শীতে অনেকেরই পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। আমাদের অনেকেরই হয়তো পার্লারে যাওয়ার সময় থাকে না কিংবা আমার মত অনেকেই আছেন যারা পায়ের পিছনে পার্লারে যেয়ে টাকা খরচ করতে চান না। তাই বলে কি এই বিশ্রী পা ফাটা নিয়ে সবার সামনে ঘুড়বো! সে কি! তাই হয় নাকি? তাই আমি আজকে পা ফাটা কিভাবে সহজে দূর করা যায় তাই বলব। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকেই লিখছি।
যে সকল প্রধান কারণ গুলো পা ফাটার জন্যে দায়িঃ
অতিরিক্ত ওজন পায়ে ময়েশ্চারাইজারের অভাব পা অপরিষ্কার থাকা। আর আসুস্থতা তো আছেই।
কিভাবে দূর করবেনঃ
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে কুসুম গরম পানিতে সামান্য শ্যাম্পু দিয়ে ফেনা তুলে ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঝামা অথবা কাপড় দিয়ে গোড়ালি সহ পায়ের শক্ত অংশ মেজে ঠান্ডা পানি দিয়ে পা ধুয়ে মুছে নিতে হবে। এতে করে পা পরিষ্কারের পাশাপাশি সারাদিনের দৌড় ঝাপের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তারপর ১ঃ১ঃ২ অনুপাতে পানি , গ্লিসারিন এবং লোশন মিশিয়ে পায়ে মেসেজ করে ক্লান্তিহিন ঘুম দিন। সকালে উঠে দেখবেন বাহ আপনার পাইয়ের গোড়ালির আকশ পাতাল পরিবর্তন। যাদের অনেকদিনের পা ফাটা তারা এই প্রক্রিয়া টি পুরো সপ্তাহ করুন। সপ্তাহ শেষে পা ফাটা আর থাকবেনা আশা করি।
শিতের সময়ে পায়ের যত্ন সপ্তাহে অন্তত একদিন করা উচিত। তবে যেগুলো খেয়াল রাখার চেষ্টা করবেন সেগুলো হলঃ
পা থেকে ছোট মাপের স্যান্ডেল পরবেন না। এতে পায়ের গোড়ালি সহজে ফেটে যায়। সম্ভব হলে মোজা পড়ুন। পা যথা সম্ভব পরিষ্কার রাখুন। পা ধুয়ে একটু হলেও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ওজন স্বাভাবিক রাখুন। স্কিন প্রব্লেম হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন নইলে সেটা দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে।
উপরের ময়েশ্চারাইজারের রেসিপি টা আপনার দাদি নানি কে ও বানিয়ে দিতে পারেন। আমি আমার নানিকে বানিয়ে দিয়েছিলাম। যদিও গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে দেইনি তারপর ও পরদিন সকালে নানি আমাকে আদর দিয়েছিল। কেন দিয়েছিল বুঝতেই পারছেন। ;-)
Comments (9)
বেশ লাগল কবি,
মাঘের শরীর সর্ষেফুলের শিশিরে ধোয়া!
ধন্যবাদ ভাইয়া
ছবিগুলো খুব সুন্দর। লেখাও অসাধারণ।
ধন্যবাদ ভাইয়া । লেখা আমার না জনের গান
এক কথায় অসাধারণ--
ধন্যবাদ