সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লাম। বাঙ্গালীর মন মানসিকতা সম্পর্কে যে চারজন বিশিষ্ট জনের মতামত উল্লেখ করেছেন, তার অনেক কিছুর সাথেই আমি একমত। তবে তাঁদের সব কথা ধ্রুব সত্য বলে মেনে নিতে আমি রাজী নই। বাঙ্গালী চরিত্রের অনেক ইতিবাচক দিক আছে, যা এই বিশ্লেষণ গুলোতে সেভাবে আসেনি।
পৃথিবীর সকল জাতির চরিত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। এটা মেনে নিলে বাঙ্গালী চরিত্রের নেতিবাচক দিক গুলো সম্পর্কে এতটা নির্দয় হওয়া সঙ্গত নয়। নীরদচন্দ্র চৌধুরী ১৯৪৭-এ দেশ ভাগের পর পুরো ভারতবর্ষের মানুষের ওপর অভিমান করে ইংল্যান্ডে চলে যান এবং সেখানেই অবশিষ্ট জীবন কাটিয়ে দেন। তার মতে, ভারতবর্ষ শাসন করার যোগ্যতা ও লেজিটিমেসি একমাত্র ইংরেজদেরই রয়েছে। তাকে বাদামী ইংরেজ বলে এই ভূখণ্ডে উপহাস করা হতো। যাই হোক, কাউকে খাটো করার জন্য নয়, বরং আমাদের যা কিছু গৌরবের আছে, তাকে কেউ খাটো করুক-সেটা কখনো কাম্য নয়।
ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় সনাতন পাঠক।
- মাঈনউদ্দিন মইনুল
বিভিন্ন সময়ে অঙ্কিত বাঙালি চরিত্রটি পড়লাম। সুখপাঠ্য বটে। সুখকর নয়। মেনেও নিতে পারি না, প্রত্যাখ্যানও করতে পারি না।
সঙ্গতকারণেই হুমায়ুন আজাদের মন্তব্যগুলো বেশি প্রাসঙ্গিক এবং বেশি কাছাকাছি। কথাগুলো হৃদয়ে গিয়ে প্রতিধ্বনিত হয়।
“বাঙালি গণতান্ত্রিক নয়, যদিও গণতন্ত্রের জন্যে প্রাণ দেয়।” কথাগুলো শুনে আমার মনে যা প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল তা এরকম: বাঙালি নিজ ভাষায় আগ্রহী নয়, যদিও ভাষার জন্য প্রাণ দেয়।
//মনোবিজ্ঞানীর চোখ দেয়া দরকার এদিকে, যেমন চোখ দেয়া দরকার সমাজবিজ্ঞানীর। বাঙালির রুগ্নতা আর লুকিয়ে রাখা চলে না, ক্ষতস্থলকে ময়লা কাপড়ে মুড়ে রাখলে ক্ষত শুকোয় না তাতে পচন ধরে।//
Comments (30)
সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লাম। বাঙ্গালীর মন মানসিকতা সম্পর্কে যে চারজন বিশিষ্ট জনের মতামত উল্লেখ করেছেন, তার অনেক কিছুর সাথেই আমি একমত। তবে তাঁদের সব কথা ধ্রুব সত্য বলে মেনে নিতে আমি রাজী নই। বাঙ্গালী চরিত্রের অনেক ইতিবাচক দিক আছে, যা এই বিশ্লেষণ গুলোতে সেভাবে আসেনি।
পৃথিবীর সকল জাতির চরিত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে। এটা মেনে নিলে বাঙ্গালী চরিত্রের নেতিবাচক দিক গুলো সম্পর্কে এতটা নির্দয় হওয়া সঙ্গত নয়। নীরদচন্দ্র চৌধুরী ১৯৪৭-এ দেশ ভাগের পর পুরো ভারতবর্ষের মানুষের ওপর অভিমান করে ইংল্যান্ডে চলে যান এবং সেখানেই অবশিষ্ট জীবন কাটিয়ে দেন। তার মতে, ভারতবর্ষ শাসন করার যোগ্যতা ও লেজিটিমেসি একমাত্র ইংরেজদেরই রয়েছে। তাকে বাদামী ইংরেজ বলে এই ভূখণ্ডে উপহাস করা হতো। যাই হোক, কাউকে খাটো করার জন্য নয়, বরং আমাদের যা কিছু গৌরবের আছে, তাকে কেউ খাটো করুক-সেটা কখনো কাম্য নয়।
ধন্যবাদ, শ্রদ্ধেয় সনাতন পাঠক।
বিভিন্ন সময়ে অঙ্কিত বাঙালি চরিত্রটি পড়লাম। সুখপাঠ্য বটে। সুখকর নয়। মেনেও নিতে পারি না, প্রত্যাখ্যানও করতে পারি না।
সঙ্গতকারণেই হুমায়ুন আজাদের মন্তব্যগুলো বেশি প্রাসঙ্গিক এবং বেশি কাছাকাছি। কথাগুলো হৃদয়ে গিয়ে প্রতিধ্বনিত হয়।
“বাঙালি গণতান্ত্রিক নয়, যদিও গণতন্ত্রের জন্যে প্রাণ দেয়।” কথাগুলো শুনে আমার মনে যা প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল তা এরকম: বাঙালি নিজ ভাষায় আগ্রহী নয়, যদিও ভাষার জন্য প্রাণ দেয়।
//মনোবিজ্ঞানীর চোখ দেয়া দরকার এদিকে, যেমন চোখ দেয়া দরকার সমাজবিজ্ঞানীর। বাঙালির রুগ্নতা আর লুকিয়ে রাখা চলে না, ক্ষতস্থলকে ময়লা কাপড়ে মুড়ে রাখলে ক্ষত শুকোয় না তাতে পচন ধরে।//
এটিই বলা যায় সবশেষে।
বিষয়গুলো একত্র করে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বাঙালী অনেকটা ঘোড়ার ডিমের মতো