বাংলাদেশের আধুনিক গানের অন্যতম শিল্পী, সংগীত পরিচালক এবং সুরকার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী আজ ৪ নভেম্বর'১৪ রোজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঢাকার নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে....রাজিউন)।কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
বাংলাদেশের আধুনিক গানের অন্যতম কণ্ঠ শিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ১৯৪৪ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলায় জন্মগ্রণ করেন। ১৯৭৩ সালের ২৮শে মার্চ সুরাইয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ষাট, সত্তর ও আশির দশকে চলচ্চিত্র, রেডিও এবং টেলিভিশনে গান গাইতেন মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। ১৯৬০ সাল থেকে তিনি রেডিও আর চলচ্চিত্রে গান গাইতে শুরু করেন। ২০৬টি চলচ্চিত্রে তার গান শোনা গেছে। গানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। বাংলা গানের পাশাপাশি উর্দু গানও করেছেন তিনি। তার কালজয়ী অসংখ্য গানের মধ্যে ওই দূর দূর দূরান্তে, হেসে খেলে জীবনটা যদি চলে যায়, হৈ হৈ হৈ রঙিলা রঙিলা রে, শোনো গো রুপসী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সংগীত জীবনে জাতীয় পুরষ্কার ছাড়াও অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। এসবের মধ্যে রয়েছে দীনেশ পদক, বন্ধন লাইফটাইম এ্যাচিভমেন্ট, শিল্পকলা একাডেমি থেকে সংগীত ও নাট্যকলা পুরষ্কার প্রভৃতি।
বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর শারিরীক সমস্যার কারণে গত ২০ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। তার স্ত্রী সুরাইয়া সিদ্দিকী জানান, তিন বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় ভুগেছিলেন মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। তার ডায়াবেটিকস আর কিডনিজনিত রোগও ছিল। কয়েকদিন ধরেই স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছিলেন না তিনি। এ কারণে রক্তের শর্করা নিচের দিকে নেমে যাওয়ায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ৯টায় ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সুরাইয়া সিদ্দিকী, তিন মেয়ে এ্যানী সিাদ্দকী, রেনি সিদ্দিকী এবং গিনি সিদ্দিকী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি