২১শে মার্চ থেকে শুরু
২৩ এপ্রিল শেষ,
এর মধ্যে জন্ম যাদের
তারা হলেন মেষ।
অভিনন্দন আপনাকে
জন্ম সংখ্যা ছয়,
১৪ সালটি আপনার জন্য
সম্ভাবনাময়।
মাঝামাঝি থেকে বছর-
যাবে খুবই ভালো,
নতুন চিন্তাভাবনা থেকে
জ্বলবে আশার আলো।
২১ এপ্রিল থেকে শুরু
শেষ ২১ মে,
এর মধ্যে জন্ম হলে
বৃষ রাশি যে।
জন্ম সংখ্যা নয়,
এটার তাৎপর্য হল-
চাকরি এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে
অর্থ ভাগ্য ভালো।
শিক্ষার্থীদের শুভযোগ
সারা বছর ধরে,
কারো কারো বিদেশ ভ্রমন
এরোপ্লেনে চড়ে।
২২শে মে দিয়ে শুরু
শেষটা ২১ জুন,
এর মধ্যে জন্ম হলে
রাশি যে মিথুন।
আবেগটাকে সামলে রেখে
যুক্তি মানেন যদি,
এ বছরে বইবে ঠিকই
সফলতার নদী।
নতুন পথের অনুসারী,
জন্ম সংখ্যা ছয়,
কান কথা এড়িয়ে চললে
বিশেষ ভালো হয়।
২২শে জুন তারিখ থেকে
২২ জুলাই তক,
এর মধ্যে জন্ম?
আপনি কর্কট জাতক।
জন্ম সংখ্যা দুই,
আছে বাস্তবতা বোধ।
আস্থা শক্তি প্রবল আপনার
কে করে তা রোধ?
কল্পনা আর বাস্তবতা
একত্রিত করে,
১৪ সালে সাফল্যকে
রাখবেন ঠিকই ধরে।
এবার আসুন জুলাই মাসের
২৩ তারিখ থেকে-
আগস্ট মাসের ২৩ অব্দি
আছেন বলেন কে কে?
সিংহ রাশির জাতক এরা
লক্ষ্যে সুস্থির,
আসবে টাকা, বিশ্বাসেও-
ধরবে না কো চিড়।
জন্ম সংখ্যা এক আপনার
দিচ্ছি বলে ফের,
সামাজিক ও ব্যক্তিগত
সাফল্য যে ঢের।
২৪শে আগস্ট থেকে
২৩ সেপ্টেম্বর,
দ্বাদশ রাশির মধ্যে এটা
কন্যা রাশির ঘর।
কন্যা রাশির মর্যাদা বোধ
খুবই যে জাগ্রত,
অল্প নিন্দা-প্রশংসাতে
সদা হন বিব্রত।
জন্ম সংখ্যা দুই আপনার
এবার বলে দেই,
স্বীকৃতি আর প্রশংসার যে
কোনই কমতি নাই।
জন্ম যাদের সেপ্টেম্বরের
২৩ তারিখ থেকে,
অক্টোবরের ২৩ অব্দি
বলছি তাদের ডেকে,
জন্ম সংখ্যা দুই আপনার
রাশি হল তুলা,
অনায়াশে জিততে পারেন
কঠিন চ্যালেঞ্জ গুলা।
অর্থনৈতিক আর জাগতিক
আসবে সুযোগ মেলা,
সুযোগগুলো লুফে নিতে
করবেন না কো হেলা।
২৪শে সেপ্টেম্বর থেকে
২২ নভেম্বর,
বৃশ্চিক রাশির অবস্থান যে
তুলা রাশির পর।
নানা রকম বাধা এলেও
ধারবেন না কো ধার।
আর্থিক অবস্থা থাকবে
বড়ই চমৎকার।
জন্ম সংখ্যা সাত আপনার,
সুনাম পাবে বৃদ্ধি।
অসম্পূর্ণ কাজ যত
নিশ্চয়ই হবে সিদ্ধি।
নভেম্বরের ২৩ থেকে
ডিসেম্বর ২১,
সময়টুকুর অধিকারী
ধনু নিরঙ্কুশ।
জন্ম সংখ্যা নয়,
আছে দ্বৈত স্বত্তা গুণ।
ভারসাম্য সামলে চললে
সফল সবটুকুন।
১৪ সালে কোন বাঁধাই
পারবেনা আটকাতে।
সফলতা লুক্কায়িত
জন্ম সংখ্যা সাত এ।
২২শে ডিসেম্বর থেকে
২০শে জানুয়ারী,
জন্ম হলে মকর রাশি
এটা বলতে পারি।
প্রচণ্ড সাহসী আপনি
জন্ম সংখ্যা তিন।
রাশিগত ভাবে সদা
সংগ্রামে কঠিন।
ক্ষমতা আর কর্ম শক্তির
সঠিক প্রয়োগ হলে,
বিরাট কিছু অর্জন হবে
রাশি শাস্ত্র বলে।
২১শে জানুয়ারী থেকে
শুরু যে সময়,
১৮ ফেব্রুয়ারী অব্দি
কুম্ভ রাশির হয়।
আত্ম বিশ্লেষণ করা
জরুরী ব্যপার,
তারই নিরিখে করবেন
দোষ ও গুণ বিচার।
জন্ম সংখ্যা নয় বলে
আর্থিক দিকটাও বেশ।
কারো কারো বিদেশ যাত্রার
সুযোগ সবিশেষ।
ফেব্রুয়ারীর ১৯ থেকে
মার্চ মাসের ২০,
এর মধ্যে জন্ম মীন এর
জানেন সব জ্যোতিষ।
জন্ম সংখ্যা তিন এর ফলে
সমাজে উজ্জ্বল,
রহস্যের প্রতি আপনার
আকর্ষণ প্রবল।
১৪ সালটি আপনার জন্য
বিশেষ বার্তাবহ,
মানসিক পরিচর্যা করুন
মনোযোগ সহ।
(৩১/১২/২০১৩ইং)
[প্রথম আলো পত্রিকার ২৮/১২/২০১৩ইং তারিখের ‘ছুটির দিনে’ ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত জনপ্রিয় জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরীর ‘আপনার রাশি ২০১৪’ থেকে সংগৃহীত। আমি শুধু পদ্য বা ছন্দোবদ্ধ করার প্রয়াশ করেছি ]
Comments (50)
সুন্দর করে শুরু করেছেন কিন্তু শেষে এসে মনে হল ফুড়ুৎ করে শেষ হয়ে গেল এবং লেখার সময় তাড়াহুড়ো করেছেন মনে হল।
প্রথম পাঠক হিসেবে ধন্যবাদ। এই গল্পের পাঠক একদিন আমার মেয়েটা হবে এই উদ্দেশ্যেই শিশুদের জন্য স্বল্প পরিসরে লেখা। আপনার দ্রুত পঠনে দ্রুত মন্তব্য আমার পরের লেখাটির ব্যাপারে যত্নবান হতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ।
সুন্দর শিশুতোষ গল্প। নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
গল্পটা শিশুতোষ হয়েছে বিষয়ের দিক থেকে। তবে শব্দ প্রয়োগে শিশু তোস রইলনা। কেননা শিশুদের জন্য আরো সহজ শব্দ। সহজ বোধ্য সাবলীল বাক্য হওয়া প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়।
পলিশ করলেই সুন্দর সাবলীল গল্প হবে আমার বিশ্বাস। আমি শিশুতোষ গল্প লিখতে পারিনা। আপনার প্রচেষ্টার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ। শিশুদের মানসিকতার ভেতর ঢুকে পড়ে ওদের বোধগুলো তুলে ধরা খুব কষ্টকর। প্রায় পনেরদিন ধরে এই গল্পটা লিখেছি। আরও অনেকদিন ধরে পলিশ করেছি। আরও কী কী পলিশ দরকার তা জানতে আমার তের বছরের ভাগনিকে পড়তেও দিয়েছি। হাহাহা। আমার ভাগনি নগদ লেখার খবর পেয়েই খুশি। খালি বলে দিল বেশি বড় না হয় যেন। বোঝেন অবস্থা! এদের মন বোঝা!!! আর এদের জন্য লেখা আরও কঠিন। আপনার লেখাই পড়ছিলাম একটু আগে।