Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবক দানবীর হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের ২৮২তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা


শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবক দানবীর হাজী মোহাম্মদ মোহসীন।
 শুধু দানশীলতা নয়, আরবি ফরাসি-উর্দু ও ইংরেজি ভাষায় এবং ইতিহাস বীজগণিতে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত ছিল। অনাড়ম্বর জীবনযাপনের অধিকারী হাজী মোহাম্মদ মেহসীনের মনোবৃত্তি আমাদের আজকের ভোগবাদী সমাজে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করছে।বিশাল সম্পত্তির আয় চিরকুমার মোহসিন নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য ব্যয় না করে দীন-দুঃখীর দুঃখ মোচনের জন্য ব্যয় করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে বিশেষ করে কলকাতার সীমানাবর্তি এলাকাগুলোতে তিনি অনেক সম্পতি আহলে বাইতের অনুসারী শীয়াদের নামে ওয়াক্বফ করে গেছেন। হুগলী-ঢাকা-চট্টগ্রাম-যশোর প্রভৃতি স্থানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহু অর্থ দান করেছেন। মৃত্যুর ছয় বছর পূর্বে ১৮০৬ সালে একটি তহবিল গঠন করে ধর্ম ও জনহিতকর কার্যে সম্পত্তি দান করেন। মোহসীন তহবিলের অর্থে ‘হুগলী মোহসিন কলেজ’ (১৮৩৬), হুগলী দাতব্য চিকিৎসালয় (১৮৩৬) এবং হুগলরি নতুন ইমামবাড়া (১৮৪৫) স্থাপিত হয়। মোহসিন তহবিলের বৃত্তির অর্থ দিয়ে হাজার হাজার ছাত্রের উচ্চশিক্ষালাভের প্রসার ঘটে। আজ দানবীর হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের ২৮২তম জন্মবার্ষিকী। শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবক দানবীর হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা। 


মোহাম্মদ মোহসীন ১৭৩২ সালের ৩ জানুয়ারী ভারতের পশ্চিম বাংলার হুগলীতে এক সম্ভ্রান্ত মুসলীম ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ইরানের ইসপাহান প্রদেশের মানুষ এবং শীয়া সম্প্রদায়ের লোক । তার পিতার নাম হাজী ফাইজুল্লাহ এবং মাতার নাম জয়নাব খানম। এটি ছিলো জয়নব খানমের দ্বিতীয় বিবাহ। তার প্রথম স্বামী আগা মোতাহার বিশাল ধন সম্পত্তির মালিক ছিলেন পরে যার মালিক হন তার একমাত্র কন্যা মন্নুজান খানম। মন্নুজান ও মোহসীন পারিবারিকভাবে ক্বোরআন, হাদিস সম্পর্কে বিষদ জ্ঞান লাভ করেন। পরে উচ্চ শিক্ষার জন্য মোহসীন মুর্শিদাবাদ গমন করেন। ইতি মধ্যে মোহসীনের পিতার মৃত্যু হলে তিনি তার সৎবোন মন্নুজান যত্নে বড় হন। ১৭৬৭ সালে মন্নুজানের বিয়ে হলে মোহসীন বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। তিনি এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন ইরাণ, ইরাক, তুর্কি ভ্রমন করেন। তিনি মক্কা, মদিনা, কারবালার প্রান্তর ও কুফাসহ অনেক পবিত্র নগরী ভ্রমন করেন।হ্জব্রত পালন করার পরে তিনি হাজী মোহাম্মদ মোহসীন নামে পরিচিতি লাভ করেন।

(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হাজি মুহাম্মাদ মহসীন হল)
ভ্রমন শেষে হাজী মহসীন দেশে ফিরে আসেন। ইতিমধ্যে মন্নুজান বিধবা হন।মহসীন তখন সৎ বোন মন্নুজানের সাথে থাকতেন এবং তার নবাব স্টেট দেখাশুনা করতেন। উল্লেখ্য হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের মাতা জয়নব খানমের প্রথম স্বামী আগা মোতাহার হুগলি, যশোহর, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়াতে বিশাল স্থাবর ও অস্থাবর ধনসম্পত্তি রেখে যান। ১৮০৩ সালে সৎ বোন মন্নুজান পরলোক গমন করেন। এরপর সংসার ধর্মে চির উদাসীন মহসীন আরো বৈরাগী হয়ে যান। এই সময় মুলত দান করেই তিনি সময় কাটাতেন। তার মৃত সৎ বোন মন্নুজানের বিশাল সম্পত্তি জনগনের সেবার জন্য উইল করে দেন। তাঁর দানের টাকায় বহু পরিবার চলত। তার আর্থিক সহয়তায় ইমামবারা, মহসীন কলেজ তৈরি হয়। এখনও হুগলিতে মহসীন ফান্ড আছে। সেখান থেকে ছাত্রছাত্রীরা সাহায্য পেয়ে থাকনে। শিক্ষাব্রতী সমাজসেবক হাজী মোহাম্মদ মোহসীন ১৮১২ খৃষ্টাব্দের ২৯ নভেম্বর পরলোক গমন করেন। বাংলার একজন দানবীর মানুষ হিসাবে খ্যাত হাজি মুহাম্মদ মহসীন মানুষের কল্যাণে বহু কাজ করেছেন। এখনও মহসীনের নামে বহু শিক্ষালয় আছে। খুলনার হাজী মহসীন কলেজও ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হাজী মুহাম্মাদ মোহসীনের নামে ছাত্রাবাস আছে। 

অনাড়ম্বর জীবনযাপনের অধিকারী হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের আজ। ২৮২তম জন্মবার্ষিকী। শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবক দানবীর হাজী মোহাম্মদ মোহসীনের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।

০ Likes ০ Comments ০ Share ৭৫৮ Views

Comments (0)

  • - টোকাই

    চমৎকার ।

    • - সুমন দে

      ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা জানবেন ।