মনে আছে শালিনী
আমাদের মধুচন্দ্রিমার সেই স্মৃতিগাঁথা?
নির্জনপ্রিয় পাহাড়ি কাঁশবনের ভেতর
কুয়াশার কোমলতার হিমহিম আদরে জড়িয়ে
দুজনার ঘন্টার পর ঘন্টা কথোপকথন হতো
যদিও তুমিই কথা বলতে বেশি!
তোমার কথার মায়ার সাথে
মৃদু হাসির যে বিচ্ছুরণ ঘটতো
আমার কথামালা সেখানেই খেই হারাতো
কথা বলতে বলতে কখন যে সময়
কেটে যেতো, টেরই পেতাম না আমরা
মনে হতো শুধু হাজারো না বলা কথা
জমে আছে মনে পাথর হয়ে।
সমুদ্র-সৈকতের বালুকাময় পথে
হাতে হাত ধরে হেটে চলতাম বহুদূর
মাঝেমাঝে তুমি গান গেয়ে শোনাতে
তোমার কন্ঠে জাদু ছিল
নিমিষেই ক্লান্তিগুলো উড়িয়ে দিতো
সমুদ্রপারের হাওয়া-বাতাস বড্ড অবাধ্য কিসিমের
অযথাই এলোমেলো করে দিতো তোমার কেশ
কপাল থেকে চুল সরিয়ে নেবার
তোমার সেই বিরল ভঙ্গিমাটা
আমার কাছে দারুণ লাগতো
এখনো চোখের আর্কাইভে প্রানবন্ত সেই মুহুর্তটি।
তোমায় কোলে চড়িয়ে শতশত সিঁড়ি ভেঙ্গে
সুউচ্চ চূড়ায় আরোহণ করেছিলাম আমি
তুমি ছাড়া অন্য কেউ হলে
কখনোই সাহস করতাম না
তুমি ছাড়া কাউকে তো আর ভালবাসি নি
কোল থেকে নেমে তুমি
দুহাতের শক্ত বাঁধনে জড়িয়ে আমায়
চোখে অনেক শ্রাবণ ঝরিয়েছিলে সেদিন
তোমার হাসির মতো
কান্নারও আলাদা এক শিল্পরূপ ছিল
যে দেখেছে, সেই শুধু জানে তার মূল্য।
সাগরের নীলজলে দুজনে মিলে
ঢেউয়ের মতো উচ্ছ্বাস গায়ে মেখে
বিশুদ্ধ মাতামাতি করেছিলাম কতো
কোরালের গায়ে বসে প্রেমের অনুরাগে
অবলোকন করেছিলাম সুর্যোদয়-সুর্যাস্তের প্রহর
এমনি আরো কতো মুহুর্ত ছিল আমাদের!
আমাদের মিলনের সুবর্ণ জয়ন্তীতে
আজ মধুচন্দ্রিমায় আবার এসেছি প্রিয়
তোমাকে কথা দিয়েছিলাম না আমি?
তোমার অবর্তমানে
তোমার স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলো
না হয় হবে আমার এবারের যাত্রাসঙ্গী।
আমাদের মধুচন্দ্রিমার সেই স্মৃতিগাঁথা?
নির্জনপ্রিয় পাহাড়ি কাঁশবনের ভেতর
কুয়াশার কোমলতার হিমহিম আদরে জড়িয়ে
দুজনার ঘন্টার পর ঘন্টা কথোপকথন হতো
যদিও তুমিই কথা বলতে বেশি!
তোমার কথার মায়ার সাথে
মৃদু হাসির যে বিচ্ছুরণ ঘটতো
আমার কথামালা সেখানেই খেই হারাতো
কথা বলতে বলতে কখন যে সময়
কেটে যেতো, টেরই পেতাম না আমরা
মনে হতো শুধু হাজারো না বলা কথা
জমে আছে মনে পাথর হয়ে।
সমুদ্র-সৈকতের বালুকাময় পথে
হাতে হাত ধরে হেটে চলতাম বহুদূর
মাঝেমাঝে তুমি গান গেয়ে শোনাতে
তোমার কন্ঠে জাদু ছিল
নিমিষেই ক্লান্তিগুলো উড়িয়ে দিতো
সমুদ্রপারের হাওয়া-বাতাস বড্ড অবাধ্য কিসিমের
অযথাই এলোমেলো করে দিতো তোমার কেশ
কপাল থেকে চুল সরিয়ে নেবার
তোমার সেই বিরল ভঙ্গিমাটা
আমার কাছে দারুণ লাগতো
এখনো চোখের আর্কাইভে প্রানবন্ত সেই মুহুর্তটি।
তোমায় কোলে চড়িয়ে শতশত সিঁড়ি ভেঙ্গে
সুউচ্চ চূড়ায় আরোহণ করেছিলাম আমি
তুমি ছাড়া অন্য কেউ হলে
কখনোই সাহস করতাম না
তুমি ছাড়া কাউকে তো আর ভালবাসি নি
কোল থেকে নেমে তুমি
দুহাতের শক্ত বাঁধনে জড়িয়ে আমায়
চোখে অনেক শ্রাবণ ঝরিয়েছিলে সেদিন
তোমার হাসির মতো
কান্নারও আলাদা এক শিল্পরূপ ছিল
যে দেখেছে, সেই শুধু জানে তার মূল্য।
সাগরের নীলজলে দুজনে মিলে
ঢেউয়ের মতো উচ্ছ্বাস গায়ে মেখে
বিশুদ্ধ মাতামাতি করেছিলাম কতো
কোরালের গায়ে বসে প্রেমের অনুরাগে
অবলোকন করেছিলাম সুর্যোদয়-সুর্যাস্তের প্রহর
এমনি আরো কতো মুহুর্ত ছিল আমাদের!
আমাদের মিলনের সুবর্ণ জয়ন্তীতে
আজ মধুচন্দ্রিমায় আবার এসেছি প্রিয়
তোমাকে কথা দিয়েছিলাম না আমি?
তোমার অবর্তমানে
তোমার স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলো
না হয় হবে আমার এবারের যাত্রাসঙ্গী।