প্রিয় লিজা!
জানিনা কেমন আছো তুমি? কোথায় আছো? জানিনা তোমার দিন পেরোয় কীভাবে? কেমনে তোমার রাত্রি নামে! জানতে খুব ইচ্ছে করে- এখন তুমি ঠিক মতো ঘুমোতে পারো কিনা! নাকি নির্ঘুম রাতের শেষে দু'চোখ জ্বালা করে! নাহ্.. এমন যেনো না হয়। আশা করি তুমি অনেক ভালো আছো। সুখে আছো। এমনটাই তো চাই আমি।
যে কথা বলতে চাইছিলাম সেটা হলো- তোমার সেলফোনের নাম্বারটা সব সময় আনরিচেবল। তোমাদের ঢাকার বাসায় অনেকদিন যাবৎ তালাবদ্ধ আছে। তুমি কি তোমার গ্রামের বাড়ীতেই আছো? না অন্য কোথাও? তোমার গ্রামের ঠিকানায় লেখা প্রায় দেড়শ' চিঠির একটারও উত্তর পাইনি। মনে হয় চিঠির বক্স খুলে দেখা হয়না তোমার! বড্ড অলস হয়ে গেছো তাইনা? নাকি আমি তোমার ঠিকানাটাও ভুলে গেছি, বুঝতে পারিনা!
লিজা!
হঠাৎ করেই তোমার এমন নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া, আমাকে কিছু না বলে চলে যাওয়া- আমি আজও হিসেব মেলাতে পারিনা। আমি কি কোনও ভুল করেছিলাম নিজের অজান্তে, অবচেতন মনে? করলে আমাকে বলতে পারতে। আমি নিজেকে শুধরে নিতে সক্রিয় হতাম। আমাকে একটু জানানোর প্রয়োজনও মনে করলেনা! বড়ই দুঃখ পেয়েছিলাম। তবুও একটু খানি যোগাযোগ রাখলে মনে হয় তেমন একটা ক্ষতি হতো না তোমার।
কী জানো, মাঝে মাঝে আমি রাতে ঘুমাতে পারিনা। সারারাত জেগে থেকে দিনের বেলা অফিসে ঝিমাই। তোমার কথা মনে পড়লে আমি নিথর হয়ে যাই। মস্তিষ্কের নিউরন সেলগুলো শূন্য হয়ে যায়। শুরুর দিকে আদতেই দেবদাস হয়ে গিয়েছিলাম। চাকুরিটা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। এখন অবশ্য নিজেকে কিছুটা হলেও সামলে নিতে পেরেছি বৈ কী।
প্রিয়তমা!
হয়তো বা, এই শহরেরই কোনও এক অট্টালিকায় তোমার বাস। সময়ে আমাদের চলার পথও এক হয়ে যায়। তোমার পাদুকা ঝরা ধূলি হয়তো হাজারো জুতার দলুনির পর আমার পথের বাঁকে এসে থামে। তবুও আমাদের দেখা হয়না আর। হবেওনা আর মনে হয় কখনও।
যাই হোক, যেখানেই থাকো। ভালো থেকো। শুভ কামনা রইলো। সব সময়ে।
ইতি
অপ্রত্যাশিত কেউ
read from old Epistles: 27-11-2008
Comments (10)
স্ট্রেস বিষয়ে কথাগুলো বেশ ভালো লাগলো। অজানা ছিল। আজ জানলাম।
স্রস্টার আসলেই কোন আকার নাই। কোন রূপ নাই। কেন নাই, সে ব্যাপারে আপনার কথাগুলোও আমার পছন্দ হয়েছে। তবে স্রষ্টা আমাদের মাঝেই অবিরাম বিচরণ করছেন। যারা তাঁকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন এবং ভক্তি করেন ও স্মরণ করেন, নিশ্চয়ই তাদের তিনি দেখা দেন কোন না কোন রূপে বা আকারে। যারা আমরা স্রষ্টাকে দেখতে চাই, এমনকি নিজের রূপেই দেখতে চাই, তাদেরও উচিৎ স্রষ্টাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করা, ভক্তি করা, স্মরণ করা এবং স্রস্টার দেখানো পথে চলা। তবেই তাঁকে আমরা দেখতে পাবো। ধন্যবাদ গৌমুমোকৃঈ ভাই।
স্রষ্টা আমাদের মাঝেই অবিরাম বিচরণ করছেন। যারা তাঁকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন এবং ভক্তি করেন ও স্মরণ করেন, নিশ্চয়ই তাদের তিনি দেখা দেন কোন না কোন রূপে বা আকারে
ভুমিকা হিসেবে ক্লাস লেকচারের অবতারনা চমৎকার।
মাঝখানে নিজেকে লেখক হিসেবে উপস্থাপনাটাও ভালো লেগেছে।
কিন্তু আলাপন-২ যেন হঠাত করেই শেষ হয়ে গেল (মানে আর একটু
চলতে পারত)।
ধন্যবাদ প্রিয় মাসুম ভাই।
আরেকটু বড় করা যেত ঠিকই বলেছেন।
একটা সংশোধন এনে আরেকটু বড় করার ইচ্ছে আছে।