থাকবে কফি হাউজ। থাকবে তার চিরন্তন আড্ডা- থাকবে না শুধু সেই মানুষটি যে এই আড্ডাকে অমরত্ব দিয়েছিলেন তার গানে।
মান্না দে’র মৃত্যুর খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করলেন “কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই” গানের সুরকার সুপর্নকান্তি ঘোষ।
মান্না দে’র মৃত্যুর খবর আসার দিনই শোকস্তব্ধ কলকাতা কফি হাউজ। তখন খবর এসে গেছে সুরের এই যাদুকরের নশ্বর দেহ আনা হবে না কলকাতায়। তার শেষকৃত্য চলছে সুদূর বাঙ্গালোর শহরে।
কফি হাউজের একতলায় মান্না দে‘র একটি ছবির সামনে প্রজ্জলন করা হয়েছে কয়েকটি মোমবাতি। মোমের নরম আলোয় উজ্জ্বল সদা হাস্যময় শিল্পীর মুখ। টেবিলে টেবিলে সেই সময়ও চলছে আলোচনা, আড্ডা। কিন্তু অন্যদিনের থেকে কিছুটা নিচু গলায়।
কফি হাউজের কর্মচারীদের গতিও কিছুটা শ্লথ, শোক গভীর। গোটা কফি হাউজ জুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা বিয়োগ যন্ত্রণা।
কফি হাউজের আড্ডা তার আত্মাকে হারল, এটা শুধু আমি নয়- যে একবারের জন্যও কফি হাউজে এসেছে সেই বুঝতে পারবে। বলেছেন সূপর্নকান্তি ঘোষ।
“কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই” এই গান কফি হাউজের একান্ত নিজের গান বলে মন্তব্য করলেন কফি হাউজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাসগুপ্ত। তিনি আরও জানালেন আগামী দিনে তারা মান্না দে’র স্মরণে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছেন।
দীপঙ্কর দাসগুপ্ত জানালেন মান্না দে ২০১০ সালে শেষবারের মত কফি হাউজে আসেন। প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন জানালেন, মান্না’র এই গানটি তাকে তার যৌবনে ফেলে আসা কফি হাউজের দিন গুলির কথা বারে বারে মনে করিয়ে দেয়।
অভিনয় শিল্পী পাওলি দাম তার টুইটারে লিখলেন “কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই”---চলে গেলেন মান্না দে, তাঁর আত্মার জন্য শান্তি প্রার্থনা করি।