হঠাৎ চমকে ওঠার ভান করে জব্বার মিয়া। চোখে মুখে ভয়ের ছায়া পড়ে তার। তবু হাসবার ভান করে বেহাইকে সে পাল্টা প্রশ্ন করে- ‘কি শুনলেন আবার ?’
বেহাইয়ের ভ্রু কুঁচকে যায়, কপালে ভাঁজ পড়ে। তারপর চোখ জোড়া সরু করে তীক্ষè স্বরে বলে- ‘কী শুনলাম মানে ? শুনলাম আপনার মেয়ে নাকি কোন্ ছেলের সাথে কী ঘটিয়েছে ?’
নরম কাদার মধ্যে থেকে মাছ যেমন গদ্গদ্ করে নড়ে ওঠে, বেহাই এবার আসল কথা বলাতে জব্বার মিয়ার বুকের মধ্যে তেমনি কিছু একটা নড়ে ওঠে। সে কাঁপা কাঁপা গলায় কিছু বলার চেষ্টা করলে, বেহাই তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে- ‘আপনি স্বীকার করেন বা না করেন, আমরা যাচাই করেই এসেছি। তাছাড়া......।’
বেহাইয়ের মুখে বাকি কথা আটকে যায়। তারপর লজ্জামাখা ভঙ্গিতে মাটির দিকে তাকায় সে। তার সাথে আসা লোক দু’টো জব্বার মিয়ার মুখের পানে করুণা ভরা চোখে তাকিয়ে থাকে। বেহাই একবার সঙ্গী দু’জনের দিকে তাকায়, তারপর জব্বার মিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে নিঃসংকোচে বলে- ‘বেহাইসাব তো জানেনই আমার একটা মাত্র ছেলে। আপনার মেয়ের কান্ড শুনে সে খুব দুঃখ পেয়েছে। তাছাড়া, বিয়ে করার ছ’মাসই হলো না এর মধ্যেই আপনার মেয়ে তাকে এমন একটা দুঃখ দিলো। এজন্য আমাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সে আর অমন কলঙ্কিনী স্ত্রীকে নিয়ে ঘর সংসার করবে না, এবং অচিরেই তালাকনামা পাঠিয়ে দিবে। এতে আমার কিছুই করার নেই।’
এ পর্যন্ত বলেই বেহাই উঠে দাঁড়িয়ে সঙ্গী দু’জনকে প্রস্থানের ইঙ্গিত করলো, এবং জব্বার মিয়ার অনুমতি ছাড়াই দ্রুতপদে আঙ্গিনা ত্যাগ করলো। সেদিকে এরা সবাই নিধান্দা তাকিয়ে রইলো।
বজ্রপাতে মরা মানুষের মতো একটা চেয়ারের হাতল ধরে জব্বার মিয়া সটান্ দাঁড়িয়ে ছিল। নিজেকে সামলাতে না পেরে হঠাৎ সর্বস্ব হারানো মানুষের মতো সে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে মাটিতে বসে পড়লো।
কমলা বেগম ঘোমটা টেনে দরজার মুখেই দাঁড়িয়ে ছিল। স্বামীর কান্না দেখে সেও আকাশ বিদির্ণ করা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো। আঙ্গিনার ওধারে ছোট ছেলে-মেয়ে দু’টি কী যেন করছিল, কান্নার শব্দে তারা ছুটে এসে বাপ-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। জব্বার মিয়ার ছোট ভাই সাত্তার মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা ছিল, তারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়লো। সমস্ত বাড়িটাই যেন কী একটা নিরাশার ঢেউয়ের দোলায় দুলতে লাগলো।
এদের এই হাহাকার করা কান্নার শব্দ প্রতিবেশিদের কানে কতদূর পৌঁছিল জানিনা, তবে কোন সাবালক নারী কিংবা পুরুষ প্রতিবেশি সমবেদনা জানানো দূরে থাক তামাশাও দেখতে এলো না। শুধু খেলায় মত্ত দু’চারটি শিশু কৌতুহলবশত ছুটে এসে নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।
হয়তো বা দু’চারজন প্রতিবেশি আসতো সমবেদনা জানাতে কিংবা তামাশা দেখতে, কিন্তু জব্বার মিয়ার আঙ্গিনায় আসতে হলে যে মস্ত একটা ইটের বাড়ী পেরোতে হয়, সেই হচ্ছে তাদের অসুবিধা। কারণ, ঘটনার নায়ক এই ইটের দালানওয়ালা বাড়ির মালিকেরই কনিষ্ঠ পুত্র। আর স্তরে স্তরে গাঁথা সেই বিবর্ণ রক্তরাঙ্গা শুস্ক কঠিন ইটগুলিকে তারা ভয় করে। যে ইটের দালান ঘটনার পর থেকেই গম্ভীর ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তবে জব্বার মিয়া এবং তার পরিবারের কান্নার শব্দে প্রতিবেশীদের প্রাণ না কাঁপলেও  হঠাৎ ইটের দালান কিন্তু কেঁপে ওঠে। হয়তো সমবেদনায় নয়, হয়তো বা ইটের দালানের ভিত্তির নিচে যে নরম মাটি আছে ; সেই মাটি ধ্বসে পড়ার ভয়ে। দালানের ভেতর থেকে তাই গর্জন শোনা যায়। সিংহের মতো ভয়ংকর সে গর্জন। সে গর্জন রইচ কেরানির। তার কণ্ঠে শোনা যায়, ‘সব ষড়যন্ত্র ! ষড়যন্ত্র করে আমার মান-সম্মান এরা ধূলিসাৎ করে দিতে চায়। পুঁটিমাছ হয়ে রুইয়ের লেজে ঠোকর দেওয়ার মজাটা দেখিয়ে ছাড়বো আমি।’
এদিকে জব্বার মিয়ার কলঙ্কিনী কন্যা কল্পনা ঘটনার পর থেকেই বিছানায় মুখথুবরে পড়ে কাঁদছিল স্বামী সংসার হারানোর ভয়ে। শ্বশুরের মুখে এ বিষয়ে তার স্বামীর সিদ্ধান্তের কথা শুনে পাথরে হোঁচট খাওয়ার মতো হঠাৎ তার কান্না থেমে গিয়ে, একটা চিন্ চিনে ব্যথা, কতক্ষণ বুকটাকে অবশ করে রেখেছিল। তারপর বাপ-মায়ের কান্না শুরু হলে আবারও তার বুক ভেঙ্গে কান্না আসছিল। কিন্তু পাশের বাড়ীর ইটের দালান ভেদ করে যে কর্কশ, রুক্ষ এবং নির্দয় গর্জন ভেসে এলো, এতে তার বুকভাঙ্গা কান্নাটা আর স্বশব্দে প্রকাশ হতে পারলো না। বরং তার বদলে একটা চিন্ চিনে জ্বালাময় ক্রোধ বুক বেয়ে কণ্ঠকে রুদ্ধ করে মাথায় এসে সমস্ত মগজটাকে আচ্ছন্ন করে ফেললো। সে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পেলো না, হয়তো বা ভাষাহীন একটা উপায় খোঁজার চেষ্টা করতে লাগলো।
জব্বার মিয়া ভীতু লোক। যাদের জন্য তার মেয়ের এতবড় সর্বনাশ হয়ে গেলো, তাদের প্রতি মনে ক্ষোভ জন্মালেও অসচ্ছল জীবনের নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সে প্রতিবাদ করার সাহস হারিয়ে ফেলে। তবে তার ছোট ভাই সাত্তার মিয়া সাহসী লোক ছিল। নিজের আর্থিক শক্তি-সামর্থ না থাকলেও সে কাউকে পরোয়া করতো না। প্রতিপক্ষ সে ধনী হোক আর গরীব হোক, বাঘ হোক আর সিংহ হোক প্রতিবাদ সে করতোই। সে জন্য ‘গোঁয়ার’ বলে খ্যাতি আছে তার গ্রামে। ক’দিন হলো সে বাড়িতে নেই। কোথায় গিয়েছে তাও কেউ জানে না। এমন কি তার স্ত্রী পর্যন্ত জানেনা। মাঝে মধ্যেই সে এমন করে। কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়। এদিকে স্ত্রী-সন্তান কি হালে রইলো তা যেন সে চিন্তাই করে না। একেবারে ‘উড়নচন্ডী’। সে আড্ডাবাজ লোক। জুয়া খেলারও নেশা আছে তার। কী জানি কী করতে সে এমন নিরুদ্দেশ হয় তা আজও কেউ জানে না।
কিন্তু এই গোলমালের মধ্যে হঠাৎ সে ঝড়ের বেগে উপস্থিত হয়ে নীরব ব্যাপারটাকে সরব করে তুললো। তার আস্ফালনের শব্দে প্রতিপক্ষ জেগে উঠলো। সাত্তার মিয়া বাড়ীতে ঢোকার আগেই ঘটনার বিস্তারিত জেনে এসেছে। তাই প্রথমেই ভাইঝিকে এমন ঘটনা ঘটানোর জন্য এবং ভাইকে এমন ঘটনার পরও মুখবুঝে থাকার কারণে যাচ্ছেতাই ভর্ৎসনা করলো। তারপর এক্ষুনি আদালতে নারী নির্যাতন মামলা ঠুকবে বলে দ্রুতপদে আঙ্গিনা থেকে বেরিয়ে বীরের উন্মাদনায় চিৎকার করতে লাগলো। কিন্তু মামলা করলে যে সাক্ষির প্রয়োজন, এজন্য সে প্রতিবেশীদের মধ্যে সাক্ষি তথা ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শীর সন্ধান করতে লাগলো।
‘আসামী হওয়া ভালো তবু সাক্ষি হওয়া ভালো নয়’ এমন একটি কথা গ্রাম সমাজে প্রবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, সাক্ষ্য দেওয়ার ঝুঁকি অনেক। তাছাড়া এখানে বাদী দুর্বল এবং বিবাদী শক্তিমান হওয়ায় ঝুঁকির ব্যাপারটা স্পষ্ট বিধায়, ঝুঁকি নিতে কেউই রাজি নয়। সুতরাং প্রত্যাক্ষদর্শী থাকলেও কেউ দুর্বল বাদীর পক্ষে এসে দাঁড়াবে এমন আশা করা যায় না। সে জন্যই বোধ হয় সাত্তার মিয়া অনেক অনুসন্ধানেও কোন প্রত্যাক্ষদর্শীর অস্তিত্ব খুঁজে পেলো না।
যদিও আমরা জানি কোন প্রত্যাক্ষদর্শী ছাড়া কোন ঘটনাই প্রকাশ হয় না। যতক্ষণ না ঘটনাকারী দু’পক্ষের কেউ তা প্রকাশ করে। সাত্তার মিয়ার বিনিত আহ্বান সত্বেও এ বিষয়ে কেউই মুখ খুললো না। তাদের বক্তব্য তারা কিছু জানেনা, তবে শুনেছে। কেউ ‘শুনেছি’ বললেই তো প্রত্যাক্ষদর্শীর অস্তিত্ব আছে বলেই ধরা যায়, অথচ বাস্তবে সাত্তার মিয়া খুঁজে পেলো না। অবশেষে নিরাশ হয়ে নিজের উঠানে ফিরে এসে রাগে, ক্ষোভে, অভিমানে প্রতিবেশিদের উদ্দেশ্যে গালাগাল ছুড়তে লাগলো। অতপর পরিষদের চেয়ারম্যান এবং গ্রামের মাতবরদের কাছে নালিশ জানানোর উদ্দেশ্যে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো।

(চলবে..)

০ Likes ৯ Comments ০ Share ৮৫৮ Views

Comments (9)

  • - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    অকবিতাও যে কখনো কখনো এমন সুন্দর কবিতা হয়ে উঠতে পারে, এই কবিতাটি না পড়লে বোঝা যায় না। খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ, প্রিয় বৈশাখী ঝড়।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ আপনার এমন সুন্দর মন্তব্যর জন্য। ভাল থাকবেন সতত।

    - ধ্রুব তারা

    অকবিতাকে কবিতাই মনে হল।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ। তবে তো লেখা সার্থক বলা চলে

    - আলমগীর সরকার লিটন

    সুন্দর অনুভূতির কবিতা

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ আলমগীর ভাই

    Load more comments...