আমরা বাঙালি, বাংলাদেশী। বৈশিষ্ট্যে আমরা ভোজনরসিক। আর তা’ যদি হয়, খাবার পরে একটু মিষ্টি জাতিয় খাবার। আজকাল যাকে বলা হয় “ডেজার্ট”। কিন্তু এই মুরুভুমী নামটা কেন দেয়া হলো বুঝলাম না। যাকগে, আমরা বলে যাব মিষ্টান্ন। খাবার বা নাশতার পরে একটু পায়েস হলে মন্দ হয় না।
বিদেশে এসে অনেক রকমের খাবারই খেলাম, মিষ্টি খাবারও খেয়েছি। কিন্তু, মন ভরে না। মিষ্টি খাবারের অপূর্ণতাটা থেকেই যায়। এরা অত্যধিক মিষ্টি খায়, যার জন্য খাবারের স্বাদটাই সেখানে অনুপস্থিত।
খুব ইচ্ছে হলো দেশী পায়েস খাব। পোলাও/পায়েস-র চাউল বাংলাদেশ থেকে নিয়েই এসেছিলাম। এখানেও পাওয়া যায়, তবে আমি যেটা কিনি, সেটা পাওয়া যায় না। যেমন মনে হওয়া তেমনি কাজ শুরু। চাল, দুধ, চিনি, ঘি, কিসমিস, বাদাম সবই ঘরে আছে, তাই আর দেরী কেন। শুরু হয়ে যাক। বাদাম আছে, তবে almond নাই, আমরা যাকে বলি চিনাবাদাম, সেইটা আছে (অবশ্যই কাঁচা)। হোক, যা নেই তার জন্য আর দেরি করে কি হবে। কিছু বাদাম ভিজিয়ে রাখলাম। দেরি হবে তাই, একটু গরম পানিতে ভিজালাম। কিছু কিসমিসও ভিজিয়ে রাখলাম। তারপর শুরু করলাম রান্না।
কিসমিস ভিজিয়ে রেখেছি
পায়েস রান্নার পাত্রে বাদাম দিয়ে দিলাম
তিন লিটার ঘন দুধে, ২৫০গ্রাম চাউল ধুয়ে ছেড়ে দিলাম। আর বাদামগুলো ছিলে, দু’ভাগ করে, দুধে দিয়ে দিলাম। দুধের সাথে না দিলে কাঁচা বাদাম সেদ্ধ হবে না। সাথে দু’টো তেজপাতা আর ক’টা ছোট এলাচ দিয়ে দিলাম। দুধ ফুটতে শুরু করল আমিও নাড়াচাড়া শুরু করলাম যেন নিচে না পুড়ে যায়। তাছাড়া দুধ চুলায় দিয়ে না নাড়লে, কিছুক্ষণ পরে আর হাঁড়ীতে একটুও দুধ থাকবে না, সব উথলে পড়ে যাবে। যা হোক, এগিয়ে চলছে আমার পায়েস রান্না। কিছুক্ষণের মধ্যে চাল সেদ্ধ হয়ে এল। একটু বেশী নরম করেই সেদ্ধ করলাম, না হলে চিনি দেবার পরে চাল অনেকটাই শক্ত হয়ে যায়। এরপর ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম চিনি দিয়ে দিলাম। আমি মিষ্টি একটু কমই খাই, তাই চিনি বেশী দিলাম না। দুই টেবিল চামচ ঘি দিয়ে দিলাম। এরমধ্যে কিসমিসগুলো ভিজে নরম হয়ে গেছে। কিসমিস দিয়ে নামিয়ে নিলাম। হয়ে গেল আমার দেশী পায়েস।
চলছে পায়েস রান্না
রান্না শেষে মজার পায়েস
******************************
Comments (31)
চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী। আসলে গ্রামের নামটা ওরা বোধহয় ভুল বলে নাই, লেখকই কানে ভুল শুনেছে। হাহাহা...
বর্ণনা ভালো লাগলো। তবে, বেশ কিছু বানানে মিসটেক আছে। একটু এডিট করে নেবেন, পড়তে আরো ভালো লাগবে।
আমার কানে কুনু সমস্যা নাই। একে বলে আঞ্চলিকতা। আমার বাড়ী ব্রাক্ষন বাড়ীয়া। কিন্তু আঞ্চলিক টানে লোকজন বলে "বাওন বাইরা" কেউ কেউ তো "বান বাইরা" বলে।
আপনেতো মাস্টরনি। ভুল না কর্লে ঠিক করবেন কি? ভুল বানানের লিস্টি পাঠান।
চমৎকার। শুভেচ্ছা দাদা, ভাল লাগা রইল।
চমৎকার। শুভেচ্ছা দাদা, ভাল লাগা রইল।
শুভেচ্ছা আপনাকেও দাদা