Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

লেখাচুরিঃ সেকাল-একাল



ইদানিং অনলাইন মিডিয়াতে লেখাচুরির ঘটনা খুব বেশি বেড়েছে। অবলীলায় একজনের লেখা কেউকেউ কপি পেস্ট করে নিজের নামে, নিজের পেজে, নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে দিচ্ছে। লেখকের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন মনে করছে না; লেখকের নামটি পর্যন্ত মেনশন করছে না। এ ধরনের চৌর্যবৃত্তির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে আমি নিজেও তা যাচাইয়ের সামান্য চেষ্টা করে অবাক হয়েছি এই দেখে যে, আমার মতো সামান্য একজনের লেখাও এরকম তস্করের কবলে পড়েছে।

আমার কয়েকটি কবিতা গুগল করতে গিয়ে দেখেছি- এগুলোর অনেকগুলো ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে, আবার কারো নিজেদের ওয়েবে হুবহু পাবলিশ করা হয়েছে। নাম উল্লেখ না করেই। আমার চার লাইনের “পরানের কথা”র বেশির ভাগই শিকার হয়েছে কারো নিজের ফেসবুক পেজে, টুইটিং-এ, বেশতোসহ অন্যান্য সাইটে।

আমি জানি না মানুষের এ কেমন হীন-মানসিকতা!!

এ যুগে লেখাচুরিটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। কেউ মানসিকভাবে চোর হলেই- সিম্পল কপি-পেস্ট করে চুরিটা সম্পন্ন করতে পারে। কিন্তু ধিক এ মানসিকতায়!!

তবে লেখাচুরির বা বিকৃতি করে চুরির ঘটনা আগেও ঘটতো। অনেকদিন আগের একটা ঘটনা মনে পড়ছে । প্রায় বিশ বছর তা মনের মধ্যেই ছিলো। কাউকে বলা হয়নি। তখন আমি স্বভাবজাত লিখতাম। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় আমার নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হওয়ায় আমার কিঞ্চিৎ পরিচিতি ছিলো ক্ষুদে কবি-লেখক হিসেবে । সে সময় একজন (নামটা আজও প্রকাশ করলাম না) তার একটি কবিতা আমাকে দেখিয়ে জানতে চাইলো – কেমন হয়েছে। কবিতা পড়ে আমি অবাক হয়েছিলাম। এতো সুন্দর আর মানসম্মত কবিতা!! আমি নিজেও সেই কবিতা পুরোপুরি বুঝতে পারছিলাম না। এর কদিন পর, আমি অই কবির মেসে যাই কোনো কাজে। এক ফাঁকে, তার বালিশের নিচে পুরনো ইত্তেফাক পত্রিকা পেয়ে পড়তে গিয়ে সাহিত্যপাতায় ঠিক সেই কবিতাটা দেখে আশ্চর্য হয়েছিলাম। একজন বিখ্যাত কবি লিখেছিলেন সেই কবিতা।

তো তখনকার চৌর্যবৃত্তি আর এখনকার চুরির মধ্যে টেকনোলজির পার্থক্য আছে বটে, কিন্তু চুরি তো চুরিই। ঘৃণা এ লেখা চোরদের জন্য ।

ছবিঃ ইন্টারনেট

০ Likes ২ Comments ০ Share ৩৮৯ Views

Comments (2)

  • - পিয়ালী দত্ত

    valo laglo