(১)
যুগটা এখন অস্থিরতার । বিজ্ঞান উদ্ভাবন করে চলেছে আরাম আয়েস আর ক্ষমতা দখলের মারনাস্ত্র । যা ছিনিয়ে নিচ্ছে কারো জীবন , কারো বা মাথা গোজার ঠাই আবার কারো জাতীয়তা ।অদূর ভবিষ্যতে প্রকৃতি আর বিজ্ঞান হয়তো পরস্পরের বিপরীতে অবস্থান নেবে । সেটা মানবের জন্য কল্যাণকর হবে কিনা কে জানে।
এমন নাস্তিকতার যুগে ধর্মীয় গ্রন্থ আর আচারকে ঠাই করে বেঁচে আছে কিছু মানুষ। এদের মধ্যে একজন ছায়েরা কবির। ছায়েরা আর তার বাবা থাকে সেগুন বাগিচার একটি ২০তলা ভবনের ১৮তলাতে । ২০০০ স্কয়ার ফিটের এই ফ্লাটে দুজন মাত্র প্রাণী আর একটি রোবট থাকে । আজ ভোরে ছায়েরা যখন তার প্রার্থনা শেষ করে শুতে যাবে তখন কেন যেন তার মনে হল পৃথিবীর কোথাও বড় ধরনের ছন্দপতন ঘটলো । জানালা খুলে বাইরে তাকিয়ে দেখল কেমন ধোয়াটে আবহাওয়া। মনটা কেমন অস্থির লাগতে থাকলো।ভাবল আজ আর ঘুমাতে যাবে না বরং কিছু লেখালেখি করবে । এই ফ্লাটের আর এক রুমে প্রার্থনা শেষ করে আবার একটু ঘুমিয়ে নেবেন ভাবলেন বিজ্ঞানী ডঃ আলতামাস কবির, ছায়েরার বাবা । ডঃ আলতামাস কবির ধান নিয়ে গবেষণা করছেন এবং অনেকটা সফল ও হয়েছেন । তিনি অল্প জমিতে অধিক ফলনশীল ধান বীজ আবিস্কার করেছেন যার কারনে বাংলাদেশকে আর চাল আমদানি করতে হয় না । এই চালকে কিভাবে অধিক পুষ্টিকর খাদ্য করা যায় এবং প্রত্যেক পরিবার তার বারান্দাতেই কিভাবে প্রয়োজনীয় ধান উৎপাদন করতে পারেন এটাই এখন তার গবেষণার বিষয় । এই গবেষণা যদি সফল হয় তবে এক মুঠো ভাতেই একজন মানুষ সব ধরনের পুষ্টি পাবে।
( ২ )
এদিকে শহরে একটি নতুন ছেলে এসেছে যাকে এ শহরের কেউ চেনে না , নাম তার জিহান । জিহান, ছায়েরাদের ঠিক নিচের ফ্লাটটি ভাড়া নিয়েছে । জিহানের ঘরে খুব বেশি জিনিস নেই । শুধু একটি বিছানা ও একটি অদ্ভুত যন্ত্র এবং কিছু বই যার বেশির ভাগই ছায়েরার লেখা উপন্যাস ও প্রবন্ধের বই । জিহান এ শহরে এসেছে একটি মিশন নিয়ে যে মিশন অবশ্যয়ই তাকে ত্রিশ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে । জিহানের কিছু কাপড়চোপড় ও খাবার কেনা প্রয়োজন । তাই সে কোন শপিং মল যাবে ভাবছে । আর শপিং মলে গেলে এ শহরের মানুষের জীবনযাপন সম্পর্কে ও জানা হবে ।
Comments (31)
চার নাম্বার প্যরা বাদে বাকী সব গুলো ছন্দ মিল আছে। ছড়া ভালো হয়েছে তবে আরো ভাল হতে পারতো।
অনেক ধন্যবাদ যুথী
অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর একটা সমালোচনার জন্য। আসলে একটা সময়ে বেশি কিছু না বুঝেই কবিতা, ছড়া, গল্প লিখতাম।
এখনো যে অনেক বুঝি তাও নয়। তবে, শেখালে আর ভুল ধরিয়ে দিলে আগামীতে ভালো কিছু উপহার দেয়া যাবে।
ওরে বাপরে ৯৭? খাইছে।
এত রাত্রে এখানে কি করছেন? আপনার মিসেস ম্যাচিং জুটি কি ঘুমিয়ে পরেছে, ভাইয়া??
ভাই, আপনি কি লেখা পড়ছেন? নাকি সবাইকে ঘরে ঘরে গিয়ে এই একই ফুল উপহার দিয়ে আসতেছেন?? পাশ ভাইয়ের গল্পেও এই ছবিটা মাত্র দেখে এলাম। আপনিই দিয়েছেন!