গুগুল থেকে নেওয়া।
এখানকার অর্থাৎ আমেরিকার গাছগুলো সব বসন্ত ঋতুতে স্পন্দনশীল রঙে জীবন্ত হয়ে উঠে। আর শরতে হয় পর্ণরাজিতে সমৃদ্ধ আর হয়ে উঠে অগ্নিসদৃশ প্যালেটের মত এবং শেষটায় রঙে রঙে রঙিন হয়ে ছেঁয়ে যায়। শীতকালে যদিও শুকিয়ে মুচমুচে হয়ে, ধুসর রঙে বিমর্ষ হয়ে উঠে। কিন্তু গ্রীষ্মকালে ঠিকই সবুজে সবুজে গাছগুলো সব হয়ে উঠে সবুজের সমারোহ, আর ভরে যায় পুষ্পরাজিতে এবং হয়ে উঠে উৎপাদনশীল। আমার ফ্রন্টইয়ার্ডে এবং বেকইয়ার্ডে কিছু বড় গাছ আছে সেগুলো শীতের আগমনের বার্তা পেলেই সবকটি গাছের পাতাগুলো রঙ্গে রঙ্গে ছেঁয়ে যায়। সে এক অপূর্ব মুগ্ধকরা সৌন্দর্য্য।
গাছের পাতাগুলো সবুজ থেকে হলুদ, তারপর লালচে হয়ে একসময় সমস্ত লাল হয়ে রঙিন হয়ে যায়। আমি এই রঙিন হয়ে যাওয়া গাছ গুলোকে খুব ভালবাসি। কি সুন্দরইনা লাগে আমার বাড়ির রঙিন গাছগুলো দেখতে! তাইতো এই সময়টাকে আমি খুবই উপভোগ করি। শুধু আমিই না সবাই উপভোগ করে। এইতো সেইদিন, উইকেন্ডেতে সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে আসতেই আমার ছোট ছেলে অসি আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল ফর্মাল লিভিং রোমের জানালার পাশে এবং বলল, " মাম্মি মাম্মি দেখো কি সুন্দর!" আমিও তাকিয়ে দেখি, " তাইতো!!" কিযে সুন্দর লাগছিল। যেন সকালের জেগে উঠা সূর্যটার সাথে মিশে গিয়েছে। ছেলে আমার ক্যামেরা নিয়ে এসে বলল, " চল মাম্মি, ছবি তুলবে।" আমি তো অবাক চোখে দেখছিলাম। পরে দুজনে মিলে বাহিরে গিয়ে কিছু ছবি তুললাম। আজ থেকে, এই সপ্তাহটা পুরাটাই মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হবে, সেই সাথে শীতটাও নেমে যাবে। তাই গাছগুলো সব শীতের ছোঁয়া পেয়েই গাছের রঙিন পাতাগুলো সব ঝরতে শুরু করেছে, একসময় গাছগুলো একেবারে উলঙ্গ হয়ে যাবে, পাতা শূন্য হয়ে যাবে। তখন এখানকার সমস্ত গাছগুলো মরা গাছের মত দেখাবে, এবং এইরকম থাকবে এপ্রিল/মে পর্যন্ত। ততদিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আবার শুরু হবে সবুজ আর ফুলের সমারোহ। মোটকথা বছরের পাঁচ মাস এখানকার গাছগুলো শুকিয়ে সাদামাটা হয়ে থাকে এবং বাকি সাত মাস গাছগুলো সব অপূর্ব রূপে সজ্জিত হয়ে থাকে। এবার আমার তোলা আমারই ইয়ার্ডের গাছগুলোর কিছু ছবি।
Comments (24)
দূর হ হতভাগা! বললেও আজকে যাব না চলে
হিসাব তোমায় দিতেই হবে জনতা যে আজ জেগেছে।
পাশে থাকে প্রেরণা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ কবি
জীবন মুখী প্রতিবাদী কবিতা। আশায় থাকি একদিন আলো আসবেই
ধন্যবাদ পাশা ভাই। ভাল থাকবেন
শুভেচ্ছা
কবিতা ভালো লেগেছে
কবিতা ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।