ছোট্ট একটি কথা। গল্প নয় ,কবিতা নয় ,শুধুই একটা কথা তোমাকে বলতে মন ভীষণ চায়। ইচ্ছে করে তোমার আশে-পাশে সারাদিন ঘুরতে। ইচ্ছে করে তোমার স্বপ্নে ডুব দিতে। যাতে খুব সহজেই মরে যেতে পারি। সাঁতার না জানায় হাবুডুবু খেয়ে মরবো। তাতে না পাওয়ার বেদনাটা মুছে যাবে। মাঝে মাঝে খুব বলতে ইচ্ছে করে ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি। যদিও এই শব্দটার কোন চরিত্র নেই তোমার কাছে। পুরোপুরি একটা উর্মাদ ছেলের মতো হঠাত্ এসে হঠাৎ দোলা দিয়ে হাওয়ার মাঝে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায় দূর বহুদূর। মাঝে মাঝে নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হয়। এই যে তোমাকে ভালো লাগলো হঠাৎ রাস্তার সস্তা ছেলেদের মতো সরাসরি বলে দিয়েছি ভালোবাসি। যদিও না বলে দিয়েছো। তাতে কি সবাই শুধুই হ্যাঁ শুনতে চায়; আমি না হয় না টা শুনলাম। তোমার না বলাটা আমার কাছে হ্যাঁ এর মতই।এই কয়েকটা দিন আমায় দেখেছো? দেখোনি কেনো জানো? আমি চাইনা তুমি আমাকে ভাবো ,অভদ্র ঘরের অভদ্র সন্তান। না আমি গরীব ঘরের এক অন্যরকম সন্তান। যখন যা ইচ্ছে হয় তখন তা করি।তোমার প্রতিমূর্তি যখন চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তখন মনে হয় যমরাজ এসে আমার আত্মাটা নিয়ে যাচ্ছে। হৃদ স্পন্দন কিছু সময় নিয়েছে তার ক্লান্তিকে দূর করতে। তার পরেই আমি বুঝে যাই "তোমার
প্রত্যেকটা পদক্ষেপ,আমার এক একটা হৃদ স্পন্দন"। কথাটা মিথ্যে ভেবো না। আর যদি ভাবো তাহলে বলবো, আমি সেই জীব যার গলা কাটা হলো ক্ষানিক সময় আগে। একদিকে রক্তদের উণ্মূক্ত ক্রন্দন অপরদিকে শরীরে অসহ্য যন্ত্রনা। শুধু একটু জল দাও! তৃষ্ণাত্ব গলাটা ভিজিয়ে নিই। ভিজিয়ে কি লাভ হলো? জলতো সব বের হয়ে যাচ্ছে কাটা জায়গা দিয়ে। একসময় ক্লান্তিকে ডেকে বলবো, আমাকে বিদায় দাও, আমি চলে যেতে চাই। যেখানে থাকবে না কোন প্রিয় আকাঙ্ক্ষা। যেখানে তোমার নাম হঠাত্ শুনে ঘুম ভাঙ্গবেনা আমার। আমি এই ছেলেটি আর কোনদিন পথে দাঁড়িয়ে থাকবো না তোমার মুখ
থেকে ভালোবাসার কথাটা শুনার অপাক্ষায়। হয়তো-বা পথে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতাম, ঐ জায়গায় স্মৃতিটুকু থাকবে। তবে পরে এই স্মৃতিটুকুও বৃষ্টির জলে মুছে ধূলোর সাথে গড়াগড়ি খাবে। তুমি হয়তোবা জেনেও না জানার ভঙ্গ ধরে থাকবে। এই ভঙ্গটা কি তোমার একান্ত ইচ্ছা? তুমি যেমন মানুষ আমিও তেমন মানুষ। নাকি আমি মানুষ না? মানুষেরতো একটা মন থাকে, ঐ মনে কি আরেকটা মানুষের জন্য একটুও মায়া জন্মায় না? তুমি কি কখনো তোমার সুখ দুঃখের কথা বলেছো তোমার মাকে? নাকি কখনো শুনতে চেয়েছো তোমায় মায়ের দুঃখ? তেমনি আমিও ঠিক তোমার মায়ের বিপরীতে। আমার
দুঃখের কথা শুনার মানুষটা আমাকে মানুষ ভাবে না। ভাবে ডাষ্টবিনের পাশে পরে থাকা সেই
কুকুরটা,যে মাঝে মাঝে মানুষের পিছু নেয়। তবে এই সকল ভাবনা আমার একার-ই। তাই আমি তোমার ছায়াকে আমার একাকীত্বের সাথে বেঁধে রেখেছি। তাই সব সময় আমার ছায়াই আমি তোমাকে দেখতে পাই। এই দেখা কি শেষ দেখা তা আমি জানি না । . . . . .
Comments (0)
কতগুলো সেরা ও প্রিয় লেখার মধ্যে এটিও স্থান নিলো।
//কোথায় একান্ত-ই আমার তুমি নারী!//
অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ! দাদা।
ধঅন্যবাদ দাদা।
তেরো গজ > হাত...।
ঠিক আছে দাদা।
সুন্দর দাদা