Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মোঃ জিয়াউল হক

১০ বছর আগে

ভোটের ভাষন

নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দিচ্ছে ভাষণ অনেকেই,
দারুন আশায় বক্ষ বেঁধে শুনছে হাজার জনেকেই।
প্রার্থীরা সব বলছে- ‘ভাইসব, আমার কথা শোনেন;
কে ভালো আর কে মন্দ আপনারা তো চেনেন !’
‘তাই, দেখে শুনে ভোটটা দিবেন আমার অমুক মার্কাতে
ভোট দিবেন না রাজাকারে কিংবা চাঁদ-তারকাতে !’
তাছাড়া ভাই আরও যত মার্কা আছে দেশে,
সব শালারাই ভন্ড কিন্তু আছে ছদ্মবেশে।
এদের, ভোট দিলে পর করবে সাবার দেশের অর্থনীতি
দেশটা বেচে খাওয়ারও আছে বড্ড ভীতি !
এরা আমজনতার রক্ত চুষে জোঁকের মতো ফুলছে,
এসিওয়ালা ঘরে শুয়ে সুখের দোলায় দুলছে !
খুন-ত্রাসী, চাঁদাবাজি সবই এরা করে,
আমজনতার ভাগ্য লুটে নিজের থলি ভরে।
তাই ভোটটা এবার দিয়েই দেখেন আমার এই মার্কাতে
ভাতের জন্য তেল মাখতে হবে না কারো চরকাতে।’
সব প্রার্থীর একই ভাষণ একই রকম সুর
মুগ্ধ হয়ে শুনছি কারণ, লাগছে সুমধুর !
ওদের স্বপ্ন গাঁথা শুনে ভাসে, স্বপ্ন চোখের পাতায়
বর্তমানের এই জোয়ারে অতীত কে বা হাতায়।
কে বা করে কষ্টিতে তার আসল-নকল যাচাই,
কেউ ভাবছে ভোটের দামে পেটটা তো আজ বাঁচাই !
হরেক সুরে নির্বাচনের চলছে প্রচারনা
কত জনে কত ভাবে করছে প্রতারনা।
ধাঁ ধাঁ লাগা চোখে আজ প্রার্থী চেনাই দায়
কারণ সবার অভিনয় একই ভূমিকায় !

০ Likes ১ Comments ০ Share ৬৫০ Views

Comments (1)

  • - নীল সাধু

    শুভেচ্ছা আবু সাইদ ভাই। বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষ আসলে শান্তি প্রিয়। তারা আবেগী। ছোট ছোট উছিলায় তারা আনন্দে ভাসতে চায়। সুখ দুখ নিয়ে খুব অল্পে তুষ্ট হয়ে এই বাংলাদেশকে বিশ্বের সুখী দেশ বানিয়ে শান্তিতেই থাকতে চায়। আমি খুব সাধারন মানুষের সঙ্গে মিশে দেখেছি তারা এমন সাধারন করেই ভাবে। আপনি যে কোন উতসবে লক্ষ্য করলে দেখবেন কি অনাবিল আনন্দ নিয়ে সে তা তার আশেপাশের মানুষগুলোকে নিয়ে উতসবগুলো পালন করে। এতে খুব সহজে বোঝা যায় এই দেশের মানুষ আসলে কি চায়। কেমন জীবন যাপনের স্বপ্ননিয়ে সে চলে। আমরা সেই বাংলাদেশ চাই যেখানে হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না। যেখানে সমৃদ্ধি না থাকুক সুখ থাকবে। আসুন আমরা আশায় বুক বাধি। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

    - ঘাস ফুল

    সাঈদ ভাই, আপনার কথার সাথে একমত। তারপরও কিছু কথা মনে হয় রয়েই গেছে। আমাদের আরও একটু গভীরে যেতে হবে। আমাদের দেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দলের চিত্রই আমাদের কাছে স্বচ্ছ কাঁচের মতো পরিষ্কার। আমরা বহু আগেই জেনে গেছি, তারা ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই চায় না। আর ক্ষমতায় যেয়ে যে যার মতো লুটপাট করে সম্পদের পাহাড় গড়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। দেশ ও দেশের জনগণের ভাগ্যে কী জুটছে তা তাদের দেখার সময় হয় না। ফলে দেশ যাচ্ছে রসাতলে আর জনগণের কপালে জুটছে কেবল শোষণ আর নির্যাতন। আপনি এই যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচার একটা উপায় বাৎলে দিয়েছেন। কিন্তু সেটাতে কোন সমাধান আসবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না। এর কারণ উল্লেখ করতে হলে অনেক কথা বলতে হবে। আমি সংক্ষেপে কিছু বলার চেষ্টা করছি। 

    দেশপ্রেম বুকে ধারণ করেই আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। তারপরের কাহিনী সবার জানা। স্বাধীনতা পাওয়ার পর দেশপ্রেম তাদের উবে গেছে। আর এখন আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে দেশপ্রমের অভাব দেখা দিয়েছে। আর দেশপ্রেমিক রাজনীতিকের কোন উৎপাদনও আমাদের দেশে হয় না। কারণ আমাদের ছেলেমেয়েদের আমরা সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, প্রফেসর বানাতেই ব্যস্ত। আবার যারা আমাদের দেশে দেশ নিয়ে বড় বড় কথা বলেন, সভা সেমিনারে হাহুতাস করেন, তারা কেউ এগিয়ে আসে না রাজনীতির ময়দানে। কারণ তারাও পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগী। এটাও এক ধরণের রাজনৈতিক নোংরামি। আমাদের দেশে কতগুলো মানবধিকার সংঘটন আছে। কিন্তু আপনি কী মনে করেন তারা ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করছে? তারাও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মদদপুষ্ট। মোট কথা আমাদের দেশে এখন শিক্ষিত সাহসী দেশপ্রেমিকদের রাজনীতিতে আসা উচিৎ। আমি জানি এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কিন্তু এর শুরু না হলে, কোন কালেই আমাদের বর্তমানের নোংরা রাজনীতি থেকে রেহাই মিলবে না। এখানে আরও একটা ব্যাপার হয়তো থাকবে, সেটা হল কোন দলই তাদের উঠে আসার প্রক্রিয়াকে মেনে নিতে পারবে না। পদে পদে তাদের বিভিন্ন বাধার শিকার হতে হবে। তাই বলে থেমে থাকলে চলবে না। আজ না হোক, পঞ্চাশ বছর পরে হলেও তখন আমরা একটা ভালো রাজনৈতিক পরিবেশ পাবো। আমরা অনেকেই আছি যারা দেশ নিয়ে ফেবু, ব্লগ, পত্রিকার পাতা গরম করে রাখি। কিন্তু তাদের কয়জন আছেন, যারা রাজপথে নেমে এই নোংরা রাজনীতির প্রতীবাদ করেছে? সুতরাং, শুধু মুখে মুখে বললেই হবে না, কার্যক্ষেত্রেও এর ভুমিকা থাকা উচিৎ। তবেই যদি আমরা এক সময় রাজনৈতিক মুক্তির স্বাদ নিতে পারি। আর না হয়, এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি থেকে আমরা কখনোই বের হয়ে আসতে পাড়বো না। আরও অনেক কথা বলার ছিল। কিন্তু বলতে ইচ্ছে করছে না। কারণ আমিও যে, ওই দলেই যারা শুধু মুখেই বলি কিন্তু কাজের বেলায় ঠন ঠন। ধন্যবাদ সাঈদ ভাই।   

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    আসলেই আমরা ভাল নেই। আমরা মানে যারা ভাল থাকার জন্য একের পর এক ত্যগ স্বীকার করে যাচ্ছি তারা।

    Load more comments...