ব্যাঙের ছাতার মতো অনুমোদনহিন হাঁসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখন পুরো বাংলাদেশ কিম্বা ঢাকার শহরের অলি গলিতে পান সিগারেটের দোকানের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যাতে ডাক্তার নামধারী সব কম্পাউন্ডাররা বসে থাকে যাদের চিকিৎসার সনদ নেই এবং ঠিকমতো ঔষধ দেওয়ার যোগ্যতা নেই।
একজন রোগী যখন গ্রাম থেকে ভালো চিকিৎসার আশায় ঢাকায় সরকারী হাসপাতাল গুলোতে আসে অথবা জেলা শহরগুলোর সরকারী হাসপাতালে যায় ভালো চিকিৎসার আশায়। তখন দালালদের দৌরাত্তে তারা নানারকম ব্যাঙের ছাতার মতো নামধারী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই সব দালালদের সাথে কিছু চিকিৎসক দেরও যোগাযোগ আছে। চিকিৎসার বদলে হয় অচিকিৎসা। এবং খতিগ্রস্ত হন সাধারণ জনগণ। আর তাদের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর হাড়তো অহরহ।
বাংলাদেশে মাজে মধ্যে র্যাব অথবা স্বাস্থ্য অধিধপ্তর এর কর্মকর্তারা নানারকম হাঁসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক বা কোন ডাক্তারের চেম্বার এ অভিযান চালায়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হ্য় ডাক্তার ভুয়া নয়তো তার সাইনবোর্ড এ যে টাইটেল তিনি দিয়েছেন সেই কোর্স আজ পর্যন্ত শেষ করতে পারেননি এমনও ডাক্তার আছেন যারা ১ সপ্তাহের কোন কোর্স তার সাইনবোর্ড এর সাথে ঝুলিয়ে দেন। এমন ও দেখা গিয়েছে দাতের ডাক্তারের সাথে কাজ করা কম্পাউন্ডার নিজে আলাদা ভাবে দাতের ডাক্তার সেজে চেম্বার দিয়ে বসে আছেন। এরকম ডাক্তার রা মূলত জেলা শহরগুলোতে বেশী থাকে। অথবা ঢাকার নিম্নাঞ্চলে যেখানে সল্প আয়ের মানুষের উপস্থিতি বেশী তাদের ওইখানে এইসব ডাক্তারদের উপস্থিতি অনেক।
আপনাদের হয়তো মনে আছে বেশ কিছু বছর আগের ঘটনা ,ঢাকার প্রাইভেট মেডিকেলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি মেডিকেল কলেজ থেকে এক সহযোগী অধ্যাপক কে গ্রেপ্তার করা হয় যিনি কিনা স্কুল পর্যন্ত পরেছেন। এমন নামধারী ডাক্তার আমাদের দেশের ওলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যাদের ভুল চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ আর বদনাম হচ্ছে মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা ছেলে মেয়েগুলোর।
শুধু তাতেই সীমাবদ্ধ নয় ব্লাড ব্যাঙ্কের নামে যা হচ্ছে তা এক ভয়াবহ ঘটনা যাদের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হচ্ছে কোন প্রকার টেস্ট ছাড়া। একজন রক্ত গ্রহিতা কিন্ত জানতেও পারছে না যে তার রক্তদাতা একজন ড্রাগ এডিক্ট বা তার কি কোন রোগ আছে। ঢাকাতে অধিকাংশ রক্ত দেওয়া লোক মূলত নেশাখোর যারা অনেক নেশায় টাকার জন্য রক্ত দিয়ে থাকে । ফলাফল এইসব রক্ত গ্রহনের ফলে ভালো সুস্থ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানারকম অসুখে।
মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী দয়া করে আপনি কি এদিকে একটু নজর দিবেন।
Comments (0)
কিপ্টে কৈলাস বাবুর আলেয়া হবার ঘটনা মনিমাকে অবাক না করে যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়। চমৎকার ভুতের গল্প ভাল লাগল।
গল্প ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম--অনেক ধন্যবাদ।
বেশ বাস্তব ঘেঁষা গল্প , সত্যি বলেই মনে হচ্ছে । বেশ সুন্দর । আপনার লেখা ভূতের গল্প আগেও পড়েছিলাম , ভালো লাগা রইলো।
হ্যাঁ,কালই দু জাগায় দুটি ভুতের গল্প পোস্ট করেছি--দুটিতেই আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাল লেগেছে খুব।আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
দাদা, ভয় এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম। আসলেই এ রকম হয় নাকি! হরেন্দ্র থেকে আলেয়া!
বেশ পাঠক আকৃষ্ট করে রাখার মতো কাহিনীর গাঁথুনি।
আপনার অভিজ্ঞতা নেই--আমি জানি,বিশ্বাস করি।সে সব ঘটনা আপনার কাছে আরও অবিশ্বাস্য বলে মনে হবে। তবে ভাল লেগেছে জেনে আপনাকে জানাই ধন্যবাদ।