বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহর গান, বাউল মেলা, অলোচনা সভা ও সাধু সংঘের মধ্যে দিয়ে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ায় চলছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব ২০১৬।
বুধবার রাতে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে এই অনুষ্ঠান চলবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত। অসংখ্য ভক্ত-অনুসারী আর দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর সাঁইজির আখড়াবাড়ি। দোল পূর্ণিমার চাঁদ দর্শনের একদিন পর বুধবার রাত থেকে তিন দিনের এই উৎসব শুরু হয়।
ইউপি নির্বাচনসহ অনান্য কারণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও কুষ্টিয়া কুমারখালীর ছেউড়িয়ার লালন একাডেমির আয়োজনে পরিসর কমিয়ে পাঁচ দিনের পরিবর্তে তিন দিনব্যাপী চলবে এই উৎসব।
একদিন পর অনুষ্ঠান শুরু হলেও আগে থেকেই সাধু সঙ্গে ও পূণ্য সেবায় যোগ দিতে সাঁইজির ধামে ভক্ত-অনুসারীরা এখানে আসেন। লালন স্মরণোৎসবে আত্মিক প্রশান্তির প্রয়াসে ভক্ত-অনুসারী ছাড়াও এসেছেন অসংখ্য দর্শনার্থী। লালন সাঁইজি তার জীবদ্দশায় ছেউড়িয়ার এই ধামে যে শক্তি, সংগতি,যোগে সাধুগুরু বুষ্ট বাউল ফকিরদের একত্রিত করে যে অষ্টপ্রহর ও সাধু সংঘ করতেন সেটি শিষ্য- প্রশিষ্য পরিক্রমায় আজ এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে বলে জানান, লালন গবেষক ফকির হৃদয় শাহ।পরিসর কমিয়ে উৎসব তিন দিনের করা হলেও পাঁচ দিনের অনুভূতি নিয়েই বাউল-সাধুরা পরিতৃপ্ত এমনটিই ধারণা লালন গবেষকদের। আর অন্য বছরের তুলনায় এ বছর দোল-পূর্ণিমার অনুষ্ঠানে লালন অনুসারী ভক্ত ও সাধুদের সাঁইজির ধামে আগমন বেশি বলে জানালেন লালন মাজারের প্রধান খাদেম ফকির মোহাম্মদ আলী শাহ।
দোল-পূর্ণিমার এমন দিনেই লালন সাঁইজিকে কুষ্টিয়া কুমারখালীর ছেউড়িয়ার কালী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রায় দেড়’শ বছরের বেশি সময় আগে ফকির লালন শাহর জীবদ্দশায় প্রথম শুরু হয় দোল-পূর্ণিমার উৎসব। আর এই দিনটিকে ঘিরেই এখনো তাকে স্মরণ করে আসছেন তার অনুসারীরা। কালী নদীর তীরেই লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষে বসেছে লালন মেলা। রাতে লালন মঞ্চে চলছে সাঁইজির জীবন কর্ম নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
Comments (0)
ভোটিং :)
ধন্যবাদ :)
ভালো লিখছো নূর। ভালোলাগা ও শুভকামনা রলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ... :)
চমৎকার!