শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায় এক রাত (গল্প- ৫ম পর্ব)
(ষষ্ঠ পর্ব)
আমি বললাম, কেমনে ঘুমাবো? আপনি যেভাবে আমার কানের কাছে নাক রেখে নাক ডাকা শুরু করেছেন, তাতে কি ঘুমানের জো আছে।
মহিলা এবার আমার হাতটি মাথা থেকে সরাতে সরাতে বলল, সরি ভাই, আপনাকে আমি অনেক কষ্ট দিচ্ছি।
-- আমিই কষ্ট করি, তবু আপনি সুখে ঘুমান।
একথায় মহিলা আমাকে জবাব দিল, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাই। আপনার মত লোক হয় না। অথচ প্রথমে আমি আপনাকে ভুল বুঝেছিলাম।
আমি বললাম, এরকমই হয়।
মহিলা সোজা হয়ে বসে মাথার চুল ভালো করে বেধে নিল। আমি বললাম, মুখ ধুয়ে নেন।
-- পানি কোথায় পাবো?
-- পানির অভাব নাই, ওই দেখেন না, পানি নিয়ে ছেলেগুলো চিল্লাচিল্লি করছে। ওদের ডাক দিলেই পানি দিয়ে যাবে। বলেই জানালা দিয়ে মুখ বের করে আমি এক পানিওয়ালাকে ডাক দিলাম। দুইজনে চারানা দিয়ে দুই গ্লাস পানি নিয়ে মুখ ধুয়ে নিলাম। কাছেই নাস্তাওয়ালা ঘুরতে ছিল, ডাক দিতেই দুইপিচ করে পাউরুটি ও দুটি করে মিস্টি দিয়ে গেল। দুইজনেই একসঙ্গে খেলাম। কিন্তু নাস্তার দাম আমাকে দিতে দিলো না। সেই দিয়ে দিল। একটু পরেই গাড়ি ছেড়ে দিল।
সকাল নয়টার দিকে গাড়ি ঢাকা পৌছলে মহিলা একটি কুলি ডাক দিয়ে তার মাথায় ব্যাগটি তুলে দিল। আমি বললাম, তাহলে আমার ব্যাগটাও কুলির মাথায় দিয়ে দেন। মহিলা বলল, ঠিক আছে কুলি নিচে নামলে তার মাথায় আপনার ব্যাগ দিয়ে দেন। বলেই সে কুলিসহ নিচে নেমে গেল। আমি বাফার থেকে ব্যাগ নামিয়ে নিচে নেমে দেখি ততক্ষনে মহিলা কুলিসহ পঞ্চাশ হাত দুরে চলে গেছে। আমি ব্যাগনিয়ে তাদের অনুসরণ করে কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হলাম। যাত্রীর ভির ঠেলে আগানো যাচ্ছিল না। আমি গেটের কাছে আসার আগেই তারা গেট পার হয়ে গেল। ভির ঠেলে গেট পার হয়ে স্টেশনের বাইরে এসে দেখি মহিলা কোথাও নাই। মহিলা চলে গেছে। মহিলাকে ঘাটে পৌছাতে যে কষ্ট করেছি তার চেয়েও বেশি কষ্ট পেলাম ঢাকার স্টেশনে এসে। যার জন্য এতো কষ্ট করলাম সে যাওয়ার সময় এতোটুকু সৌজন্যমূলক আচরণ তো দুরের কথা, মুখের সামন্য কথাটুকুও বলে গেল না।
- ঃ সমাপ্ত ঃ -
Comments (27)
আবেগাপ্পুত হয়ে পড়েছি লোখাটি পড়ে, এই ইতিহাস জানতাম না, আজ আমাদের আরো একটা গর্বের ইতিহাস জানলাম, আশা করছি আপনার মাধ্যমে আমরা এমন ভীনদেশী ইতিহাস ঐতিহ্যগুলো আমরা ক্রমান্বয়ে জানতেই থাকবো।
আবেগাপ্পুত হয়ে পড়েছি লোখাটি পড়ে, এই ইতিহাস জানতাম না, আজ আমাদের আরো একটা গর্বের ইতিহাস জানলাম, আশা করছি আপনার মাধ্যমে আমরা এমন ভীনদেশী ইতিহাস ঐতিহ্যগুলো আমরা ক্রমান্বয়ে জানতেই থাকবো।
গুরু আশা করছি এই ব্লগে আপনাকে নিয়মিত পাব। ব্লগের পুরনো দিন গুলো আবার ফিরে আসুক এই কামনা।
ধন্যবাদ অজানা ইতিহাস জানানোর জন্য ৷ বৈদেশীর জন্য ৷
ধন্যবাদ অজানা ইতিহাস জানানোর জন্য ৷
আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয়।
আপ্নে ঘুড়তে যান,আর এই দিকে আমার লেখা পড়াটা হয়ে যায়।আপ্নের পোস্ট আগে পড়তে পারলে ইতিহাসে আর ফেইল মারতাম না।
আপ্নে ঘুড়তে যান,আর এই দিকে আমার লেখা পড়াটা হয়ে যায়।আপ্নের পোস্ট আগে পড়তে পারলে ইতিহাসে আর ফেইল মারতাম না।
আমার নিজেরও কিন্তু ইতিহাসে ফেইল মারার ইতিহাস আছে।