এখন গরম কম। ঘামও কম। তাই শরীর আর মনফুরফুরে থাকলেও অনেকেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় নাজেহাল। সবসময়ই যেন একটা টানটান ভাব। কী করলে কাটিয়ে ওঠা যাবে এই সমস্যা? আসন্ন শীতের সঙ্গে লড়তেই বাকীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে? জানালেন ওম্যান’স ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার কণা আলম।
এই মৌসুমে সবারই ত্বক একটু শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা মোকাবিলা করার একটাই উপায়। সেটা হল ত্বক খুব ভালোভাবে ময়শ্চারাইজ করা।
সকালেঘুম থেকে উঠে হালকা কোনো ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজারসমৃদ্ধ ক্রিম লাগানো উচিত। তবে বাড়ি ফিরে রাতে কখনই ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করাউচিত নয়। তখন ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজ করতে হবে।এছাড়া বাইরে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিম আর রাতে শোওয়ার আগে নাইটক্রিম লাগিয়ে তারপর ঘুমাতে যাবেন। এই সময় স্ক্রাব না করাই ভালো। এটা ত্বককেআরও বেশি শুষ্ক করে দেয়।
যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ১৫ দিন অন্তর ঘরোয়াপদ্ধতিতে স্ক্রাব করা যেতে পারে। যারা অফিসে এসিতে থাকেন তাদের অবশ্যইবারবার করে মুখে ময়শ্চারাইজার লাগানো উচিত। কারণ এসিতে থাকলে ত্বক অনেকবেশি শুষ্ক হয়ে যায়।
যদি মেইকআপ ব্যবহার করেন, বাড়ি ফিরে সবসময়মেইকআপ তুলে খুব ভালো করে স্কিন নারিশ করে তবেই ঘুমোতে যাওয়া উচিত। মেইকআপকিন্তু ত্বকের খুব ক্ষতি করে।
মুখের ত্বক ছাড়াও এই সময় সারা শরীরেই একটা রুক্ষ ভাব আসে।
তাইমুখের মতোই শরীরও ভালোভাবে ময়শ্চারাইজ করা খুব জরুরি। এই সময় সাবানব্যবহার না করে মাইল্ড কোনো শাওয়ার জেল দিয়ে গোসল করলে শরীর কম রুক্ষ হবে।গোসলের ৩ মিনিটের মধ্যেই যদি ভেজা শরীরে ময়শ্চারাইজার সমৃদ্ধ লোশন লাগানোহয় তাহলে সারাদিন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
গোসলের পানিতে কয়েকফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিলে শরীরে একটা তাজা ভাবও থাকবে, আর্দ্রতাওবজায় থাকবে। আর গ্লিসারিন সারা বছরই ত্বকের জন্য খুব ভালো।
শরীরপরিষ্কার রাখাটাও খুব জরুরি। সপ্তাহে একদিন দই, মসুর ডাল বাটা ও মধু মিশিয়েএই মিশ্রণটি দিয়ে ভালো করে সারা শরীর পরিষ্কার করা গেলে ত্বক অনেক কমরুক্ষ হবে। উপটানও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সেই সঙ্গে খুব ভালো করে গোসলকরাও দরকার। আমাদের শরীরে কিছু নেগেটিভ আয়ন থাকে যেগুলো আসলে শরীরের জন্যভালো। শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে একটু সময় নিয়ে ভালো করে গোসল করলে শরীর বেশতাজা থাকে।
এই সময় হঠাৎ পা ফাটার সমস্যা দেখা যায়। সারা শরীরের মধ্যেপা সব থেকে বেশি নোংরা হয়। তাই এখানেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন।বাইরে থেকে ফিরে বা রোজ রাতে একটু লবণ ও কয়েক ফোঁটা মাইল্ড শ্যাম্পু হালকাগরম পানিতে মিশিয়ে পিউমিক স্টোন দিয়ে পা পরিষ্কার করে ভালো।
ফুটক্রিম লাগিয়ে শোওয়া উচিত। তাহলেই পা ফাটবে না। আর যাদের এরই মধ্যে পা ফেটেগেছে তারা একটু সর্ষের তেলের মধ্যে লবণ দিয়ে ফাটা জায়গায় রোজ কিছুক্ষণঘষবেন। তাহলে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। আর যদি খুব পা ফাটার সমস্যা থাকেতাহলে অবশ্যই ১৫ দিন অন্তর পার্লারে গিয়ে ফুট স্পা বা ক্রিস্টাল পেডিকিওরকরিয়ে নেওয়া উচিত।
রুক্ষ এবং কালো গোড়ালি ও কনুইয়ের সমস্যায় ভোগেনঅনেকে। এই সমস্যা অনেক সময় খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে যায়। এটা একদিনে হয় না।দীর্ঘকালের অযত্নে হয়।
Comments (1)
'কুর্চির আছে এক আকাশ জল
তবু শিশিরস্নাত ভোর প্রতিদিন তাকে নতুন করে কাঁদায়!'
চমৎকার পংক্তি! বরাবরের মতোই মুগ্ধ আপনার কবিতায়!
শুভেচ্ছা প্রিয় মিশু
আশা করছি ভালো আছেন।
আপনার গততকালকের কবিতা পরেছি। চমৎকার লাগলো।
নক্ষত্রে স্বাগতম। এই ব্লগকে আপনি আপনার নিজের ব্লগ ভাববেন।
কুর্চির আছে এক আকাশ জল
তবু শিশিরস্নাত ভোর প্রতিদিন তাকে নতুন করে কাঁদায়!
বেশ লাগলো ওই দু লাইন। এখানেও নীল দা :)