নদীগুলো মরিয়া যাইতেছে অপরিকল্পিত বাঁধের অত্যাচারে। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার ন্যায় বাড়িতেছে। মানুষের নাভিশ্বাস উঠিতেছে। জীবনযাত্রার খরচ যোগাইবার জন্য মানুষ ঘুষ, দুর্নীতির মত অন্যায় আচরনে জড়াইয়া যাইতেছে। এতকিছু সত্তেও নির্লজ্জ কেউ একজন ডটার অব পিস উপাধি গ্রহন করিতেছেন। আবার কেহ করিতেছেন গোলাপি বিবি উপখ্যান। নিজ স্বার্থের লোভে মানুষকে দুপায়ের নিচে পিষিয়া মারিতেছে। নিজের পশ্চাৎদেশে বাঁশের অস্তিত্ব থাকা সত্তেও কিছু জনগন তৃতীয় ছাগ শিশুর মতই চিৎকার করিয়া সমুদ্র বিজয় উল্লাস করিতেছে। এইবার হয়ত সমুদ্রে ডুবিয়া মরিবার সময়ই আসন্ন।
কেহ বিদেশ ভাগিয়া যাইতেছে, কেহ আবার বিদেশীদের এই দেশ লুটিয়া খাওয়ার দাওয়াত দিতেছে। বিশ্বাস উঠিয়া যাইতেছে। নিঃশ্বাসের উপর ট্যাক্স ধার্য হইতেছে। নাগরিক সুযোগ সুবিধার নামে পদস্থরা লুটিয়া পুটিয়া খাইতেছে। আর্থিক ভাবে ধ্বংস করিতেছে, সামাজিক ভাবে ধ্বংস করিতেছে, মানসিক ভাবে ধ্বংস করিতেছে, রাষ্ট্রীয় ভাবে ধ্বংস করিতেছে। মাথা ব্যাথার ঔষধ না খুঁজিয়া মাথাই কাটিয়া ফেলিতেছে। করিবেই তো, উনাদের বাসায় তো আর লোডশেডিং হয় না। উনাদের তো আর চাকুরীর প্রয়োজন হয়না। ইহার জন্যই কবি বলিয়াছেন, “করে পাশ এম.এ, বি.এ, কেরানীর জীবন যাপন। রাজনীতি করলে রে ভাই ডিগ্রীর কি প্রয়োজন, জনগন তুলে দেবে তোমার হাতে দেশের শাসন।“ গরীবের টাকায় ট্যাক্স বসাইয়া উনারা ট্যাক্সবিহীন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করিতেছেন। উনাদের সন্তান তো আর এই দেশে থাকেন না। উনাদের তো আর বাজার করিতে হয় না। অসহায়ের দুঃখ উনারা কি করিয়া বুঝিবেন। কবি আরও বলেছেন, “অর্থের কারচুপিতে সিদ্ধ যিনি অর্থমন্ত্রী, দেশের শত্রু মাঝে প্রধান যিনি প্রধানমন্ত্রী, এ দেশে ধার করে ভাই শোধে রাজা ধারের টাকা, মরে ভূত হল মানুষ লোক দেখানো বদ্যি ডাকা।“
Comments (3)
শুভেচ্ছা রইলো।
নক্ষত্র ব্লগে স্বাগতম। আশা করছি আমরা এক সৃজনশীল পথে হাটতে পারবো।
ব্লগিং হোক আনন্দের। শিক্ষণীয়।
নক্ষত্র ব্লগ বাংলা ব্লগ জগতে সর্বাধুনিক সুবিধা নিয়ে অনলাইন লেখকদের অন্য নতুন প্লাটফর্ম হিসেবে নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখবে এ কামনা করি।
এমন সুন্দর একটা ব্লগসাইটের সন্ধান দেয়ায় অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই নীল সাধু ।
অনেক ভালো থাকুন ।।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল ।।