আমি গর্ব করে বলতে পারি ...... সিলেট এবং আমার এলাকা মানে হবিগঞ্জ আসলেই সুন্দর একটা জেলা । এখানে চারদিকে ছড়িয়ে সবুজ আর সবুজ, ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ ট্রেন জার্নিটাও বেশ উপভোগ্য ....... কোথাও ধু ধু প্রান্তরে শুধু পানি আর পানি কোথায় দৃষ্টির সীমানা যতদুর যায় ততদুরই সবুজ ধান ক্ষেত । একেক সিজনে একেক রকম সুন্দর । কোন মৌসুমে সরষে ফুলের হলুদ আলিঙ্গনে জড়িয়ে রাখে মন দেহ....... ঘ্রানের মাদকতা ছড়িয়ে দেয় মনে । অন্য রকম ভাল লাগার আবেশে আপনিও হয়ে পড়বেন আনমনা । মাছ মারার মৌসুমে এখানে সেখানে জাল টেনে মাছ ধরার দৃশ্যও অভূতপূর্ব লাগে । থই থই পানিতে কোথাও কোথাও ফুটে থাকে সাদা সাদা শাপলা । কখনো দেখা যায় ছোট ছোট ডিঙ্গি করে মানুষ যাচ্ছে..... তখন আমারও মন চায় যে একটু যদি এমন করে পানিতে ভাসতে পারতাম । ট্রেন জার্নির পুরোটাই যেন আমার কাছে স্বপ্নময় লাগে ..... ক্যামেরা হাতে নিয়ে ক্লিকাই অনবরত ,,,,, ছবি ভাল আসুক আর না আসুক । জার্ণির শেষ পর্যন্ত অসহ্য ভাল লাগা লেগে থাকে মনে । হবিগঞ্জের গ্রামগুলোও অনেক সুন্দর...... শাহজি বাজার যখন ট্রেন আসে তখন এত্তগুলা ভাল লাগে । রাবার বাগান, চা বাগান, পাহাড়, পাওয়ার স্টেশন সব কিছুই যেন স্বপ্নময় লাগে । আমাদের থানায় ৭/৮টি চা বাগান আছে । আছে পশুপাখিদের অভয়ারণ্য । পামওয়েল বাগান, চারদিক শুধু সবুজ আর সবুজ । আমাদের রাস্তাঘাটগুলো অনেক ভাল । আমাদের গ্রামে বাড়ির পিছনের রাস্তা পাকা । আর সামনের রাস্তা বড় কাঁচা রাস্তা । সিএনজি নিয়ে আমাদের উঠানে গিয়ে নামি । বিদ্যুত বহু বছর আগে থেকেই এসেছে যখন ফোর ফাইভে পড়ি তখন । পুকুর আছে, ধানের সবুজ মাঠ দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে । আছে খোয়াই নদী, যেখানে শীতের দিন বিকেলে সকলে মিলে ঘুরতে যেতাম আর বালু পানিতে হেটে বেড়াতাম । সব বিকালগুলো ছিল ভাল লাগার বিকাল.......ছিল ......... (এটুক অংশ আগে প্রকাশিত) আমার ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে আগষ্টে গিয়েছিলাম হবিগঞ্জ........ বিয়ের ঝক্কি ঝামেলা দুইদিনে শেষ হলে । বর কনে , কনের বাপের বাড়িতে গেলে দেখলাম আমার করার কিছুই নাই । এদিকে সীন মীমও তাদের বাপের সাথে ঢাকা চলে আসছিল । ১। এটা সিএনজি থেকে তোলা.......... সবুজ বন জংগলের ওপারে নীল আকাশ |
সিএনজি করে চা বাগানে ঢুকলাম ..... হঠাৎ চা গাছের ফাঁক দিয়ে দেখলাম অনেকগুলে বানর । সিএনজি থামিয়ে সবাই দিলাম দৌড় বানরের ছবি উঠাবো বলে কিন্তু বানর কি আর থাকে আমাদের দৌড় দেখে .......... মাত্র একটা ছবি জুম করে উঠালাম .... ২। বান্দরের দল......... এখান থেকে ছবি তুলে আবার রওয়ানা হলাম সাতছড়ি চা বাগানের উদ্দেশ্যে |
৩। পৌছে গেলাম সাতছড়ি । |
৪। প্রথমেই পামওয়েল গার্ডেন......... |
৫। পামওয়েল গার্ডেন....... |
হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ দেখি লেম্বু বাগান মানে লেবুর বাগান........ দুষ্টু পোলাপাইন বলা নাই কওয়া নাই ঢুকে গেল বাগানে আর লেবু পারা শুরু করে দিল । আমি বললাম আমি এসবে নাই........ একটা ক্লিক চোরদের ৬। লেবু বাগান |
এসব আজব কাজকর্ম সেড়ে আসলাম সুন্দর একটা বাংলোর মত ঘরে । এখানে সবাই মিলে ছবি তুললাম অনেক । মানুষ জন নেই । একবারে সুনসান নিরবতা.,........ কয়েকজন ছিলাম বলে নাইলে ভয়ই লাগত ৭। বাংলো না কি জানি এটা হয়তো রেষ্ট হাউজও হতে পারে |
৮। আরেকটি ছবি |
ছবিতুলে আবার রওয়ানা হলাম চা বাগানের ভিতরে ঢুকার জন্য....... প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে ৯। চা গাছ |
১০। আরো কয়েকটি ছবি চা গাছের |
১১। |
১২। |
১৩। |
১৪। |
১৫। |
১৬। |
১৭। রাস্তার পাশে এভাবেই সুন্দর মনোরম রঙ্গের ফুলগুলো ফুটেছিল |
ছবি তোলার মাঝে হঠাৎ দেখি একটা ছেলে গান গেয়ে আসতেছে । প্রথমেই আমরা তার দিকে চেয়ে আছি । সে একটুও বিব্রত হয়নি দেখে আমরা ভাবছি এখানকার পাবলিক । ভবঘুরে টাইপের হবে । হঠাৎ আমাদের সামনে এসে বলে বাবু টাকা দে ভাত খাব........ আর হাসতেছে । তখন বুঝলাম সে মাতাল........ সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এল .... ১৮। |
১৯। |
২০। |
২১। |
২২। |
২৩। |
২৪। |
২৫। |
২৬। |
২৭। |
২৮। |
২৯। |
৩০। |
৩১। |
ভাইবোনেরা অনেক্ষণ হইহুল্লোর করে ছবি উঠানো শেষ করে সিএনজিতে আসলাম । সেখানের থাকাটা আর নিরাপদ নয় ভেবে দৌড়াইয়া আইসা বসছি । সুর্য পশ্চিম দিকে আর নেই । ডুবে গেছে । কিন্তু রেখে গেছে রক্তিম আভা । প্রচন্ড সুন্দর বেসম্ভব সুন্দর আকাশ সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসছিলাম...... ৩২। কি সুন্দর আকাশ । ছবিগুলো সিএনজি থেকে তোলা তাই এতটা ভাল আসেনি |
৩৩। |
৩৪। পানির মধ্যে সূর্যের লাল আভা.......... ভয়ানক সুন্দর লাগছিল কিন্তু ছবি ভাল উঠাতে পারিনি । |
এখানেই শেষ । এর পরের দিন গিয়েছিলাম অভয়ারণ্যে । সেটা আগামী দিব আশা রাখছি...... ছবির সাইজ ছোট করে দিলাম যাতে আপনাদের অসুবিধা না হয় । বড় দেখতে চাইলে আমি দেখাতে পারব । |