Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সাইদুর রহমান

৯ বছর আগে

শুধুই তোমার জন্যে

শেষ প্রশ্ন

সাইদুর রহমান

 

একদা নিশিথে

জ্যোস্না রাত। ভার্সিটি শেষে সিফাত বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসল। সারা দিনের ক্লান্তিতে তার শরীরটা নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। তাই শরীরকে একটু প্রকৃতির মিতালীর আভাস দেয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে বেলকুনির গ্রীলের পাশে দাঁড়িয়ে রইল। হঠাৎ আচমকা একটা অজানা শব্দ হৃদয়ের মণিকোঠায় কড়নাড়া দিল। সিফাত সাথে সাথে পিছনে ফিরে তাকাল। দেখল নীল আকাশের পরী, পদ্মফুলের মত নিস্কলঙ্ক একটা চমৎকার সুন্দরী মেয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে। এহেন মুহুর্তে এমন অস্ফুট হাসির এমটা মেয়ে দেখে সিফাতের কাছে ব্যাপারটা কেমন যেন মনে হল। মেয়েটা যতই কাছে আসতে লাগলো মেয়েটাকে ততই পরিচিত মনে হতে লাগল। কিন্তু সিফাত সূচনায় “থ” হয়ে গেল। মেয়েটা সিফাতের কাছাকাছি আসতেই সিফাতের শরীরে জমে থাকা পানিগুলো শুস্ক মৌসুমে পরিণত হল। সিফাত মেয়েটার চোখে এক ধরনের ভয়ের আভাস দেখতে পাচ্ছে। মেয়েটা কি তাকে দেখেই ভয় পাচ্ছে? তার কি মেয়েটাকে সাহায্য করা উচিত? কিন্তু মেয়ে যদি ব্যাপারটা অন্যভাবে নেয়। তাই সিফাত কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই অন্য মনস্কের ভাব ধরে আরেক দিকে তাকিয়ে রইল। কিন্তু মেয়েটা এসে পাশ ঘেষে বেলকুনি দিয়ে সাম্মি আপুর বাসায় চলে গেল। সিফাত তার দিকে অপলোক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। এযে তারই হৃদয়ের বাগিচায় ফুটন্ত এক সতেজ গোলাপ। যারা পাপড়ি ও কেশ অতিব মুগ্ধকর। যার বর্ণালী ঠোঁটের হাসিতে শক্ত হৃদয় নরম হতে বাধ্য। যার দৃষ্টির মাঝে আছে অপরূপা মায়াবী ভঙ্গি। যাবার পথে যেন একরাশ গোলাপের পাপড়ির সুঘ্রাণ সিফাতের শরীরে ছড়িয়ে দিয়ে গেল। সিফাত বেকারার হয়ে ভাবনার জগতে ডুবে গেল।

 

পরদিন রাত

দিনের সারাটা ক্ষণ, মুহুর্ত সিফাতের কাটছে তৃষ্ণার পিপাসায়। মনের মাঝে একটা বাজনাই বাজে। যতই নিজেকে ঘর্মাক্ত কাজে বিরত রাখে না কেন তবুও অজানা সুর হুঙ্কার দিয়ে চেতনা ফিরিয়ে দেয়। তাইতো অস্থিরতার মধ্য দিয়েই দিবালোকের সূর্য্যকে বিদায় জানাতে হলো। তাই এখন কলেজ শেষে বাসায় এসে আবার সেই মায়াবী জায়গায় গ্রীল ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল।

আকাশের তারাগুলো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে সিফাত এগুলো দেখতে লাগলো। বাতাসের চোট তীব্র আকার ধারন করার কারণে সিফাত গ্রীলের পাশ থেকে একটু সরে দাঁড়াল। চোখ ফেরাতেই সিফাতের দৃষ্টি গিয়ে পড়ল তার পার্শ্ববর্তী একটা রুমের দিকে।

একি, সেই মেয়েটা! যার সাথে কাল রাতে দেখা হয়েছিল। এতরাতে মেয়েটা দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কি করে। নাকি আমার মত তারও দাঁড়াতে ভাল লাগে।

তবে মেয়েটাকে দারুন সুন্দর লাগে। মিষ্টি হাসি যেন নতুন দিনের করে সৃষ্টি। নিস্কলঙ্ক ত্বক, মায়াবী চোখ, কি দারুন চলন ভঙ্গি! সব মিলিয়ে একটা ডানাকাটা পরী।

তবে মেয়েটাকে ভারি মিষ্টি লাগছে। থেকে থেকে দক্ষিনের দমকা হাওয়া মেয়েটার চুলগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর চুলগুলো আচড়ে গিয়ে মেয়েটার মুখটাকে ঢেকে দিচ্ছে। এমন একটা দৃশ্য দেখে সিফাতের পড়া সাইদের সেই সাড়া জাগানো কবিতাটা বার বার মনে পড়ছে। সেটা ছিলÑ দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে বারংবার মেরেছো উঁকি/আমিও দেখেছি নিজ নয়ণে নিজেকে দিয়েছি ঝুকি। কবি তার কল্পনায় একটি মেয়ের বাস্তব চিত্র কিভাবে অংকন করেছেন। কিভাবে উভয়ের দৃষ্টির পালাবদলে মনে ভালবাসার জোয়ার এসেছিল। নাকি কবির সেই ফেলে আসা মুহুর্তটা আমার সামনে দাঁড়িয়েছে।

এমনি সুন্দর একটা মুহুর্ত স্বল্প সময়েই শেষ হল। সিফাত বেলকুনি থেকে বাসার ভিতরে প্রবেশ করল ঘুমের আয়োজনে।

এভাবে সিফাতের কেটে গেল কয়েকটি রাত, দিন। তবুও কি নিদ্রা সুখকর হয়? অবশ্যই না। সেই প্রত্যহ ক্ষণে ক্ষণে মেয়েটা সিফাতের দিকে এবং সিফাত মেয়েটার দিকে নিস্পলক অবাক চাহনিতে তাকিয়ে থাকে। কি মায়া কাজল কালো ঐ চোখে? বিধাতা যেন রাজ্যের সমস্ত সৌন্দর্য্য মেয়েটাকে অকৃপণ হস্তে দান করেছেন। মেয়েটাকে দেখার পর থেকে সিফাতের অস্থিরতা দিন দিন বেড়েই চলছে। মেয়েটার জন্য তার কষ্ট হচ্ছে কেন? কেন তার মনে ব্যকুলতার সৃষ্টি হচ্ছে? কেন তাকে দেখার জন্য মনটা বার বার কাদছে? তবে একেই কি বলে ভালবাসা? যদি তাই হয় তাহলে সিফাত মেয়েটাকে ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু ভালবাসার দাবি নিয়ে মেয়েটার সামনে দাড়ানোর ত’ সাহস সিফাতের কাছে নেই। এক অজানা ভয় সিফাতের অষ্টে-পিষ্ঠে বেধে রেখেছে। মেয়েটা যদি ফিরিয়ে দেয় কিংবা সে যদি অন্য কাউকে ভালবাসে। এভাবে দ্বিধার মধ্যেই কেটে গেলো আরো কয়েকটা দিন।

এভাবে সিফাত মেয়েটাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে তার দিনগুলো অতিবাহিত হতে থাকে। তবে এটা তো সুস্থ জীবন নয়। এটাতো অসুস্থ জীবন। তাই তো এই অসুস্থ জীবনকে সুস্থ করতে সিফাত মেয়েটার দ্বারস্থ হওয়ার উপায় খুজতে লাগল। এর পুর্ব সময়ে অবশ্যই বিভিন্ন আঙ্গিকে মেয়েটাকে বুঝোনোর চেষ্টা করছে অন্যের মাধ্যমে। তবে তাতে সে মনের গহিনে তেমন কোন আত্মতৃপ্তি লাভ করে নাই। তাই এবার সে নিজের মনের অকুল গহীনে হিমালয়ে পর্বতের মতো জমে থাকা অজস্র কথন থেকে গুটিকয়েক কথা স্বল্প পরিসরে উপন্যাসাকারে লিখে মেয়েটার কাছে পাঠিয়ে দিল তার মনের বাস্তব অবস্থান নিরূপন করা জন্য। তবে এটা চিরন্তন সত্য যে, সিফাত মেয়েটাকে পাগলের মতো ভালবাসে। তবে এটা সে বাহ্যিকভাবে নয় তার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে পেতেই চায়।

তাইতো হে প্রিয় অর্ধাঙ্গিনী তোমার ভালবাসায় সিক্ত আমি। আমি তোমার জন্যই আমার জীবন অকপটে যে কোন মুহুর্তে বিসর্জন দিতে পারি। আমি তোমাকে এ কথা দ্বারা আমার মনে তোমার প্রতি অগাধ ভালবাসার দৃষ্টান্তটা বুঝাতে চাইলাম। আশা করি আমার পবিত্র ভালবাসাকে তুমি আকড়ে ধরবে। খোদা হাফেজ।

                                               ধরেছি কলম লিখিবার তরে

            রঙ্গিয়ে দিলে প্রাণ

           জনমের তরে রাখিব ধরে

            তুমি যে অম্লান

                   
 

 

০ Likes ০ Comments ০ Share ৬৫২ Views

Comments (0)

  • - রুদ্র আমিন

    ভাল লাগল চারু মান্নান ভাই।

    • - চারু মান্নান

      কবিকে,,,,,,বিশ্বকাপ ফুটবলের শুভেচ্ছা,,,,,,,,,,

    - নুসরাত জাহান আজমী

    এখন কিছু কমুনা ভুতু সোনারে.. দেখি কি হয়। emoticons emoticons

    • - চারু মান্নান

      emoticonsতো তাই হউক,,,,,,বিশ্বকাপ ফুটবলের শুভেচ্ছা,,,,,,,,,,,,,,

    - মুন জারিন আলম

    ভুতু সোনার গায়ে এখন 
    বিশ্বকাপের ভুত চেপেছে, 
    পেপার পত্রিকা ঘাঁটছে দ্যাখো 
    জার্সি রং এ মেতেছে। emoticons 

     

    ওহ চারু দা এই কবিতা আপনার লেখা ? আমি তো বুঝিনি। চমত্কার !!. 

     

     

    ধন্যবাদ প্রিয় দা। শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন কেমন। 

    • - চারু মান্নান

      বিশ্বকাপ ফুটবলের শুভেচ্ছা,,,,,,,,,,