Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস এর মারাত্বক দূর্ঘটনাগুলো

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সবচেয়ে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটে ঢাকায় ১৯৮৪ সালের ৫ ই আগস্ট। ৪৯ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়। এটা ছিল ফকার কোম্পানি নির্মিত একটি এফ-২৭ বিমান। বিমানটি চিটাগাং থেকে ঢাকায় আসছিল। ঐ সময় ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল এবং প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছিলোনা।


পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন কানিজ ফাতেমা, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পাইলট। প্রথমে তিনি ২৩ নং রানওয়েতে ল্যান্ডিং করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রানওয়ে দেখতে পাচ্ছিলেন না এবং শেষ মুহূর্তে বুঝতে পারেন যে তিনি ভুল দিকেঅগ্রসর হচ্ছেন। তারপর তিনি ILS ( এক ধরনের রেডিও বিম ট্রান্সমিটার যেটা বিমান কে পথ নির্দেশনা দেয়) এর মাধ্যমে ১৪ নং রানওয়েতে ল্যান্ড করার চেষ্টা করেন কিন্তু আবার ব্যর্থ হন। তৃতীয়বার ল্যান্ডিং চেষ্টা করার সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটা ডোবায় আবতরন করে এবং বিধ্বস্ত হয়। জায়গাটা উত্তরা জসিমুদ্দিন রোডের কাছে। বিমানটি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ৪ জন ক্রু সহ ৪৯ যাত্রীর সবাই নিহত হন।


এই বিমানটি PIA এর জন্য নির্মিত হয়েছিল। ডেলিভারির সময় ছিল ১৯৭১। যেহেতু ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তাই ফকার কোম্পানি PIA এর কাছে বিমানটি ডেলিভারি করতে পারেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর PIA বিমানটি গ্রহন করেনি। পরে এই বিমানটি (registration S2-ABJ) ডাচ সরকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ১৯৭৬ সালে উপহার হিসেবে দেয়।


১৯৭৬ সালে PIA বিমান বাংলাদেশকে একটি বোয়িং ৭০৭ উপহার দেয় হজ্বযাত্রীদের বহন করার জন্য। এই বিমানটি মাত্র ৪ বছর টিকেছিল। ১৯৮০ সালে এটি সিঙ্গাপুরে এমনভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল যা আর মেরামত করা যায়নি। Singapore-Paya Lebar Airport থেকে উদ্দয়নের পরপরই ১০০ ফিট উচ্চতা থেকে বিমানটি রানওয়ের উপর আছড়ে পরে। বিমানটির ৪ টি ইঞ্জিন একই সময়ে বিকল হয়ে গিয়েছিলো। যদিও বিমানটি প্রায় ১৯০০ ফিট ছেচড়ে গিয়েছিলো, তবুও কেউ আহত হয়নি। এর আগে ১৯৭৫ সালের ৫ই জুলাই ইসলামাবাদে বিমানটির আসনের নিচে সন্ত্রাসীরা বোমা পেতে রেখেছিল। অবশ্য তখন কোন বিপদ ঘটেনি কারন বিস্ফোরনের সময় বিমানটি মাটিতে ছিল।

১৯৯৭ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি এফ-২৮ স্থানীয় ফ্লাইট ঢাকা থেকে আসার সময় সিলেট বিমান বন্দর থেকে ৩ কি:মি দূরে ধান ক্ষেতে অবতরন করে। বিমানটি ৫৬ জন যাত্রী বহন করছিল। শীতকালীন কুয়াশার কারনে পাইলটের দেখতে সমস্যা হচ্ছিল। সিলেট বিমান বন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের কোন ধারনা ছিলনা বিমানটিতে কি ঘটেছিল। বিধ্বস্ত হবার ২ ঘন্টা পর গ্রামবাসীদের মাধ্যমে তারা খবর পান। ঐ ঘটনায় ১৭ জন যাত্রী আহত হয়েছিল, কেউ নিহত হয়নি।

স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৫৭ সালের ১ লা জুলাই PIA Douglas DC-3 ফ্লাইট বঙ্গোপসাগরের চারলাখি দ্বিপে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ৪ জন ক্রু সহ ২০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছিল। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে একটি Cargolux Canadair CL-44 ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় একটি খামারের উপর বিদ্বস্ত হয়েছিল। ৪ জন নিহত হয়েছিল।
০ Likes ১ Comments ০ Share ৫১১ Views

Comments (1)

  • - মোঃসরোয়ার জাহান

    দারুন লাগলো

    - মোঃসরোয়ার জাহান

     আমার কবিতা …..'দুইটি নৈর্ব্যক্তিক নূপুর’ .....নির্বাচিত হয়েছে ভোটের জন্য আপনার ভোট চাই।