Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সমুদ্র মিত্র

৮ বছর আগে

মনোবিজ্ঞান

বাবা-মা তাঁদের সন্তানকে যত দ্রুত একটা বিষয় সহজে শিখাতে পারে, মনে হয় না অন্য কেউ বা কোন ভাবে তা করা বা বুঝা সম্ভব নয়। বিশেষ করে বাবা-মার উচিৎ শৈশব - কৈশোরে ছেলেমেয়েদের সাথে নিত্যনতুন আর কিছু সুন্দর বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া,তাদের উচিৎ ছেলেমেয়েদের কল্পণার জগৎকে আরও বিস্তৃত ঘটানো। হতে পারে সেটা একটা ছোট্র কবিতা,রূপকথার গল্প নয়তো বিজ্ঞানের কোন ম্যাজিক আরও কতকি আছে । সেখানে আমরা কি করি,তাঁদের বেঁধে রাখি।তাঁদেরকে নিয়ে আমাদের ভয়ের আর দুশ্চিন্তার অন্ত নেই । তাঁদের বাইরের পরিবেশের সাথে মিশতে দেই না।তাদের কল্পণার জগৎ শূণ্য করে দেই ।   আর অন্যদিকে,আমাদের দেশে বলতে গেলে প্রায় ৯৮ ভাগ পরিবার-পরিজনেরা তাঁদের সন্তানদের শৈশব- কৈশোরে থাকতেই অনেক প্রচীন কুসংস্কার আর নিতান্তই কিছু অযৌক্তিতার কার্যকলাপের অভ্যাস আর বিশ্বাস গড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তারা সহজ সত্যটাকে বুঝতে পারলেও তা ধারন করতে বা মেনে চলতে পারে না। সত্যি বলতে শৈশব- কৈশোরের শেখানোটা প্রত্যেকেই তাঁদের নিজেদের ভিত্তি হিসেবে গড়ে তুলে আর তা ভাঙা খুব কঠিন ।   এতক্ষণ বাবা-মাদেরকে বললাম তাঁদের সন্তানদেরকে রূপকথার গল্প শুনাতে হবে  :)  কিন্তু কিভাবে? তাদেকেওতো রূপকথার গল্প জানতে হবে,ঐ রকম করে বিশ্বাস করতে হবে। বড় হয়ে গেলে চলবে না ।তাদের সাথে মিশতে হবে,তাদের শৈশবের ছোট বন্ধু থেকে শুরু করে একেবারে বড় বন্ধুটিও তাদেরকেই হতে হবে । আর এভাবেই হবে ।   যেমন রূপকথার গল্পটি হতে পারে কোন এক সকালে প্যাকেট ভর্তি চকলেই-খাবার- বেলুন নিয়ে বলে ওঠা ঐ যে খুকা-খুকিদের দেখছো ওরা তোমার বন্ধু, যাও ওদের সাথে খেলো । ওদের কেউ গরীব বলে বকলে তুমিও ওদের বকে দিবে কেমন।  কিংবা সিগেরেট খাওয়ার জন্য নিজের ছেলে মেয়েদের কাছে অনুমতি চেয়ে নেয়া,তা মেনে চলা । হতে পারে সারাদিনের ভালোকাজের গল্পগুলো বলার ফাঁকে ফাঁকে ভূলগুলোও বলে তা কি করে শুধরে নিলাম সে গল্পটিও বলা ।  হতে পারে অনেক কিছুই আর হবেও তখন অনেক কিছুই ।
০ Likes ০ Comments ০ Share ৭৯৪ Views