লাল আর সবুজ বোর্ড মাথার ওপর তুলে ধরল ২৭ হাজার ১১৭ জন কিশোর তরুণ, শেরেবাংলা নগরের প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে সূর্যের দিকে মুখ তুলে হাসল বাংলাদেশের পতাকা। ৪২ বছর আগে যে দিনটিতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় পেয়েছিল, সেই দিনটিতে আরো এক বিজয়ের জন্য এই আয়োজন।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অনুমোদিত একজন পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড়’ মানব পতাকা তৈরির এ আয়োজনের উদ্যোক্তা মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। আর বিজয় দিবসে ‘লাল-সবুজের বিশ্বজয়’ শিরোনামে এ আয়োজনে সহযোগিতা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গিনেসের সব নিয়ম মেনে সুষ্ঠুভাবে মানব-পতাকা তৈরি হলো কি না, তার প্রমাণ হিসাবে সব তথ্য ও ছবি পাঠানো হচ্ছে গিনেস কমিটির কাছে। নতুন রেকর্ড হলো কি-না, সে খবর তারাই জানাবে। সশস্ত্রবাহিনীর আট হাজার সদস্যের সহযোগিতায় প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর অংশগ্রহণে এই মানব পতাকা তৈরি শুরু হয় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী।
কয়েক দফা মহড়ার পর চূড়ান্ত চেষ্টায় লাল-সবুজের টুকরোগুলো ছয় মিনিট ১৬ সেকেন্ড মাথার ওপর তুলে রাখেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এ সময় মঞ্চ থেকে বেজে ওঠে গান- ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’, তৈরি হয় লাল সবুজের বিশ্বজয়ের মঞ্চ। গিনেস বুকে এর আগের রেকর্ডটি পাকিস্তানের। গত বছর অক্টোবরে লাহোর হকি স্টেডিয়ামে ওই মানব পাতার অংশ হয়েছিলেন ২৪ হাজার পাকিস্তানি। এর আগে ২০০৭ সালে হংকংয়ের ২১ হাজার ৭২৬ জন নাগরিক মানব-পতাকা গড়েন।
সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন কমান্ডার মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব পতাকা তৈরির মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের জাতীয় ঐক্য তুলে ধরতেই এ চেষ্টা।
Comments (18)
পোষ্ট ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ফুল দিলাম
ছবিগুলোতে শুধু বাংলার ছোঁয়া।কিন্তু শীতের মধ্যে হাতা বিহীন কামিজ দেখে খটকা লাগলো।
ফ্যাশনে ঋতুর প্রভাব থাকা উচিৎ।
ছবিগুলো ডেমো। কিন্তু লেখা এখনকার। ধন্যবাদ
বয়স নাইরে ভাই। এই বয়সে তাই আর ফ্যাশন নিয়ে মাথা ঘামাই না। তবে যারা ঘামায় তাদের অবশ্যই কাজে দিবে। রোদেলার কথাগুলোতে যুক্তি আছে। ধন্যবাদ কালের পুতুল। প্রবীণদের কোন পোশাক এখানে নাই কেন? তবে কি প্রবীণরা বিজয় দিবস পালন করবে না?
মনটা বড়।