Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ব্রুস স্প্রিংসটিন - ফাদার অফ হার্টল্যান্ড রক

ব্রুস ফ্রেডেরিক জোসেফ স্প্রিংসটিন সংক্ষেপে ব্রুস স্প্রিংসটিন । জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালের অ্যামেরিকার নিউ জার্সি স্টেটের লং ব্রাঞ্চ শহরে। সে একাধারে সুরকার,গায়ক এবং লেখক এবং তার আরেক পরিচয় হল তিনি অ্যামেরিকান বিখ্যাত ব্যান্ড দল "ই স্ট্রিট ব্যান্ড" এর সদস্য।

ব্রুস স্প্রিংসটিন দ্য বস নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত তাকে বলা হয়ে থাকে ফাদার অফ হার্টল্যান্ড রক এবং তিনি ব্যাপকভাবে তার কাব্যিক গানের জন্য পৃথিবীজোড়া পরিচিত।

তার বিখ্যাত গানের অ্যালবাম গুলো হল "বর্ন ইন দ্য ইউ এস এ" "বর্ন টু রান" ইত্যাদি। আজ পর্যন্ত তার ৬৪ মিলিয়ন ক্যাসেট শুধু ইউ এস এ তে বিক্রি হয়েছে যা তাকে এনে দিয়েছে ইউ এস এর টপ মোস্ট সেলারদের মধ্যে ১৫ তম। এছাড়া বিশ্বব্যাপী তার ১২০ মিলিয়ন গানের অ্যালবাম বিক্রিত হয়েছে।

তিনি তার কাজের জন্য এ পর্যন্ত অসংখ্যবার পুরুস্কার পেয়েছেন। গানের জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত পুরুস্কার গ্রামী পেয়েছেন আজ পর্যন্ত ২০ বার, গোল্ডেন গ্লোব পেয়েছেন ২ বার, একাডেমী এ্যাওয়ার্ড বা অস্কার পেয়েছেন ১ বার এছাড়া তিনি অসংখ্য পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯৯ সালে রক এন্ড রোল অফ ফেম এবং সংরাইটার হল অফ ফেম এ তার নাম অভিষিক্ত করা হয়েছে।

ব্রুস স্প্রিংসটিন মূলত গানের অনুপ্রেরনা পেয়েছিলেন ১৯৫৬ সনে "দ্য এদ সুলিভান শোতে" "এলভিস প্রিসলির" পারফর্মেন্স দেখে তখন তার বয়স ছিলো সাত বছর। ব্রুসের বয়স যখন ১৩ তার মা তাকে ১৮ ডলার দিয়ে একটি গিটার কিনে দিয়েছিলো। তার পরের বছর ১৯৬৪ সনে তার জীবনকাহিনী মোড় নেয় "দ্য এদ সুলিভান শোতে" দ্য বিটলস এর পারফর্মেন্স দেখে।

তিনি তার জীবনের প্রথম অডিয়েন্স এর সামনে পারফর্ম করেন নিউ জার্সিতে। গানের প্রতি এতো আগ্রহ দেখে তার মা ৬০ ডলার লোন নিয়ে তাকে একটি কেন্ট গিটার কিনে দেন ব্রুসের তখন ১৬ বছর বয়স। ৬০ এর শেষ দিকে তিনি নিউ জার্সির ক্লাবে প্লে করতেন ওই সময় থেকে তার নামকরন করা হয় দ্য বস।

১৯৭২ সনে ব্রুস কলম্বিয়া রেকর্ড এর সাথে অ্যালবাম এর জন্য চুক্তি করেন এতে তাকে সাহায্য করেছিলেন জন হ্যামন্ড
তার প্রথম অ্যালবাম "গ্রেটিংস ফ্রম এসবুরি পার্ক এন জি " রিলিজ পায় ১৯৭৩ সালের জানুয়ারী মাসে। অ্যালবামটি ব্যাবসাসফল না হলেও এটা তাকে প্রতিস্টিত করে তোলে। ১৯৭৩ সালে ব্রুসের দ্বিতীয় অ্যালবাম "দ্য ওয়াইল্ড,দ্য ইন্নোসেন্ট অ্যান্ড দ্য এই স্ট্রিট সাফল " মুক্তি পায় এবং এটিও ব্যাবসা করতে ব্যর্থ হয় কিন্তু তিনি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান। "দ্য রিয়েল পেপার" মিউজিক ক্রিটিক জন ল্যান্ডো ১৯৭৪ সনে হার্ভার্ড স্কয়ার থিয়েটারে তাদের পারফর্ম দেখে তিনি বলেন আমি রক এন্ড রোল এর ভবিষ্যৎ ব্রুস স্প্রিংসটিনের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি এবং। পরবর্তীকালে জন ল্যান্ডো ব্রুসের ম্যানেজার এবং প্রযোজক হন এবং ব্রুসের বিখ্যাত অ্যালবাম বর্ন টু রান তৈরি করতে সাহায্য করেন।

১৩ অগাস্ট ১৯৭৫ সনে ব্রস ও তার ব্যান্ড নিউ ইয়র্ক এর বটম লাইন ক্লাব এ ১০টি শো করে। ২৫ অগাস্ট ব্রস ও তার দল অবশেষে সাফল্য লাভ করে। তাদের অ্যালবাম ইউএস বিলবোর্ড২০০ এর মধ্যে ৩ নং পজিশন ধরে রাখে।

ব্রুস স্প্রিংসটিন মূলত ব্যাপক পরিচিতি পান ১৯৮৪ সালে বের হওয়া অ্যালবাম "বর্ন ইন দ্য ইউ এস এ" বের করে। অ্যালবামটি তাকে খ্যাতির শিখরে নিয়ে যায়। অ্যালবামটির ১৫ মিলিয়ন কপি ইউ এস এ তে আর সারাবিশ্বে ৩০ মিলিয়ন কপির উপর বিক্রি হয়। 

"বর্ন ইন দ্য ইউ এস এ" টুর এর সময় তার সাথে পরিচয় হয় অভিনেত্রী জুলিয়ান ফিলিপস এর সাথে এবং তারা ১৯৮৫ সনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ১৯৮৯ সনে।

ব্রুস ব্যাক্তিগত জীবনে অসংখ্যবার গ্রামী অ্যাওয়ার্ড পান। ১৯৯৪ সালে ফিলাডেলফিয়া ছবিতে "স্ট্রিট অফ ফিলাডেলফিয়া " গানটির জন্য একাডেমী অ্যাওয়ার্ড বা অস্কার লাভ করেন।

১৯৮০ সালে ব্রুস এর সাথে প্যাট্রির পরিচয় হয় নিউ জার্সির দ্য স্টোন পনি নামের একটি লোকাল বারে এখানে নিউ জার্সির মিউজিসিয়ানরা রেগুলার বেসিস পারফর্ম করতেন। পর জুলিয়ান ফিলিপস এর সাথে ডিভোর্সের পড়ে ১৯৯১ সনে তারা বিবাহ করেন। ব্যাক্তিগত জীবনে ব্রুস তিন সন্তানের জনক।

তার গাওয়া বিখ্যাত গান গুলো হল "বর্ন টু রান ", "বর্ন ইন দ্য ইউ এস এ ","থান্ডার রোড ","জাঙ্গলল্যান্ড ", "দ্য রিভার ", "ব্যাডল্যান্ডস ", "মাই হোমটাউন ", "হিউম্যান টাচ " ইত্যাদি।

ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির সাপোর্টার এবং ২০০৮ সালে তিনি বারাক ওবামার প্রেসিডেন্টশিয়াল ক্যাম্পেইন এ অংশগ্রহণ করেন।

০ Likes ৫ Comments ০ Share ৪৭৪ Views

Comments (5)

  • - ঘাস ফুল

    যে মানুষ তার জন্মের সময় মায়ের প্রসব ব্যথার কথা একবার ভাববে, সে কখনো তার মাকে অবহেলা করতে পারবে না। পৃথিবীর সমস্ত ব্যথাকে একসাথে জড়ো করলেও মনে হয় না, তা প্রসব ব্যথার সমান হবে। 

    সামান্য একটা বিড়ালের প্রসব ব্যথাই যার, মনে এতো কষ্টের উদ্রেক করে, সে নিশ্চয়ই মায়ের প্রসব ব্যথার যন্ত্রণাও অনুভব করতে পারে। আপনার এই অনুভুতিকে স্যালুট সেলিম ভাই। 

    • - জামাল হোসেন সেলিম

      আসলে আমাদের আরো বেশি বেশি করে সোচ্চার হওয়া উচিত এই ব্যাপারটা নিয়ে। তবে আমরা আমাদের পারিপার্শ্বকতা নিয়ে এতটাই ব্যাস্ত যে অন্য কোন দিকে তাকাবার ফুরসৎ কমই মেলে। আর সেই সুযোগে শয়তানের ঘোড়া লাগামহীন চলতে থাকে।

      ধন্যবাদ ঘাস ফুল ভাই।

      সেই সাথে দুঃখিত বিলম্বিত রিপ্লাইয়ের জন্য।