শুভেচ্ছা সবার জন্য! ব্লগে প্রতিদিন নতুন অনেক ব্লগার আসছেন। ব্লগিং করছেন। মনের আগল খুলে লিখছেন কত কথা। ব্লগারদের এই সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। ইতিমধ্যে অনেক প্রিয় ব্লগার এই ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই অনেকের প্রিয় ব্লগারে পরিণত হয়েছেন। আড্ডায় আনন্দে মাতিয়ে রাখছেন ব্লগ। তাদের সবাইকে বাংলা ব্লগের আলোকিত মানুষদের কথা জানাবার একটা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। এর কারণ আছে। নক্ষত্র ব্লগের ব্লগীয় পরিবেশ বন্ধুত্বপূর্ণ, অন্যান্য ব্লগ থেকে অনেকটাই ভিন্ন। এর কারণ আন্তরিকতা ভালোবাসার বন্ধন, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, সহনশীলতা।
আমার মনে হয় সে দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের জানা প্রয়োজন ব্লগে কারা নিজের দ্যুতিময় লেখনী, শুদ্ধ আচার আচরণ, প্রজ্ঞাবান মন্তব্য দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন ভিন্ন উচ্চতায়। সহ ব্লগার হিসেবে কেমন হওয়া উচিত সে সব ব্লগারদের সঙ্গে আমাদের হৃদ্যতা-পূর্ণ সম্পর্ক।
ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার কথা বলতে পারি; এই ব্লগে লেখালেখি শুরু করার পর থেকে অনেক সহ ব্লগারের সংস্পর্শে এসে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছি, তাদেরকে দেখে প্রতিনিয়ত অনেক কিছু শিখেছি, শুদ্ধ মানুষ হবার প্রেরণা পেয়েছি। আমি চাই এই অনুভব ছড়িয়ে যাক সবার মাঝে। তাই সেই সব গুণী মানুষদের কিছু কথা, লেখালেখি শেয়ার করার ভাবনা নিয়েই এই সিরিজ নক্ষত্র ব্লগের আলোকিত মানুষ এবং আমি …
ব্লগিং জীবনের শুরু থেকেই
অসাধারণ কিছু পোষ্টের মাধ্যমে
নানা বৈচিত্র্যময় ভাবনার কথা জানিয়ে ব্লগের সকলের কাছে একজন সু লেখক হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।
লেখনী – সৌহার্দ্যপূর্ণ আচার আচরণ কর্মকাণ্ড দিয়ে জয় করে নিয়েছেন সবার শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা।
বিশেষ করে শুধুমাত্র ব্লগিং কি কেন এবং কিভাবে এটিকে ইতিবাচক মাধ্যমে হিসেবে নিজের লেখনীর খোলা জানালা হিসেবে ব্যাবহার করা যায় সে বিষয়ে বেশ কিছু মূল্যবান পোষ্ট লিখে আমাদের মাঝে ব্লগরত্ন হয়ে মিশে আছেন।
অনেক সহ ব্লগারের প্রিয় ব্লগারের তালিকায় তার নামটি যোগ করা আছে।
তিনি আর কেউ নন আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার
মাঈনউদ্দিন মইনুল;
আমার আজকের আলোকিত মানুষ।
একজন লেখকের বড় গুণ হচ্ছে তার চারপাশে ঘটে যাওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা থেকেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তা শিক্ষণীয় করে তা পাঠকের জন্য পেশ করা। সহজ করে খুব সাধারণভাবেই তিনি কিছু অমূল্য কথা বলে যান আমাদের। তার পোষ্টের বক্তব্যে থাকে একটি অন্তর্নিহিত বার্তা। সে বার্তায় থাকে সত্যিকার অর্থে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হবার প্রেরণা। বর্তমান প্রেক্ষাপটকে মিলিয়ে তিনি যেভাবে আমাদেরকে তার পোষ্টে নিয়মিত পাঠক করে রাখেন তাতে নিঃসন্দেহে প্রমাণ হয় তিনি একজন গুণী কত্থক। একজন প্রাণবন্ত প্রত্যয়ী লেখক। পাশাপাশি মন্তব্যে তিনি বেশ প্রাণবন্ত। তার প্রতিটি মন্তব্য সুচিন্তিত, পোষ্টের সঙ্গে সংগতিপূর্ন, আন্তরিক, অনেক ক্ষেত্রে তথ্যপূর্ণ। যা একটি পোষ্টের অলংকার হিসেবে সে পোষ্টে যুক্ত হয়।
সহ ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইকে আমি ব্যক্তিগতভাবেও চিনি। জানি। বেশ কিছু কার্যক্রমে তিনি আমার সাথে সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার সাথে মিশে তার সংস্পর্শে এসে বুঝেছি একজন শুদ্ধ সুন্দর বিনয়ী মানুষ কেমন হতে পারেন। কেমন হতে পারে তার স্বপ্ন সাধ।
মানবিক কাজে তার দায়বদ্ধতা/অংশগ্রহণ দেখে আমি চমৎকৃত হয়েছি।
আমি মনে করি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে একজন আদর্শ ব্যক্তি।
লেখালেখির পাশাপাশি এমন করে যিনি অন্য অসহায় মানুষদের কথা ভাবেন তাদের জন্য কিছু করার ইচ্ছেয় মেধা সময় শ্রম দিয়ে যান তিনি আমাদের সবার কাছে শ্রদ্ধেয়।
তার জন্য আমাদের সবার পক্ষ থেকে অফুরান ভালোবাসা রইলো।
ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই ব্লগ বাড়ী লিংক
আনন্দে কাটুক ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই এর প্রতিটি দিন।
প্রার্থনা করি করুণাময়ের অশেষ করুণা-ধারায় মঙ্গলময় হোক তার জীবন।
ব্লগিং হোক আনন্দের – হোক সৃজনশীল! ভাল থাকবেন সবাই।
শুভেচ্ছা।
** [ব্লগের আলোকিত মানুষ এবং আমি – সিরিজটি একান্তই নাদান এক সাধুর চোখে দেখা নক্ষত্র ব্লগের কিছু অসাধারণ মানুষদের নিয়ে লেখার প্রচেষ্টা। যদিও এই ছোট্ট পরিসরে কারোরই পূর্ণ ছবি আঁকা সম্ভব নয়। ভুলভ্রান্তি বা নিজের অজ্ঞাতসারে কোন বাক্যে বা মন্তব্যে কেউ কোনভাবে আঘাত পেলে নিজগুণে মার্জনা করবেন।]
Comments (53)
শুভেচ্ছা কবি পাশা।
আসেন আজকে কবিতার ব্যবচ্ছেদ করি।
কবিতার শুরুতে
এক মুঠো রোদ্দুরের খোঁজে সকাল থেকে পথে নামি
ঘর ছেড়ে পথে নামি, হাটি গলির এ মাথা থেকে ও মাথা
[হাইলাইটেড অংশে আটকে গেছি। দু বার পথে নামি দেয়াতে সমস্যা বোধ করছি।]
কিন্তু রোদ গুলি নিচে নামেনা, তারা ঠায় থাকিয়ে থাকে
[রোদ বললেই হত রোদ গুলি বলাতে এখানেও সমস্যা বোধ করছি।]
আর আমি তাকিয়ে থাকি অসহায়ের মত আর দীর্ঘ শ্বাস।
[দু বার আর ব্যাবহারে আমার আপত্বি আছে।]
শেষ লাইনে
এক মুঠো সোনারোদ, কোন এক বিকেলে।
[এখানেও ভাবছি সোনা রোদ কোনটারে কয়, সকালের টা নাকি বিকালের রোদকে ঠিক বুঝতেছি না ]
শুভকামনা নিরন্তর ভ্রাতা
কবিতায় একই শব্দের দ্বৈত কিংবা বহুবার ব্যবহার হতেই পারে।
উদাহরন। স্বাধীনতা তুমি-- শামসুর রহমান। এছাড়া জীবনানন্দ দেখতে পারেন।
রোদ গুলি তে রোদের ব্যপ্তি বোঝাতে গুলি বলা হয়েছে।
প্রথমে প্রথম আর টাই ছিল। এডিটিংয়ে পরের আরটা যোগ করা হয়েছে। প্রথমটা হবেনা। ইট ইজ টাইপ মিসটেক।
সোনারোদ কোনটা কে বলে? প্রশ্নটা অসীম। বিকেলে রোদকে বলা যাবেনা এমনটা আমি পাইনি।
সম্পাদক সাহেবের কবিতা
শুরু থেকে শেষ অব্দি কোথাও কি লেখা আছে,"সম্পাদক সাহেবের কবিতা "?
কবিতা পইড়া গা কাঁপে। শীত বেশি পড়সে মনে হয়, আপনার এই রোদ গুলান বাসায় পাঠাইয়া দেন তো।
রোদ পামু কই। সব তো বিল্ডিং এর চুড়ায় চুড়ায় থাকে?