-দাদা , ও দাদা । ও দাদা আপনাকে
বিতিনকে দাঁড়াতেই হল । পেছন ফিরে গলা তুলে নিজের দিকে আঙ্গুল করে বলতেই হল - আমাকে ?
ভদ্রলোকে কলিং ফোন পকেটে রাখতে রাখতে এগিয়ে এল - হ্যাঁ আপনাকেই ?
- হ্যাঁ , বলুন ।
- আমি আপনাকে চিনি । আপনি কি এখানেই থাকেন ?
সঠিক ঠিকানা পরিচয় দেওয়া ঠিক হবে কি না বুঝতে না পেরে বললাম - হ্যাঁ , এই সামনেই থাকি । আপনি ?
-আমি ঠিকাদার অবনীবাবুর লোক ।
সঙ্গে সঙ্গে মাস ছয় সাত আগে নবাবগঞ্জের সমবায়ের সামনে অবনীবাবু আর তার দলবলের সাথে সিকি কাজ করে পুরো পয়সা হাতিয়ে নেওয়া ধরা পড়ার পর একা বিতিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি মনে পড়ে যায় । অনেক দূর গড়িয়েছিল । দাতা গ্রহীতা এমন কি জনমতও সঙ্গে ছিল না । বিতিনের ভাবনাই ছিল অধরা ।
-বলছি , আপনি ভাল আছেন তো ?
-হ্যাঁ ভাই আমি তো ভাল আছি ভাই !
-ছেলেকে আপনার কথা বলি । অবনীবাবুর সাথে থেকে আমার মত অনেকে খেয়ে পরে বেঁচে আছে । কিন্তু আপনাকে দেখে আমরা দু চারজন বাঁচাতেও শিখেছি । বুঝতে পারি মানবিক স্বাদ । নমস্কার । ভাল থাকবেন ।
ক্লান্ত বিতিন লোকটার চলে যাওয়া দেখল । কিছু বোঝার আগে খিদেতে বেঁচে থাকার জন্য আপাতত বাড়ির পথে পা বাড়াল ।
-০-০-০-০-
Comments (0)
ভাল লাগা জানালাম।
দারুন...
বাহ দারুন কবি,,,,,
khub valo laglo...