Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আল ইমরান

১০ বছর আগে

"সবার জন্য শুভকামনা রইল"

মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি গঠিত হয় তার চিন্তা থেকে, আর চিন্তা তৈরি হয় বিশ্বাস থেকে, কোন কিছু বোঝার পরই তৈরি হয় বিশ্বাস, আর বুঝা যায় ঐ বিষয় সম্পর্কে জানলে। তাই আমাদের আচরন বা দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন বা উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখতে হয়। আজ আমি একটা বিশেষ ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের অভিহিত করব, যেটা জানার পর আপনারা পারতপক্ষে বদদোয়া বা খারাপ চিন্তা করবেন না।
আমাদের চিন্তা বা Thoughts হচ্ছে একধরনের চৌম্বক তরঙ্গ বা Magnetic Wave। আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক হচ্ছে এটার ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার। যেহেতু এটা একধরনের তরঙ্গ। তাই বলা যায় এটার একটা ন্যূনতম শক্তি রয়েছে। এবং এটা এর কম্পাঙ্কের উপর ভিত্তি করে আকর্ষণ শক্তি প্রয়োগ করে। এই চিন্তাশক্তি আমাদের জীবনের উপর প্রচুর প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের মস্তিষ্ক প্রতিদিন ৬০০০০ চিন্তা করতে পারে। যা আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। যার ফলে অনিয়ন্ত্রিত চিন্তা আমাদের কোন ভালো ফলাফল এনে দেয় না তবে আমাদের কিছু ক্ষতি করে। ঠিক একারনেই আমরা চিন্তাশক্তির ব্যাপকতা বুঝতে পারি না।


এটাকে আমরা সূর্যের আলোর রশ্নির সাথে একটি পরিক্ষামুলক তুলনা করতে পারি। সূর্য কিরন প্রতিমুহূর্তে এই পৃথিবীতে পড়ছে। কিন্তু কোথাও কিন্তু সহসাই আগুন ধরে যাচ্ছে না। বা আমরা যখন রোদে হাঁটছি, আমাদের গা পুড়ে যাচ্ছে না। এই সূর্য রশ্নিকেই যদি একটি ম্যাগ্নিফ্লাইং গ্লাস এর মাধ্যমে একীভূত করা যায় বা ফোকাস করা যায়, তবে আমরা দেখতে পাই যে ফোকাস বিন্দুতে তাপ তৈরি হচ্ছে। এবং এটা ব্যাবহার করে দ্রুত আগুন ধরানোও সম্ভব। তেমনি আমাদের চিন্তাগুলো কে একীভূত করে অনেক অসাধ্য ঘটনা ঘটানো সম্ভব।


আমাদের চিন্তা আমাদের আশেপাশের পরিবেশের উপরও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। অর্থাৎ আপনি যদি ভালো কিছু চিন্তা করেন তবে ভালো কিছু ঘটবে। এবং খারাপ চিন্তার ফসল ও খারাপ হবে। আর যেহেতু আপনার মস্তিষ্ক এটার ট্রান্সফরমার এবং রিসিভার তাই আপনার ভালো বা মন্দ চিন্তার বা ফ্রিকয়েন্সির তরঙ্গ তার পূর্ণ চক্র কমপ্লিট করার জন্য আপনার কাছেই ফিরে আসবে। আর আসার সময় তার প্রকৃতি অনুসারে আরও কিছু এনার্জি নিয়ে আসবে। অর্থাৎ পজিটিভ হলে পজিটিভ এবং নেগেটিভ হলে নেগেটিভ।


আমাদের চিন্তা যে বস্তুতে পরিণত হয় বা বস্তুর উপর প্রভাব বিস্তার করে এই নিয়ে জাপানের একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডঃ ইমোতো (Dr. Emoto) ১৯৯০ সালে দুটি পরীক্ষা করেন।


প্রথম পরিক্ষায় উনি দুটি বয়ামে ভাত নেন। একটি বয়ামের উপর লেখেন “আমি তোমাকে ভালবাসি” এবং অন্যটিতে লেখেন “আমি তোমাকে ঘৃণা করি”। বয়াম দুটি উনি দুটি স্কুলের গেইটে রাখেন এবং বাচ্চাদের বলেন যে প্রতিদিন স্কুলে ঢুকার এবং বের হওয়ার সময়, যে বয়ামে যা লিখা আছে, তা বয়ামের সামনে দাড়িয়ে বলতে। সাত দিন পরের চিত্রটা ছিল এমন.............



দ্বিতীয় পরীক্ষা উনি করেন পানির উপর। ভিডিওটি মনযোগ দিয়ে দেখুন...............
পানির উপর চিন্তার প্রভাব


যদি পানির উপর আমাদের চিন্তা প্রভাব বিস্তার করতে পারে তবে মানুষের ক্ষেত্রে সেটা কি হতে পারে, যেখানে মানুষের শরীরের ৬০% পানি??


একটু ভাবুন!!!!! অন্যের জন্য বদদোয়া করলেও কিন্তু সেটা আমাদের জন্যও সত্য হয়ে যেতে পারে। কারন পানি আমাদের শরীরেও আছে।


তাই আজ থেকে আসুন আমাদের চিন্তার ধারা এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করি। এবং সবার জন্যই দোয়া করি। অর্থাৎ Good Wish করি।


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ভালো চিন্তা করুন। আর আমার জন্যও দোয়া করুন।


শুভকামনা সবার জন্য
১ Likes ৬ Comments ০ Share ৫০৩ Views

Comments (6)

  • - আনমনা

     

    "নিজ হাতে ছুয়েছি আকাশ

    সেথায় কি মেঘ জমতে পারে।।"

    বাহ্‌। দারুন তো। 

    - লুব্ধক রয়

    ধন্যবাদ। সুন্দর লেখা।

    - zomir uddin milon

    Load more comments...