Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ভ্রমন

বিগত বেশ কিছুদিন কোথাও যেতে পারছিনা। বাউন্ডুলে মনে এ টান আর কত দিন সহ্য করা যায়। গত কয়েকদিন যাবৎ আর মনকে মানাতে পারছিনা। তাই সব কিছু ফেলে গত বৃহস্পতি বারে ঠিক করলাম শুক্রবারে বের হবোই। কিন্তু বিধি বাম রাতেই মামা ফোন দিয়ে এক নিদের্শনা জারি করলেন। শক্রবারে বের হতে পারলামনা। শনিবার সকালে চিন্তা করলাম আর কোন কথা নেই। এখনই বের হবো। এর মধ্যে এস এম এস করলাম সুমন ভাইকে। সেন্ট নিকোলাস দেখতে যাবো। যাবেন নাকি? উত্তর উনি ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন আর কে কে যাবে। আমি বললাম আপনি আর আপনি। আপনি না গেলে আমি একাই যাবো। বললেন ঠিক আছে। আমি গাড়ি নিয়ে আসছি। আমি রিকোয়েস্ট করলাম বাইকে যাবো। উনার কত শত কাজ তাই গাড়িতেই যেতে হবে।


সুত্র পেয়েছিলাম প্রত্নতত্ব বিভাগের একটা বইতে। লিখেছে টঙ্গী থেকে ২০ কিমি গেলে নলছাটা ব্রীজ। প্রথমেই দ্বিধাদ্বন্ধ। টংগি থেকে ২০ কি মি যাওয়ার জায়গা আছে নাকি? তারপরও টংগিতে গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করলাম। তেমন কেউ নলছাটা চিনেনা। পরে একটা ছেলে বলে দিল। এরপর শুরু হলো কালিগঞ্জের দিকে যাত্রা। জিজ্ঞাসা করতে করতে একসময় নলছাটা ব্রীজের দেখা মিলল। এটা এমন কোন বড় সড় নয় যে লোকজন তেমন ভাবে চিনবে। ব্রীজ পার হয়ে ডানের রাস্তা ধরে প্রবেশ করলাম। শান্ত ছায়ি ঢাকা একটা গ্রাম। বর্ষার শুরু তাই চারিদিকে সবুজের সমারোহ। ইচ্ছা ছিল এই পথে পায়ে হাটবো। কিন্তু গাড়ি থাকলে কি পায়ে হাটা যায়?


নাগরী বাজার ঢুকার পথ।

নাগরী বাজার তেমন বড় সড় বাজার নয়। গ্রামের ভিতরে নিজেদের ব্যবহারের জন্য একটি বাজার। বাজার পার হয়ে মোড় ঘুরতেই সামনে সেন্ট নিকোলাসের প্রবেশ দ্বার। বামের গেট খোলাই থাকে। ডানের গেটে দিয়ে ঢুকলে পাওয়া যাবে সেন্ট নিকোলাস হাই স্কুল এবং খ্রীস্টানদের সমাধিক্ষেত্র।
আমরা বামের গেট দিয়ে ঢুকলাম। সামনে খোলা মাঠ। মাঠ পেরিয় আধুনিক স্থাপত্য কলায় নির্মিতি সেন্ট নিকোলাসের নতুন ভবন। বামে ছায়া সুশীতল কাঠবাগান। বাগানে পেরিয়েই সেন্ট নিকোলাসের পুরাতন ভবন। সেন্ট নিকোলাস ভবনের বোর্ডে লেখা অনুযায়ী সেন্ট নিকোলাসের প্রতিষ্টাকাল ১৬৬৩। কিন্তু প্রত্ন তত্ব বিভাগের যে বইয়ের সুত্র ধরে সেখানে যাওয়া তাতে পেয়েছিলাম ১৬৩৩। ধারনা করা হয় সেন্ট নিকোলাস বাংলাদেশের ২য় চার্চ। প্রথমটি ছিল লক্ষীপুরের ফুরবাড়িতে। যার বর্তমানে কোন অস্থিত্ব নেই।



সেন্ট নিকোলাসের নতুন ভবন


মুল গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের পর বেশ শীতল অনুভুতি। নীরব শান্ত ছায়া বন বীথি। আমাদের পর পর আরো কয়েকজন দর্শনাথী সেখানে প্রবেশ করলেন। এখানে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থিই আসেন।এমন এক ছায়া শুশীতল বনের আর স্থাপনার মাঝে একটা বিকাল অনায়াসেই কাটিয়ে দেয়া সম্ভব।
ভালভাবে ছবি তুলতে পারিনি। হঠাৎ করতে শুরু তুমুল বৃষ্টি। দোড়ে স্কুলের কার্নিশের নীচে আশ্রয় নিলাম। বৃষ্টি কমার পর বের হলাম শুরু হলো আবারো বৃষ্টি। বৃষ্টি না হলে আরো কিছুক্ষন থাকা যেত।



নতুন ভবনের সামনে যীশূর মুর্তি




নতুন ভবনের প্রবেশদ্বার



নতুন ভবনের প্রবেশ দ্বার


সেন্ট নিকোলাসের নতুন ভবন



সেন্ট নিকোলাসের পুরাতন ভবন। যার প্রতিষ্টা কাল ১৬৬৩



সেন্ট নিকোলাসের পুরাতন ভবন

এবার ফিরতেই হয় ফেরার পালা। তবে কেউ যদি যেতে চান তাদের জণ্য বলছি। যাওয়ার লোকেশন মোটেও কঠিন নয়। টঙ্গী থেকে ফ্লাইওভার ধরে কালিগন্জের বাস অথবা টেম্পু যায়। যাওয়ার পথে নলছাটা ব্রীজ নেমে যাবেন। নলছাটা ব্রীজ এর লাগোয়া একটা রাস্তা ডান দিকে প্রবেশ করেছে। এখান থেকে দলবেধে হেটে যাওয়াই ভাল। ব্রীজ থেকে নাগরী বাজার দুই কিলোমিটারের পথ। এছাড়া ভ্যান অথবা সিএনজি তে যেতে পারেন। বেড়িয়ে আসতে পারেন ঢাকা অদুরে এই শান্ত এলাকা থেকে। এখান থেকে তিনশ মিটার দুরে আরো একটি চার্চ আছে। ১৯০৫ সালে প্রতিষ্টিত এই চার্চের নাম সেন্ট এনটোনিস।
১ Likes ২২ Comments ০ Share ৫৭৯ Views

Comments (22)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    shundor