কয়েকদিন পরেই এসএসসি পরীক্ষা। আমার ছাত্র ও আগে ছাত্র ছিলো এমন বেশ কয়েকজন এবার পরীক্ষা দেবে। এদের অনেকের সাথেই রাস্তায় দেখা হয়। ওরা হাসি মুখে বলে, ভাইয়া দোয়া করবেন। আমি গম্ভীর হয়ে দোয়া করি। শুভকামনা করি। পরীক্ষার্থীদের দোয়া করবার ব্যাপারে আমার একটা ঘটনা আছে। ঘটনাটা মজার। আমার এক কাজিন আমাদের বাসায় থেকে গতবছর ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছে। কাজিন প্রথম পরীক্ষার দিন সকালে আমার কাছে দোয়া চাইতে আমার আরামের ঘুমটা ভাঙালো।
-ভাইয়া আমার পরীক্ষা।
-অ! কিসের পরীক্ষা?
-আজকে যে ইন্টার পরীক্ষা তুমি জানো না?
-কস কি!
-ধুর! সবসময় ফাইজলামি ভাল লাগে না, দোয়া কর যেন পাশ করতে পারি।
-সারাদিন দেখি ঘ্যানর ঘ্যানর করে বই পড়তে, আর এখন বলতেছিস পাশ মার্ক পাওয়ার জন্য দোয়া করতে?
-আরে ধুর! বুঝাইছি যাতে ভালো করতে পারি!
-অ.. দোয়া করলেই হবে? নাকি ঝারফুক দেয়া লাগবে?
-উফফফ!
ওদিকে মা উচ্চস্বরে বলছে.. এইই! তুই রিভিশন দে। ঐ পাগলের সাথে প্যাচাল বন্ধ কর!
-কি পরীক্ষা?
-বাংলা।
-তাহলে বাংলাতেই দোয়া করি?
-ধুউর...! আমি যাই...!
আমি দোয়া করার ভঙ্গী করে বললাম... সবার ইন্টার পরীক্ষা ভালো হউক। পরীক্ষার মাঝে পেটেব্যাথা না হউক, যাতে টয়লেটে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট না হয়।
কাজিন গজগজ করতে করতে চলে গেল। আমিও ঘুমুতে গেলাম।
তবে এবার কথা না পেঁচিয়েই দোয়া করছি। সবাই ভালো রেজাল্ট করুক। আমাকে মিষ্টি খাওয়াক।
Comments (12)
শীতল স্রোতের আর জ্যোস্নায় বেঁজে উঠল
চেনা সুরে আমাদের রক্তের ভায়োলিন !
রক্তের ভায়োলিন! অভিনব হলেও অর্থবহ। রাজনৈতিক কবিতা ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ