“সহযাত্রী আমরা”
রাত একটা ত্রিশ, সাইরেনের তীক্ষ্ণ হুইসেল- হঠাৎ চুরমার করে দিল রাতের সবটুকু নীরবতা। সামনে জমাট বাঁধা অন্ধকার, ঠিক যেন অনিশ্চয়তার মত। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর; সীমান্ত পেরিয়ে পায়ে হাঁটা পথে আরো প্রায় ত্রিশ মাইল… আমরা চলেছি দিশেহারার মত- ভীতু হরিণের ক্ষিপ্রতায়; আমাদের একে অপরের সাথে কথোপকথন নেই, সময় ভীষণ কম। পাছে ধরা পড়ে যাই- রাতের বাতাসে গাছের পাতায় উন্মাদিনী’র ক্রন্দন। ধোঁয়াটে আকাশে চিরচেনা একফালি নবমীর চাঁদ; তার থিকথিকে আলোয় চরাচর যেন খুব বেশি করে অচেনা- ঠিক খেই হারিয়ে ফেলা প্রসঙ্গের অস্বস্তি হয়ে জড়িয়ে রাখার মত। এখন রাত খুব বেশি গভীর, হয়তো তিনটে কি আরো বেশি। আমরা তের জন মানুষ, নানা বয়েসী আর নানা জাতের... অথচ, এখন আমরা সবাই এক- এক এবং অভিন্ন; নিরুত্তাপ হৃদয়ে ব্যাথায় টনটন করা পা ফেলে সবাই চলছি- রাত পোহাবার আগেই আমাদের যেতে হবে অনেক দূরে। মাথায় আনকোরা কোন বিপদের শিরস্ত্রান পরে সেই যে নেমেছি পথে তারপর আর ফেরা হয়নি ঘরে… হঠাৎ গুলির আওয়াজ, লুটিয়ে পড়ল কেউ? কে জানে- আবারো নৈশব্দ, আবারো পথচলা। চাঁদ ডুবে গেল এই খানিক সময় আগে; আঁধার এখন অনেক জমাট। বাতাসের হিস হিস আর পায়ের আওয়াজে চলে এসেছি বহুদূর, হয়তো ভোর হতে এখনও ঢের দেরি, কিন্তু- সময় ভীষণ কম, আমাদের যেতে হবে অনেক দূর…… ----------------------------------------------কৃষ্ণেন্দু দাস
রাত একটা ত্রিশ, সাইরেনের তীক্ষ্ণ হুইসেল- হঠাৎ চুরমার করে দিল রাতের সবটুকু নীরবতা। সামনে জমাট বাঁধা অন্ধকার, ঠিক যেন অনিশ্চয়তার মত। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর; সীমান্ত পেরিয়ে পায়ে হাঁটা পথে আরো প্রায় ত্রিশ মাইল… আমরা চলেছি দিশেহারার মত- ভীতু হরিণের ক্ষিপ্রতায়; আমাদের একে অপরের সাথে কথোপকথন নেই, সময় ভীষণ কম। পাছে ধরা পড়ে যাই- রাতের বাতাসে গাছের পাতায় উন্মাদিনী’র ক্রন্দন। ধোঁয়াটে আকাশে চিরচেনা একফালি নবমীর চাঁদ; তার থিকথিকে আলোয় চরাচর যেন খুব বেশি করে অচেনা- ঠিক খেই হারিয়ে ফেলা প্রসঙ্গের অস্বস্তি হয়ে জড়িয়ে রাখার মত। এখন রাত খুব বেশি গভীর, হয়তো তিনটে কি আরো বেশি। আমরা তের জন মানুষ, নানা বয়েসী আর নানা জাতের... অথচ, এখন আমরা সবাই এক- এক এবং অভিন্ন; নিরুত্তাপ হৃদয়ে ব্যাথায় টনটন করা পা ফেলে সবাই চলছি- রাত পোহাবার আগেই আমাদের যেতে হবে অনেক দূরে। মাথায় আনকোরা কোন বিপদের শিরস্ত্রান পরে সেই যে নেমেছি পথে তারপর আর ফেরা হয়নি ঘরে… হঠাৎ গুলির আওয়াজ, লুটিয়ে পড়ল কেউ? কে জানে- আবারো নৈশব্দ, আবারো পথচলা। চাঁদ ডুবে গেল এই খানিক সময় আগে; আঁধার এখন অনেক জমাট। বাতাসের হিস হিস আর পায়ের আওয়াজে চলে এসেছি বহুদূর, হয়তো ভোর হতে এখনও ঢের দেরি, কিন্তু- সময় ভীষণ কম, আমাদের যেতে হবে অনেক দূর…… ----------------------------------------------কৃষ্ণেন্দু দাস