পর্ব-২
Zeus
Zeus এবং তার ভাইয়েরা মহাবিশ্বের অধিকাংশ রাজত্ব নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। সাগরেরসিংহাসনে বসে Poseidon আর নরক(underworld) এর দেবতা হয় Hades। Zeus হনএদের সর্বচ্চ শাসক। তিনি ছিলেন আকাশের অধিকারী, বৃষ্টির দেবতা ও মেঘেরদলনেতা যে তার বিজলী (Thunderbolt) এর সাহায্যে আধিপত্য বিস্তার করে। তারশক্তি অন্যান্য দেবতাদের মোট শক্তির তুলনায় অনেক বেশি ছিল। Zeus, এদের মধ্যে পুরোপুরি ধোয়া তুলশি পাতাও ছিল না। তার অহংকার মানুষের জন্যেমৃত্যু নিয়ে এসেছিল। তার হাতে ছিল ভাগ্য। এছাড়া তার সম্পর্কে গ্রীকরা আরবলে যে, গ্রীক মহিলাদের প্রতি Zeus এর ভালবাসা ছিল ভিন্নধর্মী। তিনি একজনেরপর একজন মহিলার উপর প্রেমে পড়তেন এবং তাদের সাথে মিথ্যা বলে ও ধোঁকাবাজিকরে নিজের দুশ্চরিত্র ঢাকা দিতেন।এমনও শোনা যায় যে তৎকালীন প্রদেশগুলোতে কিছু মানুষ নিজেকে তাদের দেবতা বলে অবিহিত করে। এসময় তাদের স্ত্রীরা Zeus এর সাহচার্য্যে এসে তার পক্ষে চলে যায়। এধরনের ভালবাসার সম্পর্ক প্রাদেশিক রাজারা পছন্দ করত না। তার পরেও Zeus এর প্রার্থনা শুনতে পাওয়া যেত। কিন্তু প্রার্থনা Zeus এর জন্য যথেষ্ট ছিল না। সে মানুষের উৎসর্গ চেয়ে বসলো। শুধু তাই না, এর নমুনাও দেখা যায় কিছু কিছু জায়গাতে। ট্রয় এর যুদ্ধের সেনারা বলে, “আদি পিতা জিউস মিথ্যাবাদী ও শপথ ভঙ্গকারীকে সাহায্য করেন না”। এখানে Zeus এর উচু ও নিচু, দুরকম মনোভাবই দেখা দেয়। তার বর্ম ছিল Aegis, তার পাখি ছিল ঈগল, তার গাছ ছিল Oak. তার ভাগ্যগনক ছিল Dodona যিনি Oak গাছের বনে থাকেন। উপাসকরা Oak গাছের পাতার পতন দেখে Zeus এর ইচ্ছা কল্পনা করেন।
Poseidon
ইনি ছিলেন সাগরের শাসক, Zeus এর ভাই এবং তার সমশক্তি সম্পন্ন। Aegean এর দুই পাশের গ্রীক সাগর ভ্রমণকারীরা সাগরের দেবতাকে খুব গুরুত্তের সাথে দেখত। টাইটান Ocean এর নাতনি Amphitite তার স্ত্রী ছিলেন। সাগরের নিচে Poseidon এর একটি অবিশ্বাস্য রকমের রাজপ্রাসাদ রয়েছে। কিন্তু তাকে প্রায়ই Olympus এ দেখা যেত। সাগরের রাজা হওয়ার পরেও তিনি তার প্রথম ঘোড়া দান করেন মানুষকে। এবং তিনি সমভাবে সবার কাছে সম্মানিত।
কিন্তু তিনি যখন তার সোনার গাড়ি নিয়ে সাগরের উপর দিয়ে যান তখন সাগরের স্রোত বিদ্যুতবেগে স্থির হয়ে যায় এবং গাড়ির চাকাগুলো মসৃণ ভাবে চলে যায়। তাকে ব্যাপকভাবে ‘ভুমিকম্পনকারী’ হিসেবে ডাকা হয় এবং তিনি সবসময় তার ত্রিশূল নিয়ে ঘুরেন। এটা হল তিন মাথাওয়ালা বর্শা যা দিয়ে তিনি যা ইচ্ছা কম্পন করেন বা চিড়ে ফেলেন। ঘোড়ার সাথে সাথে তিনি ষাঁড় ও পছন্দ করেন, তাছাড়া ষাঁড় আর অনেক দেবতার সাথে সম্পৃক্ত।
Hades
Olympian দের মধ্যে ইনি ছিলেন তৃতীয় ভাই এবং তার অংশ হিসেবে তাকে নরকের রাজা করা হয় যাতে তিনি মৃতদের উপর রাজত্ব করেন। তাকে সম্পদের দেবতাও বলা হয়। সেই সব সম্পদ যেগুলো মাটির গহীনে লুকনো থাকে। Hades কে অনেক গ্রীক ও রোমানরা Dis বলে ডাকে। Latin এই শব্দের অর্থ হল সম্পদশালী। তার মাথায় একটা বর্মের হেলমেট রয়েছে যা তাকে এমন কি যে পরবে তাকেই অদৃশ্য করে রাখে। নরক ছেড়ে পৃথিবী বা Olympus এ তাকে ঘুরতে খুব কম দেখা যেত। তিনি সেটা করতে সন্তুষ্টও ছিলেন না। তাকে কেউ স্বাগত জানাত না। তিনি ছিলেন রুক্ষ, আত্মমগ্ন এবং ভয়ঙ্কর দেবতা, কিন্তু তিনি শয়তান ছিলেন না। তার স্ত্রী ছিলেন Persephone. তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নরকের রানী করা হয়। তিনি মৃত্যুর না, মৃতদের রাজা ছিলেন যাদের গ্রীকরা Thanatos নামে ডাকত।
Comments (2)
আঁধারের বুকে জাগে আশার আলো
স্বপ্ন হয়ে জেগে ওঠে আমার অস্ত্বিস্ত-
জেগে উঠি আমি আঁধারের বুক ফুঁড়ে!
আঁধার নয় রঙিন আলোয় আলোকিত হোক কবির জীবন। ভাল লাগল কবিতা
ধন্যবাদ প্রিয় ।ভাল থাকবেন।
কবিতা বেশ হয়েছে
অভিনন্দন দাদা
ধন্যবাদ প্রিয় বাউল ভাই।ভাল থাকবেন।
সবার এমনটি মনে হয় মাঝে মাঝে ভাই। সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ প্রিয় ।ভাল থাকবেন।