Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আবিদ রহমান

৯ বছর আগে

লেখাটি ভাল লাগল তাই শেয়ার দিলাম

বাংলাদেশের সিনেমা শুনলেই অনেকের নাক কিঞ্চিত বাঁকা হয়ে যায়।তথ্য প্রযুক্তির অবাধ যাতায়াতে হলিউড, বলিউড সহ কোরিয়ান ও ইরানী সিনেমার সংস্পর্শে আশা এই জেনেরেশন বাংলা সিনেমার ধার ঘেষে না সহজে। এর জন্য অবশ্য দায়ী আমাদের সিনেমা, সিনেমা সংস্লিষ্ট মানুষ ও আমাদের দেশের রাজনীতিক অস্থিরতা । একবিংশ শতাব্দীর শুরুর প্রায় এক যুগে ক্রমান্বয় বাজের ছবির তালিকা আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রীকে টেনে পিছিয়েছে বহুদুর। সে যাইহোক, আজ একটু জানা কথাই কপচাই।

বাংলাদেশে সিনেমা শুরু সেই ১৯৫৬ সালে আব্দুল জব্বারের মুখ ও মুখোশ দিয়ে। তারপর হাজার হাজার সিনেমার ভীরে আমরা দেখেছি জীবন থেকে নেয়া, সীমানা পেরিয়ে, হাঙ্গর নদী গ্রেনেড, ধীরে বহে মেঘনা, ওরা ১১জন, শঙ্খনীল কারাগার,আলোর মিছিল, সারেং বউ, আগুনের পরশমনির মতো উল্লেখযোগ্য চলচিত্র। এছাড়াও আমাদের এফডিসি থেকে বের হয়েছে বানিজ্যিক সিনেমা বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না, তোমাকে চাই, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, দোস্ত দুশমন সহ হালের মনপুরা।

আমরা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবো যে বাংলাদেশের চলচিত্র যে ধারাতে এগিয়ে যাচ্ছিলো, সে ধারাতে এগুতে থাকলে আজ অনেকখানি সামনে এগিয়ে থাকার কথা আমাদের। কিন্তু আসল অবস্থাটা কি? আসল অবস্থা হলো – আমরা পরিবার নিয়ে হলে গিয়ে চলচিত্র দেখতে পারিনা, আমরা আমাদের চলচিত্র দেশের বাইরে কাউকে দেখাতে পারিনা, আমাদের দেশের সিনেমা হল গুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানুষ দিন দিন ইংলিশ ও হিন্দী সিনেমার প্রতি ঝুকে পড়ছে বেশী বেশী।

১৯৯৬ সালে সালমান শাহ মারা যাওয়ার পর মাত্র ২/৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিলো আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পতন দেখতে। চলচিত্রে যুক্ত হলো অশ্লীলতা, নোংরামী, আন্তঃএফডিসি রাজনীতি, দুর্নিতি, কলাকুশিলবদের অজ্ঞতা ও মুখ না খোলার ব্যার্থতা। প্রায় এক যুগে এফডিসির মান টেনে হিঁচড়ে নীচে এমন এক অবস্থানে দাড় করানো হয়েছে যে সিনেমা বলতে কিছু একটা হচ্ছে সেতা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। তাছাড়া, এই এখনো, এফডিসির পরিচালক/প্রযোজকরা সেই ৯০ দশকের সিনেমার ভাষা (সিনেমা ল্যাংগুয়েজ) ও কাহিনী থেকে বের হতে পারেনি। পৃথিবী গত বিশবছরে যে অনেকদুর এগিয়ে গিয়েছে সেটা এফডিসির কেউ মনে হয় এখনো জানতে পারেনি। তবে হ্যা, তারা অনেকেই লেটেস্ট মডেলের, ফোন বা গাড়ি ব্যবহার করছেন।

২০০০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বলার মত কোন সিনেমা নেই। সব কপি-পেস্ট, নোংরামী আর কাটপিসের মহরা ছিলো। এই সময়ে অনেক গুনী শিল্পীরা জেনে শুনেই গা ভাসিয়েছিলেন। নতুন অনেক শিল্পীর আগমন ঘটেছিলো যারা নোংরামী কে নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। এক সময় নোংরামী কমে এলো কিন্তু এফডিসির অবস্থা হয়ে গেলো – ‘ওরে কে আমাকে খেয়ে দেয়ে ফেলে রেখেছে’ টাইপ।

যাইহোক, ২০০৯ এ মুক্তি পেলো গিয়াস উদ্দীন সেলিমের মনপুরা। মনপুরা বের হওয়ার পর সাধারন দর্শকদের আবার হলমুখী হবার প্রবনতা লক্ষ্য করা গেলো। তারপর একে একে বের হলো থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, আহা, প্রজাপতি, ফিরে এসো বেহুলা, মোল্লাবড়ির বউ, খোঁজা দ্যা সার্চ, হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ, গেরিলা, লাল টিপ, জ্বী হুজুরের মতো সিনেমা। এর মাঝে কিছু সিনেমা দর্শকদের মাঝে আশার আল সঞ্চার করলো – মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির দর্শকরা আবার হলে ফেরা শুরু করলো। কিন্তু প্রশ্ন – আসলেও কি সিনেমার মান উন্নত হয়েছে? নাকি উন্নতির নামে আসলে ডাইভার্টেড হয়ে অনযভাবে অবনতি হচ্ছে?

তার আগে আসুন দেখে নেই এ বছর যেসব সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় –

ছায়াছবি (মোস্তফা কামাল রাজ),
চোরাবালী (রেদোয়ান রনি),
টু বি কন্টিনিউড (ইফতেখার আহমেদ ফাহমী),
টেলিভিশন (মোস্তফা সারয়ার ফারুকী),
ভালোবাসার রঙ ( শাহীন ও সুমন)
না মানুষ (অনিমেষ আইচ)
মোস্ট ওয়েলকাম (অনন্য মামুন)

আমাদের সবচেয়ে বড় যে গুন তা হলো আমরা আশা করি। আমরা শত ঘাত-প্রতিঘাত এর মাঝে আশায় থাকি যে সামনে ভালো দিন আসবেই। কারন আমরা চাই এটা মিথ্যে হোক, যায় দিন ভাল আসে দিন খারাপ। আমি জানিনা আমাদের আশা পুরন হবে কিনা মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এসব সিনেমা, কিন্তু আমাদের আশা করতে দোষ কি! যদিও এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। অনেকদুর যাওয়া বাকী আছে তবুও বলবো এসব চলচিত্র যেনো সেই আশার সিড়িতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে – এই কামনাই করছি।

বেস্ট অফ লাক।

মাহদী হাসান [শামীম]
ফ্রীল্যান্স ফিল্মমেকার
লন্ডন

০ Likes ১ Comments ০ Share ৪৮৩ Views

Comments (1)

  • - চারু মান্নান

    বাহ সুন্দর কবি,,,,,,,,,,,দারুন

    • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

      ধন্যবাদ শ্রদ্ধাভাজন, emoticons

    - আলমগীর সরকার লিটন

    দাদা বিশাল কবিতা

    অভিনন্দন----------

    • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

      ধন্যবাদ দাদা emoticons