কৌতুকটি হয়তো অনেকেরই জানা। বয়সে বৃদ্ধ হলে কথা বেড়ে চায়, সেই সাথে কমে যায় কথা শুনার লোক। এই ভয়েই বৃদ্ধ হচ্ছি না আজকাল! বলতে পারেন, খুব সাবধানে আস্তে আস্তে বৃদ্ধ হচ্ছি। অধীনস্ত কোন সহকর্মী এখনই মিটিংএ বসে ঘড়ি দেখলে, তাকে সাথে সাথে সাবধান করে তারপর পরের কথায় যাই। এবার বুঝুন, সত্তর পেরোলে কী করবো! আমার এক ‘অসম বয়সের’ বন্ধু ছিলেন, যার বয়স পঞ্চাশের ওপরে। কিন্তু মনের বয়স পঁচিশের কাছাকাছি। কেউ বয়স জিজ্ঞেস করলে তিনি সোজা উত্তর বলতেন, পঁচিশোর্ধ। মনটা অজান্তেই হুহু করে ওঠে। প্রৌঢ় বয়সের চিরকুমার বন্ধুটি অতিরিক্ত ধূমপান করতেন এবং তার ক্যানসার হয়েছে এ বিষয়টি আবিষ্কার হবার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি মারা যান। দুঃখের কথা যাক।
কৌতুকটি হলো অন্যের কথা শুনা এবং নিজের ঘুম ঘুমানো নিয়ে। দাদাজান তো কথা বলতেই থাকেন। শুধু “হু-হা, তাই নাকি, ওহ তাই...” জায়গামতো এসব বলতে পারলে তিনি শুনিয়ে যেতে পারেন সমগ্র জীবন বৃত্তান্ত। এমনই এক রাতে দাদার দুই নাতিই ঘুমিয়ে পড়লো। দাদার সেই খেয়াল নেই। গল্প শেষ করে দেখলেন যে, নাতিরা সবাই ঘুমে কাত। সকাল হলেই দাদা ডেকে নিলেন দুই নাতিকে।
:তোরা তো আমার সাথে চালাকি করেছিস গত রাতে!
:কেন দাদাজান, আমরা আবার কী করলাম?!
:আমাকে রাতভর কথা বলতে দিয়ে তোরা সব নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিস!
:আপনি রাতভর কথা বলেছেন, আমাদেরকে ঘুমে রেখেই? আমাদের দিকে তাকান নি?
:আমি তো লক্ষ্য করি নি। শেষ রাতে এসে দেখলাম তোরা ঘুমাচ্ছিস। রামছাগল গুলো!
:ওহ আচ্ছা, তাই নাকি? দাদাজান, আমরা তো আপনাকে অবিশ্বাস করি না যে, সব কথা শুনে বিশ্বাস করতে হবে।
:মানে কী! অবিশ্বাসের কথা আসছে কেন?
:আপনি যে সত্যি কথা বলবেন তা আমরা জানতাম। তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
তাজা খবরে জানতে পারলাম: বর্তমান সরকারে একজন শক্তিমান মন্ত্রী এবং দু’জন সাবেক মন্ত্রী আজ সংসদে বসে ঘুমিয়েছিলেন। তখনও স্বাভাবিক বৈঠক চলছিলো এবং কথা বলছিলেন কোন মন্ত্রী - পরিচালনা দিচ্ছিলেন স্পীকার। সংসদে যে সবাই সত্য কথা বলেন, তা ওই তিন মন্ত্রী বিশ্বাস করতেন, তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে।