কৃষকটি কোন রাখঢাক না করেই বলে ফেলল “চট্টগ্রাম আর ঢাকার মানুষেরা প্রতিদিন বিষের দলা খায় , সবজী নয়”। হতভম্ব হয়ে চেয়ে রইলাম টি ভির দিকে । ও আরও বলল আগে শুধু পোকামাকড় মারার ওষুধ মেরে বাজারে পাঠানো হতো এখন কারওয়ান বাজারে সবজী কিভাবে তাজা থাকবে তার ওষুধ মেরে তারপরে খুচরা বাজারে যায় । আমি ঠিক এই বিষয়টি খুজছিলাম গত বছর থেকে । বাজার থেকে কাচা পেপে কিনলাম কিন্তু ঘরে এনে কাটার পরে দেখি ভেতরটা পাকা । দোকানিকে জিজ্ঞাসা করি তারা সঠিক জবাব দিতে পারে না । অনুষ্ঠানের মধ্যে একজন অন্ত্ররোগ বিশেসজ্ঞ বললেন কোলন ক্যান্সার এখন ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে আগে যা খুবই রেয়ার কেস ছিল । এসবের মুল উৎস ক্ষেতে অতিরিক্ত বিষ বা পেস্টিসাইডের ব্যাবহার । বেশ ক ধরনের বিষ দেখান হলো যার সবগুলোই ব্যাবহার হয় যা ঐ কৃষকের ভাষায় অপ্রয়োজনীয় । শাকপাতা সবজীকে আরও তাজা দেখাতে পাইকার ক্রেতারা এসবের নির্দেশনা দিয়ে থাকে । কৃষকরা কার্যত বাধ্য চাহিদা মোতাবেক বিষ প্রয়োগে । ব্যাক্তিগত ভাবে আমি শাকপাতা ফলমূল নিজেই সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখি যা কাজের লোকেরা ঘুরনাক্ষরেও করতে চায়না । ওদের ধারনা এইসব সাহেবদের মাতা-মুতা খারাপ হইয়া গেছে । লিভার রোগ তো মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে । নতুন উপসর্গ ডায়াবেটিস । এই অবস্থা চলতে থাকলে বা চলতে দিলে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা লিভার, ডায়াবেটিস , কোলন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হবে । দেশে অন্যান্য শিল্পের তেমন উন্নতি না হলেও ওষুধ শিল্পে ব্যাপক উন্নতি আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার বৃদ্ধি উদ্বেগজনক । মানুষের জীবন ধারনের জন্য চিকিৎসা ব্যায়বহুল হবে । অপর্যাপ্ত ডাক্তার (আসলে কসাই) আর ভেঙেপড়া হাসপাতাল ব্যাবস্থা একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকনির্দেশ করছে । নোভো নরদিস্ক বাংলাদেশে ইনসুলিন কারখানা করে মাত্র ৩৮০ টাকায় ইনসুলিন দিচ্ছিল আমাদের । গত এক বছর অজানা কারনে উৎপাদন বন্ধ দেখিয়ে ৫৮০ টাকায় আমদানিকৃত ইনসুলিন কিন ছি আমরা । অন্যান্য ওষুধও ঊর্ধ্বমুখী । বিষ নিয়ন্ত্রণে আলাদা টাস্ক ফোরস কাজ করবে এবং মাঠ পর্যায় থেকে কার ওয়ান বাজারের ধরা ছোঁয়াহীন সিন্ডিকেট পর্যন্ত ।
আমাদের বাচতে দিন ।
Comments (3)
সুন্দর তবে বৈচিত্র আনা প্রয়োজন
ধন্যবাদ
সুন্দর লিখেছেন
ধন্যবাদ
বেশ লাগল--
ধন্যবাদ আলমগীর ভাই