Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বর্ণ হীন

১০ বছর আগে

ভাটির পুরুষকথা: সঞ্জীবদার গাড়ী চলে নারে

সঞ্জীবদাকে আমি চিনি ১৯৯০ থেকে, যখন তিনি ‘আজকের কাগজ’ এর ফিচার বিভাগে কাজ করতেন। সে পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন ফরিদ কবির। তাঁর দু’জন সহকারী ছিলেন, একজন তাঁর ছোটভাই সাজ্জাদ শরীফ, আরেকজন সঞ্জীব চৌধুরী। আমি সে দৈনিকের বুয়েট প্রতিনিধি। বুয়েটের সংবাদ ছাড়াও আমার তোলা ছবি ও কখনো কখনো উপসম্পাদকীয় পাতায় আমার লেখা ছাপা হতো। আমি সঞ্জীবদার কাছে লেখা, ছবি পৌঁছে নির্ভার থাকতাম।

এর মধ্যে অনেক সময় চলেও যায়। ‘আজকের কাগজ’ ‘ভোরের কাগজ’ হয়। ঝিকাতলা থেকে শাহবাগ যায়, আমিও শাহবাগ যাই, সেখান থেকে ১৯৯২ সালে আমি চলে যাই ‘বাংলাবাজার’-এ স্টাফ রাইটার হয়ে, ভোরের কাগজ চলে আসে বাংলামটরে। আমাদের অনেক পরিবর্তন হতে থাকে। সঞ্জীবদা বাংলামটরের ‘ভোরের কাগজ’ এর ফিচার পাতা ‘মেলা’র দায়িত্ব নিয়ে বসেন। ১৯৯৩ থেকে আমি সাংবাদিকতায় ইস্তফা দেই। ১৯৯৯ সালে ‘লন্ডনী কইন্যা’ নামক একটা নাটক লিখে কিছু সিলেটিদের রোষানলে পড়ে যাই। ঢাকার যে সকল সাংবাদিক আর পত্রিকা আমাকে আশ্রয় দেয়, সঞ্জীবদা তার মধ্যে একজন। তিনি ঢাকাবাসী অনেক সিলেটি লেখককে দিয়ে আমার পক্ষে লেখান ভোরের কাগজ এর ‘উপসম্পাদকী’য় পাতায়, ‘মেলা’য়, নিজেও লেখেন। আমাদের সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়। এর মধ্যে মাঝে মাঝে আমাদের দেখা হয়, আড্ডায়। কখনো বাংলামটরে তাঁদের ভোরের কাগজ অফিস, কখনো বা লালমাটিয়ায় আমাদের ‘ট্রায়াঙ্গেঁল কনসালট্যান্টস’এ।

আড্ডার কোনো কোনো পর্যায়ে সঞ্জীবদা কিছু গান গেয়ে শোনান আমাকে। বেশীরভাগই সিলেটী গান। আমার কাছে প্রায় সবগানই নতুন মনে হয়। বলেন, এগুলো এবার নবীগঞ্জ থেকে নিয়ে আসছি, এটা সিলেট থেকে। একবার বেশ উত্তেজিত হয়ে বলেন, শাকুর, কিছুদিন আগে সিলেট গিয়েছিলাম, একটা গান শুনলাম করিম ভাইর লেখা-শোনেন আমাদের সম্পর্ক এমন ছিলো যে, তিনি আমাকে ডাকতেন নাম ধরে, সম্বোধন করতেন ‘আপনি’ বলে। তিনি গাইছেন, আর টেবিলের উপর আঙ্গুল টুকিয়ে তবলা বাজাচ্ছেন। গানের কথা, ‘গাড়ি চলে না, চলে না রে/ চড়িয়া মানব গাড়ি যাইতেছিলাম বন্ধুর বাড়ি/মধ্যপথে ঠেকলো গাড়ি উপায় বুদ্ধি মিলে না।’ গানের পর গান চলতে থাকে। কিছু তার লেখা, তার সুর করা গান। তাঁর জীবনের কিছু প্রেম-ভালোবাসার ঘটনা। কখন কক্সবাজার গিয়েছিলেন, কাকে নিয়ে এই গান লিখেছেন, এমন কথা। আমি তার গান শুনি। আমার কাছে কেমন যেন লাগে। মনে হয়, এমন সুরের গান আমি আগে শুনিনি।

কথায় কথায় বলেন, একটা গানের দল করছেন। নাম দলছুট। তার সঙ্গে থাকবে বাপ্পা মজুমদার, বারীন মজুমদারের পুত্র। আমি অবাক হই! পত্রিকার সাংবাদিক ব্যান্ডের দলে গান করবে- এ কেমন?

একদিন আমার অফিসের আড্ডা থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেলেন। বলেন, হানিফ সংকেতের সঙ্গে তার মিটিং আছে, তাঁকে গান শোনাবেন। হানিফ সংকেতের পছন্দ হলে তাঁর ‘ইত্যাদি’তে এ গান প্রচারও হতে পারে। আমাদের সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরী টেলিভিশনে গান গাইবে! এটা আমার ভাবতেই কেমন যেনো লাগে।

কিন্তু একদিন সত্যি সত্যি আমার ভাবনাকে ছাড়িয়ে দিলেন তিনি। ‘ইত্যাদি’ দেখতে বসেছি, এক পর্যায়ে মানিক জোড় সংক্রান্ত একটা স্কিড দেখালেন হানিফ সংকেত এবং তার পর পরই বলেন, ‘আচ্ছা মানিকজোড় যদি এমন হয়-যেমন বাপ্পা ও সঞ্জীব’। এটুকু বলেই শুরু হলো, দুই বন্ধু মিলে যৌথ কন্ঠে গান। সেই গান-‘গাড়ি চলে না চলে না চলে না রে।’

আমি অবাক বিস্ময়ের সাথে দেখি তাদের গাওয়া গান এবং অভিভূত হয়ে যাই। মজার ব্যাপার, গানটি প্রচারের কিছু দিনের মধ্যে তাদের অডিও ক্যাসেট বেরোয়। সেখানেও এই গান, ‘ইত্যাদি’র একটা বাণিজ্যিক সুবিধার বিষয় ছিলো। যে গানটি ইত্যাদিতে প্রচার হতো, তার পরের দিনই ক্যাসেটের দোকানে এই গান বাজতে শোনা যেতো। রাতারাতি বিক্রিও বেড়ে যেতো গানের। সঞ্জীব চৌধুরীর কপাল খুলে যায় এবং তাদের ব্যান্ডের দলটিও রাতারাতি নাম করে ফেললো। এখানে সেখানে অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেতে থাকলো তারা। সঞ্জীব চৌধুরীর ব্যক্তিগত পরিচয় থেকে গল্পকার বা ফিচার সম্পাদক পদবীগুলো ধীরে ধীরে খসে যেতে থাকে এবং একজন গায়ক হিসেবেই তার নামডাক ছড়াতে থাকে।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের পর এর সঙ্গে করিমের নামটিও এসে যায়। ‘ইত্যাদি’র কল্যাণে খ্যাতি পাওয়া সঞ্জীব চৌধুরীর কৃতজ্ঞতার শেষ নাই করিমের প্রতিও। আমি এক সময় মনে করি যে, আমার ‘ভাটির পুরুষ’ প্রামান্যচিত্রের জন্য সঞ্জীব চৌধুরীর একটা সাক্ষাৎকারও ধারণ করে রাখা দরকার।

ততোদিনে সঞ্জীবদা বিয়ে করে ফেলেছেন এক মুসলমান তরুণীকে। মোহাম্মদপুরের ‘কাটাসুর’-এর ছোট, দুই কামরার ঘরটি ছেড়ে উঠেছেন মিরপুর কবরস্থানের পাশের এক বাড়িতে। বাড়িটি সম্ভবত তাঁর স্ত্রী ‘শিল্পী’র পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া।

২০০৩ সালের ২৪ অক্টোবর। আমার ক্যামেরা নিয়ে হাজির হই তার বাড়িতে। ঘরে তখন তার বছর খানেক বয়েসী এক পুত্র। ‘শিল্পী’ও আমার চেনা। তারা ঘরে আমাকে আপ্যায়ন করতে চায়, কিন্তু ঘরের ভেতর শুটিং ঠিক জমবে না। আমি বলি, আপনার গীটার নিয়ে চলুন। সামনে নতুন বেড়ি বাধের ওখানে একটা বেশ পুরনো বটগাছ আছে। এর তলায় বসিয়ে আপনার কথা নেবো, গান শুনবো।

সঞ্জীবদা রাজি হয়ে যান। এবং মিনিট পাঁচেক ড্রাইভ করে আমরা চমৎকার একটা লোকেশনে এসে পৌঁছি। বেড়িবাধের এক পাশে রাস্তা, অপরপাশে থৈ থৈ পানির হাওড়। মাঝখানে শতবর্ষী কতগুলো গাছ। তাদের একটির গুড়ির উপর বসিয়ে দেই তাকে। তিনি গীটারে নাড়া দেন। কিন্তু সংকট হয়ে যায় শুরুতেই। দু’ তিন’টা টোকা দেয়ার পর দেখা গেলো গীটারের তার ছিড়ে গেছে। তার জোড়া দেয়ার মতো সঙ্গতি তার ঐ মুহুর্তে নাই। এখন গীটার ছাড়া গান হবে কেমনে?

ঠিক হলো গিটারটাকে উল্টিয়ে তাকে তবলার মতো ব্যবহার করা হবে। তিনি টোকা দিতে দিতে যেমন করে আমার অফিসের টেবিলে তাল দিয়ে গান শোনাতেন, তেমন করেই শুরু হলো গান-গাড়ি চলে না চলে না, চলে না রে।

পিকনিক টাইপের একটা আউটিং এ এসেছে কতগুলো তরুণ। দেখি তারা এসে জড়ো হয় আমাদের মাঝে। সঞ্জীব চৌধুরী তাদের সবার চেনা এবং এই গানটিও দেখি প্রায় সবার মুখস্ত। কখনো একা, কখনো কোরাসে তারা সবাই মিলে গান ধরলো-গাড়ি চলে না চলে না রে।

শেষ বিকেলের আলোয় চমৎকার দৃশ্যায়ন হলো গানটির। সামনের বিলের উপর দিয়ে শেষ বিকেলের আলোয় নৌকা, মাঝির চলাচল, সঞ্জীবদার মুখে বিকেলের সোনালী রোদের ছোঁয়া, সব মিলিয়ে এক ধরনের মোহময়ী একটা পরিবেশ হয়ে গেলো আমাদের।

যদিও অনেক প্রশ্নের উত্তরই আমার জানা, তারপরও প্রামাণ্যচিত্রে ধারণ করার জন্য আমি তাকে নানা রকমের প্রশ্ন করি। তিনি সে সবের জবাব দেন। জবাব পছন্দ না হলে আমাকে ‘কাট’তে বলেন। আবার শুরু করেন তার কথা।
সঞ্জীবদা যা বলেন, তার সারাংশটা অনেকটা এই:
আমি তখন ভোরের কাগজে কাজ করি। পত্রিকার পক্ষ থেকে শাহ আবদুল করিমকে সংবর্ধনা দেওয়া হলো, তো ভাগ্যক্রমে সেই অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম। ঐ দিন কাছে থেকে শাহ আবদুল করিমের গান আমি শুনলাম…তিনি গাইছেন ‘গাড়ি চলে না’….ঐ গানটি ঐ আমার প্রথম শোনা….সমস্ত হলঘরে পিনপতন নিরবতা….একসময় দেখা গেলো সবাই একসাথে তালে তাল মিলিয়ে গাইছে…আমার ঠিক ঐ মুহূর্তে মনে হলো এই গানটি যদি আমরা গাইতে না পারি তাহলে আমাদের অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যাবে….তখনই গানটি সংগ্রহ করি….সুরটি সংগ্রহ করি এবং দলছুট গানটি পরিবেশন করে….

‘কিন্তু সঞ্জীবদা, আবদুল শাহ করিমের গান অনেক শিল্পীই তো গাইছেন, কিন্তু সবাই কি তার নামটি বলছেন?’

‘অনেকে শাহ আবদুল করিমের গান করছে….তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে সামান্য কৃতজ্ঞতা বোধটা কেউ কেউ প্রকাশ করতে চাই না….যেমন গ্রামের নওজোয়ান…এই গানটা অনেকে গাচ্ছে কিন্তু লিখে দিচ্ছে সংগ্রহ…’

আমি সঞ্জীবদাকে আবার বলি, আচ্ছা, শহুরে শিল্পী আর গ্রামগুলোর শিল্পীদের গাওয়া ঐ বাউলগানগুলোর মধ্যে তফাতটা ঠিক কোন জায়গায়?

‘তফাতটা বেশ বড়। আমরা যারা শহরে বসে গান করি, আমাদের গলাটা অনেক পলিশড। গ্রামের শিল্পীদের ওটা নেই। ওদের যা আছে, তাই নিয়েই গায়, আর আমরা কন্ঠের মধ্যে মেকি কিছু যোগ করি। আমাদের গলায় মাটির গন্ধ নাই, ওদের গলায় আছে।
 

সেদিনের এই ফর্মাল সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হয়ে যায়। আমি ক্যামেরা বন্ধ করে তাকে নিয়ে অফিসে আসি। সেখানেও আড্ডা হয় অনেক। আরো অনেক গান শুনি আমি।
এরপর সঞ্জীবদার সঙ্গে আমার আর খুব বেশী দেখা হয় না। ২০০৫ সালের দিকে একবার করিম খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঞ্জীবদার সঙ্গে দেখা হলেই তিনি আমাকে বলেন, ‘চলেন, আমরা একটা ফান্ড রাইজিং প্রোগ্রাম করি। কিছু টাকা উঠিয়ে তাঁকে দেই।’ কিন্তু কী করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো আমি ঠিক বুঝতে পারি না। বিষয়টি কে কিভাবে নেবে সেটাও আমি চিন্তা করি। টাকা পয়সা উঠানোর অনুষ্ঠান নিয়ে নানা কথা হয়, আমি ঝুঁকি নিতে চাই না। নানা অজুহাত খাড়া করে আমি সময় ক্ষেপন করি। ২০০৭ সালের আগষ্ট মাসে আমি তখন চীনের কুনমিং-এ। ফেসবুকে খবর পেলাম, সঞ্জীব চৌধুরী মারা গেছেন। বড় দুঃসহ ছিলো তার এই মৃত্যু সংবাদ।

২০০৮ সালে ‘ভাটির পুরুষ’ প্রামাণ্যচিত্রের সম্পাদনার কাজ শুরু হয়। এখানে সঞ্জীব চৌধুরীর সেদিনের কথাগুলো যুক্ত হয়। তার গাওয়া গান ‘গাড়ি চলে না’ আমি ব্যবহার করি যুগল কন্ঠে। এক কলি গাইছেন সঞ্জীব চৌধুরী, অপর কলি গাইছেন স্বয়ং শাহ করিম। সঞ্জীবদা এই কোলাজটি দেখে যেতে পারলে খুশী হতেন, তার দেখা হয়ে ওঠেনি। অগত্যা, এস্টোনে সঞ্জীব চৌধুরী’র নাম ব্যাবহারের আগে আমাকে যুক্ত করতে হলো ‘প্রয়াত’ শব্দটি।

শাহ করিম সঞ্জীব চৌধুরীকে চেনেন নি ঠিক, কিন্তু করিমের গান নাগরিক মানুষের কাছ পৌছানোর যে কাজটি সঞ্জীব চৌধুরী করে গেছেন, সেটা তার অনেক বড় দায় শোধের মতো ঘটনা।

২১ সেপ্টেম্বর, ২০০৩। শাহ আবদুল করিমের সাথে আমার প্রথম দেখা। উজান ধল গ্রামের পাশে হাওড়ের উপর একটা নৌকাতে করে আমি করিম সাহেবের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করছি, গান শুনছি। ঠিক সন্ধ্যাবেলা আরেকটা ছোট নৌকার গলুইয়ের উপর করিমকে বসাই। জিজ্ঞেস করি, দিনের এই অস্তমিত সূর্যের দিকে চেয়ে আপনার কোন গানটির কথা মনে পড়ে।
করিম বলেন, দিন গত হইছে, এইভাবে একদিন মাইনষের জীবনটাও গত হবে। আমারও সময় হয়ে গেছে। পীর কও, ওলী কও, চোর কও, ডাকাইত কও, কেউইতো আর চিরদিন থাকবো না। আমার চেয়ে বয়সে ছোট যারা ছিলো তারাও গেছে, আমারও যাইতে অইবো। মানবদেহকে গাড়ির সাথে তুলনা করে আমি একটা গান লিখেছি, গাড়ি চলে না, চলে না, চলে না রে, গাড়ি চলে না। আমার ইঞ্জিনে এখন অনেক ময়লা জমে গেছে, কী করবো, আসা-যাওয়া সার হয়েছে নিয়তির বিধানে, ওরে জন্ম জরা যম যাতনা, সবই তার কারণে।
‘বন্ধুর বাড়িটা আসলে কোন বাড়ি?’

‘ভালো পথে যাইতে চাইছিলাম, এটা আর কি। কোরানের একটা আয়াত আছে - কুল্লু নাফছি জায়জাতুল মউত’ অর্থাৎ সবাইকেই মরণের স্বাদ নিতে হবে। এটা থেকে কারোই রেহাই নাই।
করিম সাহেবকে বলি, আপনার এই গানটি গেয়েছেন সঞ্জীব চৌধুরীও বাপ্পা মজুমদার বিটিভিতে ইত্যাদি অনুষ্ঠানে, আপনি কি জানেন?
‘না’
‘সঞ্জীব চৌধুরীকে চেনেন?’
‘না ’
করিম সাহেবের চেনার সুযোগ হয়নি সঞ্জীব চৌধুরীকে। কিন্তু সঞ্জীব চৌধুরী ঠিকই চিনেছেন করিমকে। আমার প্রামাণ্যচিত্রে আমি এ গানটি করিম ও সঞ্জীব চৌধুরীর সমন্বয়ে ব্যবহার করি। 

লেখকঃ শাকুর মজিদ  

০ Likes ৬ Comments ০ Share ৫০৭ Views

Comments (6)

  • - মুক্তমন ৭৫ (সাত-পাঁচ)

    তারপর, 

    অনেকদিন পর কথা হচ্ছে, তাইনা? সংগীত জাম্পেশ হইছে, বরাবরের মতই।

    শুভকামনা রইলো মেজদা। ভালো থাকুন।

    • - মুক্তমন ৭৫ (সাত-পাঁচ)

      ক্যান !!!

      আমার কী আসতে মানা নাকি ? 

       

      কেমন আছেন নীলদা? 

    • Load more relies...
    - নীল সাধু

    মুক্তমন যে!! 

    - নীল সাধু

    আগুন মাটি বাতাস পানি
    বানানো দেহ খানি
    ঘূর্ণি হাওয়ায় খেলছে কে
    তাকে তো চিনি নি।
    না চিনিলে জলদি চিনো
    সময় বেশী নাইরে।
    সারা জীবন জানলি না তুই
    কে থাকে সেই ঘরে। 

     

    শুভেচ্ছা মেজদা!

    আপনার ভাববাদী গানের কথাগূলো মন ছুঁয়ে গেছে। সত্যি তা এক জীবন কেটে যায় আমরা তবু তার খোঁজ পাইনা!

    ভালো থাকবেন মেজদা। শুভেচ্ছা নিরন্তর।  

    • - মেজদা

      চিনিনা বলে চিনতে চাই। ধন্যবাদ নীলদা

    Load more comments...