Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ভাবনার ভীড়ে নতুন ভাবনা আপনার জন্য

পড়াশোনা শেষ করে বা না করে আয় করার জন্য ভাবছেন। দিন রাতে ভেবে একটা উপায় বের করে ফেলেছেন। বিয়ে করার জন্য পাত্রী পছন্দ করেছেন ভেবে চিন্তে বিয়েটাও করে ফেলেছেন। এরপর সংসার পেতে সুন্দর সাবলীল সংসার চালাচ্ছেন। ভাল আয় পছন্দের স্ত্রী মন মতো সন্তান আর কি চাই। একটাই ভাবনা এখন সন্তানদের মানুষ করা। আপনি তা নিয়ে মোটেও ভাবছেন না। আপনি ভাবছেন টাকা উপার্জন করা দরকার। একটা বাড়ি আর সন্তানের শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত টাকা। সন্তানের মানুষ করার জন্য ভাবনার লোক কিংবা প্রতিষ্ঠানের অন্ত নেই। আপনার কাজ শুধু টাকা পরিশোধ করে যাওয়া। যার সন্তান মানুষ হবেনা তার জীবন বৃথা। তাই আপনার জন্য একটা নতুন চিন্তা দেই। ভেবে দেখুন সমাধান মেলে কিনা।

হরলিক্স আর কমপ্লেন খেলে সন্তান বিদ্যা মেধা আর লম্বায় বাড়বে। আপনি অবলিলায় মেধা আর লম্বার হওয়া দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। বাজারে নানান রকমের দুধ, শক্তি দই আর ম্যগি কিংবা নানান রকমের ম্যজিক নুডুলস আরো আছে নানান রকমের চিপস কিংবা কত কিছু। খেয়েই বাচ্চা তিড়িং বিড়িং করে লাফিয়ে উঠছে। আপনি মনে মনে খুশিই হচ্ছেন।
স্কুলের ব্যনারে লাগানো আছে সন্তান আপনার দায়িত্ব আমাদের। আপনি খুশি মনে ইস্কুলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছেন। আপনার সন্তান এক গাদা বই নিয়ে ইস্কুলে যাওয়া আসা করছে। অনর্গল বাংলা ইংলিশ বলে যাচ্ছে। আপনি মনে মনে খুশিই হচ্ছেন।

কিন্তু আপনি কি জানেন আপনি নিজ হাতে আপনার সন্তানের ভবিষ্যত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। বিষাক্ত খাবার আপনার সন্তানকে ভবিষ্যতের জন্য মাংস পিন্ডে পরিনত করছে। মাত্রারিক্ত শিক্ষার চাপ শিশুকে পরিনত বয়সে রস হীন আখের ছোবড়ায় পরিনত করছে। এর জন্য দায়ী আপনি। শিশুকে বিলাসী খাদ্য কিংবা বিলাসী শিক্ষা দেওয়ার আপনার কর্তব্য নয়। কিন্তু তাকে স্বাস্থ্যকর খাদ্য আর সুশিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য আপনার। যে যুগে এই সব ছিলনা সেই যুগের সন্তান মা-বাবা দিবস পালন করতো না কিন্তু  শেষ জীবনে অচল মা বাবা একজন সুসন্তানের কাছে আশ্রিত হতেননা বরং সন্মানিত হতেন। আর এখন হাইব্রিড সন্তানের পিতা মাতা হয়ে আপনার বৃদ্ধাশ্রমের টিকিট আপনি অগ্রিম কেটে রাখছেন। নিজ সন্তানের কাছে আশ্রিত হবার সুযোগও পাচ্ছেন না। এর জন্য আপনিই দায়ি।

আপনি প্রশ্ন করতে পারেন তাতে আমার কি করার আছে? আমাদেরকে ওসবই খেতে হবে। ওভাবেই শিক্ষা দিতে হবে। নইলে সামাজিকতা থাকবেনা। সকলের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারবোনা। তা ঠিক আছে । আপনি চাইলে খাদ্য ব্যবস্থা বদলাতে পারছেন না  কিন্তু  বিকল্প ভাবতেতো নিশ্চয়ই পারেন। আপনি চাইলেই শিক্ষার ব্যবস্থাকে বদলাতে পারেন না কিন্তু বিকল্প ভাবতেতো পারেন। ভাবনা গুলোকে একত্রিত করে জোর লাগান। অন্যের ভাবনার সাথে একত্রিত করুন। পরিবর্তনে অংশ নিন। আপনার সন্তানের জন্য আপনাকেই ভাবতে হবে। ছাত্র ছাত্রী কিংবা ভোক্তার অর্থ মুল্য আছে। মাতৃত্ব পিতৃত্বের কোন অর্থ মুল্য হয়না। আপনার অমুল্য ভাবনা দিয়েই মাতৃত্ব কিংবা পিতৃত্বের অধিকারী হতে হবে।
ভাবুন..................।


৩ Likes ৩ Comments ০ Share ৫৬৮ Views

Comments (3)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    চমৎকার বলেছেন শ্রদ্ধাভাজন!!!

    emoticons

    - রব্বানী চৌধুরী

    মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাই, শুভেচ্ছা জানবেন। 

    - রব্বানী চৌধুরী

    পোষ্টটি পছন্দ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাই, শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন। 

    • - সনৎ ঘোষ

      রব্বানী ভাই,লেখা ভাল লাগল।অনেক শুভেচ্ছা রইল।

    • Load more relies...