Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

শ্রদ্ধাঞ্জলী কবি সুফিয়া কামাল

শ্রদ্ধাঞ্জলী কবি সুফিয়া কামাল শ্রদ্ধাঞ্জলী
/////////////////////////////
আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা
তোমরা এ যুগে সেই বয়সেই লেখাপড়া কর মেলা।
আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি
তোমরা এখন কলের জাহাজ চালাও গগন জুড়ি।
উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা
আমরা শুনেছি সেখানে রয়েছে জিন ,পরী, দেও, দানা।
পাতালপুরীর অজানা কাহিনী তোমরা শোনাও সবে
মেরুতে শ্মেরুতে জানা পরিচয় কেমন করিয়া হবে।
তোমাদের ঘরে আলোর অভাব কভূ নাহি হবে আর
আকাশ-আলোক বাঁধি আনি দূর করিবে অন্ধকার।
শস্য-শ্যামলা এই মাটি মা’র অঙ্গ পুষ্ট করে
আনিবে অটুট স্বাস্থ্য, সবল দেহ-মন ঘরে ঘরে।
তোমাদের গানে, কল-কলতানে উছসি উঠিবে নদী-
সরস করিয়া তৃণ ও তরুরে বহিবে সে নিরবধি
তোমরা আনিবে ফুল ও ফসল পাখি-ডাকা রাঙা ভোর
জগৎ করিবে মধুময়, প্রাণে প্রাণে বাঁধি প্রীতিডোর।
কবি সুফিয়া কামাল
//////////////////////////////////

২০ নভেম্বর বাংলার নারী জাগরনের অগ্রদূত শান্তিপ্রিয় নেত্রী মানবতা ও মূল্যবোধের প্রতীক ভাষাসৈনিক প্রথিতযশা লেখক ও কবি সুফিয়া কামালের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।
কবির জন্ম হয়েছিলো ১৯১১ সালে বরিশালের শায়েস্তাবাদে এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে।শৈশবে উনি প্রথম বাড়ীতেই বাংলায় লেখাপড়ার পাঠনেন উনার মায়ের কাছথেকে।তৎকালীন সামাজিক অবস্থা ও নারীদের জন্য নানা বিধি নিষেধ পেরিয়ে বহু ঘাত প্রতিঘাতের নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তারুণ্য ও কবির জীবন সংগী সাহিত্যর দিকনির্দেশক স্বামী নেহাল হোসেনকে হারিয়ে জীবনের কঠিন সময় পাড়ি দিয়েছেন।

চট্রগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম চুনতির ডেপুটি বাড়ীর জনাব কামাল উদ্দিন খানকে বিবাহের (১৯৩৯ সালে)মধ্যে দিয়ে কবি সুফিয়া কামাল জীবনের এর এক অধ্যয় শুরু করেন।

১৯২৬ সালে উনার প্রথম কবিতা “বাসন্তী” তৎকালীন বিখ্যাত প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে প্রকাশিত হয়। ত্রিশের দশকে কলকাতায় অবস্থান কালীন সময়ে উনি খুব কাছ থেকে বাংলা সাহিত্যর প্রতিথযশা লেখক ও কবির সান্নিধ্য পান যাদের মধ্যে কবি নজরুল, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ, ও কবি শরৎচন্দ্র প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – সাঁঝের মায়া (১৯৩৮), মায়া কাজল (১৯৫১), মন ও জীবন (১৯৫৭), শান্তি ও প্রার্থনা (১৯৫৮), উদাত্ত পৃথিবী (১৯৬৪), দিওয়ান (১৯৬৬), মোর জাদুদের সমাধি পরে (১৯৭২)। আর গল্প – কেয়ার কাঁটা (১৯৩৭) ভ্রমনকাহিনী – সোভিয়েতে দিনগুলি (১৯৬৮), স্মৃতিকথা – একাত্তুরের ডায়েরি (১৯৮৯) ।
সুফিয়া কামাল ৫০টির বেশী পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মাঝে কয়েকটি - বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), সোভিয়েত লেনিন পদক (১৯৭০), একুশে পদক (১৯৭৬), বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯২), জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (১৯৯৫), দেশবন্ধু সি আর দাস গোল্ড মেডেল (১৯৯৬), স্বাধীনতা দিবস পদক (১৯৯৭) ।

১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশী নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন।

মহীয়সী কবি সুফিয়া কামালের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের অকৃতিম শ্রদ্ধাঞ্জলি।
০ Likes ১০ Comments ০ Share ৬৯৭ Views

Comments (10)

  • - ঘাস ফুল

    ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শহীদ দেশপ্রেমিক তিতুমীরের ১৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।  

    স্কুল জীবনে অনেক পড়েছি এই বীরের কাহিনী। আজ আপনারটা পড়ে আরও অনেক কিছু জানলাম এই বীরের সম্বন্ধে। ধন্যবাদ নুরু ভাই। 

    আপনি শিরোনামে দিয়েছেন ১৮৩তম আর নিচে লিখেছেন ১৮২তম। কোনটা ঠিক নুরু ভাই? 

    - নীল সাধু

    ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শহীদ দেশপ্রেমিক তিতুমীরের ১৮৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি রইলো -

     

    ধন্যবাদ নুরু ভাই।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    শ্রদ্ধান্জলী

    Load more comments...