Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে.....

লেখাটা একটু বড়, আদেশ করার ক্ষমতা নাই আর বাঙ্গালী অনুরোধ করলে গায়ে মাখে না তারপরও ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে কষ্ট করে পড়ার অনুরোধ রইলো:

এমন এক দেশ বাংলাদেশ, যেদেশের নারী সমাজ "তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।" নেপলিয়নের উক্তিটি বলিয়া গলা ফাটায় ফেলিলেও শিক্ষিত হবার পর তারাই আবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নারী কবিতার -'বিশ্বে যাহা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী অর্ধেক তার নর'—এ লাইনগুলো বলে কোমর বেধে অর্ধেক কল্যান সাধনের জন্য চাকরী বাজারে নেমে পড়ে অন্য দিকে শিশু সন্তান মানুষ হয় বাসার কাজের বুয়ার কাছে ।

আমি স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি হিটলার মোহাম্মদ আদনান বেটা নেপলিয়ন কে পাইলে তার এই উক্তি সংশোধন করে দিয়ে বলতম-“তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত কাজের বুয়া দাও, আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।”

কি লাভ শিক্ষিত মা দিয়ে ?? তার থেকে অশিক্ষিত মা-ই ভাল ছিল, সন্তানকে লেখাপড়া না শিখালেও আদব-কায়দা অন্তত শিখাতো । একটা শিশুর মানুষ হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে পুথিগত শিক্ষার যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন নৈতিকশিক্ষা যা একমাত্র মায়ের দ্বারাই শৈশবে শিশুকে শিখানো সম্ভব । আমি নারী বিরোধী বা নারীর ক্ষমতায়নের বিরোধী না । আমি শুধু বলতে চাই একটি শিশুর জীবনের প্রথম পাচঁটি বছর শিশুর বিকাশের স্বার্থে চাকুরি ছেড়ে শিশুকে নিজ হাতে গড়ে তুলুন । তা না হলে ভবিষ্যতকে সুন্দর করার লক্ষ্যে যতই টাকা আয় করুন না কেন আর যতই সন্তানকে উচ্চশিক্ষা দেন না কেন, তার নিকট আপনি কখনোই যোগ্য মা হয়ে ওঠতে পারবেন না । শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে । মনে রাখবেন শুধু সন্তান জন্মদিলেই মা হওয়া যায় না ।

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস, মাদক বিরোধী আন্দোলন, যুব সমাজের অবক্ষয় প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা আর সভা সমাবেশ করলেই এগুলো সমাধান হবে না যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের পরিবার কাঠামো ঠিক করতে না পারি। আমি ব্যক্তিগতভাবে হুয়ায়ুন আহমেদের ভক্ত না বরং তার বই আমি খুবই কম পড়ি । কিন্তু তার একটি কথা আমার খুব ভাল লেগেছে।তা হলো:- “যে ছেলে গোটা ছাত্রজীবন তার বাবার সাথে বসে রাতের খাবার খাবে, সে কোন দিনই নীতি থেকে বিচ্যুত হবে না।“ কিন্তু আমাদের বাবাদের হাতে সেই সময় টুকু হয় না । তারা সারাদিন টাকার পিছনেই ছুটে বেড়ান কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার নাহ, যে সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এতো পরিশ্রম সে ই যদি মানুষ না হয় তবে এতো টাকা আয় করে কি লাভ ?? পরিবারিক বন্ধন নষ্টের আরও একটি মূল কারণ বা সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রধান কারণ হচ্ছে ভারতীয় সিরিয়াল । কি কারও অমত আছে ? তাহলে একটু চোখ বন্ধ করে ফিরে যান ২০০০ সাল বা তারও আগে, যখন এদেশে বিটিভি-ই ছিল একমাত্র টিভি চ্যানেল । বিটিভ খুব ভাল অনুষ্ঠান কিন্তু প্রচার করতো নাহ কিন্তু তারপরও পরিবারের সবাই মিলে প্রতিদিন বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে “রোড নম্বর ছয়, বাড়ি নম্বর নয়” কিংবা “ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল” এর মত নাটকগুলো দেখতাম । কিন্তু আজ পরিবারের সবাই মিলে টিভির কোন অনুষ্ঠান শেষ কবে দেখছি তা মনে পড়ে নাহ । আমি আনেকেরই উদাহরণ দিতে পারবো যারা সিরিয়ালের অত্যাচার থেকে বাচঁতে আলাদা টিভি কার্ড কিনেছে । কোন নাটক বা অনুষ্ঠান যে কেবল বিনোদন দেয় তা কিন্তু নয় । বুকে হাত দিয়ে বলুন তো “ইত্যাদি”-র শেষের দিকে প্রতিবেদন দেখলে আপনার কি সমাজ বা দেশের জন্য কিছু ভাল কাজ করতে মনে চায় না ? চায়, কেন চায় জানেন ? কারন আপনার সামনে কিছু ভাল মানুষের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়। এবার একটা জিনিষ চিন্তা করেন, ভাল জিনিষ যদি আপনার মনে প্রভাব ফেলে তবে খারাপ জিনিষও কেন ফেলবে নাহ ? ভারতীয় সিরিয়ালে দেখায় পরিবারিক অশান্তি, পারিবারিক দ্বন্দ আর পরিবারের সদস্যদের প্রতি অবিশ্বাস যা ধীরে ধীরে আমাদের মনোজগতে প্রভাব ফেলে আমাদের পারিবারিক জীবনে প্রভাব ফেলছে । এবং এর দীর্ঘস্থায়ি প্রভাব আমাদেরই ভোগ করতে হবে । আমাদের পরিবার কাঠামো যত দূর্বল হবে, সমাজ ততো কুলষিত হবে । তাই সবাই নিজের পরিবারকে সময় দিন, ভারতীয় সিরিয়াল বন্ধ করুন ।

মহান মনিষি স্বনামধন্য স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবি হিটলার মোহাম্মদ আদনান তার বিখ্যাত কাব্য গ্রন্থ “Facebook” এ লিখেছেন :
“জাতির বিবেক বা সমাজ পিতা আজ সব অন্ধ,
সমাজ যত জঞ্জাল, পারিবারিক দ্বন্দ,
ততোদিন রবে যতোদিন সিরিয়াল হবে না বন্ধ ।।“
০ Likes ২ Comments ০ Share ৮৩৮ Views

Comments (2)

  • - মাসুম বাদল

    দারুণ...