Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Badrul Islam Prince

১০ বছর আগে

ভ্রমণ ডায়রী-01


থাইল্যান্ডের সাংরিলা হোটেলের লবিতে বসে আছি।নানান দেশের মানুষের পদচারণায় মুখরিত। এসেছি একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে। কনফারেন্স শুরু হবে আগামীকাল এই হোটেলের বল রুমে। পৃথিবীর প্রায় একশ দশটি দেশ থেকে ডেলিগেটরা আসছে।আমিও আমন্ত্রিত। রেজিষ্টশন এর কাজ সেরে লবিতে বসে আছি। ঘন্ট খানেক পরে রুম বুঝিয়ে দেওয়া হবে।সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।কী আর করা বসে বসে নানান দেশের মানুষদেরকে দেখছি। সবাই একে অন্যের সাথে পরিচিত হচ্ছি।আমার পাশ থেকে একটু দূরে এক স্বল্পবসনা এক নারী আমাকে তীক্ষ্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।আমি অনেকটা আনইজি ফিল করছি। জঢ়তা কাটিয়ে তার সাথে পরিচিত হলাম। সে নোভা। বাড়ি বাংলাদেশের নাটোরে। অনেকটা বনলতা সেন টাইপের চেহারা। কিন্তু বুঝার উপায় নেই সে একজন বাংলাদেশী। যা হোক সে এই হোটেলের সার্ভিস ম্যান। হসপিটালিটি কোর্স করার পর সে এখানে ইণ্টার্নি করছে। তার ইন্টার্নির মেয়াদ ছয়মাস। তারপর সে চলে যাবে পাঁচ তারকা মানের প্রমোদতরীতে। শুরু হবে তার চাকুরী জীবন।খুব সুন্দর করে ঘুছিয়ে কথাগুলো বললো।বাঙ্গালী হলে এই এক দোষ সব কিছু ভুলে আড্ডায় মেতে উঠা।কাজ ভুলে এ ভাবে আমার সাথে কথা বলাটা সহজ ভাবে মেনে নেয় নি তার বস। সে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলো।এদিকে আমারও ডাক পড়লো রুমের চাবি বুঝে নেয়ার জন্য।এবার আমি রুমমেট হিসাবে এক হংকং এর এক ডেলিগেট পেলাম। তার নাম চুয়াং জ্যু। সদ্য ইউনিভার্সিটি থেকে বেড়িয়েছে। নিজেই এক এন.জি.ও চালাচ্ছে।সেই এন.জি.ও এর প্রতিনিধি হিসাবে এ কনফারেন্সে যোগদান করতে এসেছে। সারা রাত্রির জার্নির দখলে চোখে ঘুমের বণ্যা বেয়ে যাচ্ছে। তারপরও শাওয়ার নিয়ে নিচে গেলাম দুপুরের খাবার খেতে।খেয়েই দিলাম এক জম্পেশ ঘুম এক ঘুমে বিকাল প্রায় সাড়ে চারটা। রুমমেটকে নিয়ে বের হলাম থাইল্যান্ডের পথে-প্রন্তরে।বিচিত্র এ শহর্। অনিন্দ সুন্দর করে সাজানো গোছানো এর প্রতিটি কমপনেন্ট।যতই দেখছি ততই বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে যাচ্ছি।আইসবেকিং অনুষ্ঠান থাকায় দ্রুত হোটেলে ব্যাক করতে হলো।ততক্ষণে হোটলের লবি কানায় কানায় পরিপূর্ণ। বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন ডেলিগেট ও স্পিকারা। এর মধ্যে কয়েক জন বাংলাদেশীকেও দেখতে পেলাম।এই দুই দিন আর অন্য কিছু ভাবতে পারলাম না একেবারে দম বন্ধ করা অনুষ্ঠান। সেই সকাল আটা থেকে একেবারে রাত ন'টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান। এর ভিতর কখন কি করবো, কোন রুমে যাব, কার সাথে মিট করবো তার এক ফিরিস্তি দেওয়া শীটে। তৃতীয় দিন অর্থাৎ অনুষ্ঠানের শেষ দিন ফিল্ড ট্যূর। থাইল্যান্ডের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখানে হলো। সে দিন রাত্রেই আমার রির্টান টিকিট করা ছিল। তাই রাত বারোটার দিকে হোটেল থেকে বেরিয়ে পড়লাম আমার ফ্লাইট রাত তিনটা ত্রিশের দিকে।বিমানবালা সিটবেল বেঁধে নিতে নির্দেশ দিলো। ততোক্ষণে বিমান আকাশে ডানা মেলেছে।খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।এক আকাশকণ্যা আমার দিকে খবারের ট্রে এগিয়ে দিলেন। আমি অবাক নয়নে তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। এই তো সেই মেয়ে যাকে আমি হোটেলে দেখলাম্ নোভা। হ্যাঁ নোভাই তো।আকাশ কণ্যা মুচকি হেসে বললো-এক্সকিউজ মি স্যার, এনিথিং রং। এবার আমি ফিরে আসলাম আমিতে। মনে পড়তে লাগলো সেই নোভার কথা।এই তিন দিতে তার সাথে আর আমার দেখা হয় নি। নাকি আমার সাথে কথা বলতে গিয়ে.....।

বদরুল ইসলাম

১ Likes ১ Comments ০ Share ৪৫০ Views

Comments (1)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    গল্পটার প্লট ভাল লেগেছে। শব্দের ব্যবহারও ভাল হয়েছে।

    তবে কিছু বিষয় খেয়াল করলে গল্প পড়তে ভাল লাগে।

    ১। ডায়ালগ গুলোকে "......." না এনে লাইনের শুরুতে - দিয়ে শুরু করা।

    ২। ৯.৪৫ বা ১০ টা এই ভাবে না লিখে নয়টা পয়তাল্লিশ বা দশটা লিখা

    বিষয়টা ভেবে দেখবেন। এছাড়া গল্প ভাল হয়েছে

    • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

      ধন্যবাদ ।

    - ঘাস ফুল

    মা বাবা বেঁচে আছেন অথচ তাদের সংসার বেঁচে নেই। এই ব্যাপারটা সন্তানদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কোন সন্তান উচ্ছেন্নে যায় আবার কোন সন্তান হয়তো অমলের মতো হয়ে যায়। নিঃসঙ্গ, যেন জীবন্মৃত। গল্পটা আমারও ভালো লেগেছে। পাশা ভাই কিছু উপদেশ দিয়েছেন। যথার্থই দিয়েছেন। আপনার গল্পের হাত ভালো। উপদেশগুলো মেনে লিখলে লেখা আরও সাবলীল হয়ে উঠবে। আপনি অমলের পরিবর্তে যে সব সর্বনাম ব্যবহার করেছেন, সেগুলোতে চন্দ্রবিন্দু দিয়েছেন। এটা ঠিক করে নিলে ভালো হবে। সর্বনামে চন্দ্রবিন্দু শুধু মাত্র বিখ্যাত এবং সম্মানী লোকদের বেলায় দিতে হয়। ধন্যবাদ অর্ক। 

    • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

      ধন্যবাদ । আপনি আর পাশা ভাই দুই জনই আমার উপকার করলেন । আশা রাখি সামনেও করে যাবেন । এইটা আমার লেখা প্রথম গল্প । আশা রাখি সামনেরগুলাতে ভুল ত্রুটি সংশোধন হবে । দোয়া রাখবেন ।   অমল হবে । ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য । 

    • Load more relies...
    - কামরুন নাহার ইসলাম